ফারুক ভাই: প্রথম আলাপ – শেষ আলাপ আর মাঝখানের কিছু ঝলমলে স্মৃতি
১৯৮৩ সাল, সময়টা আগস্টের
প্রথম দিকে| BUET এর ক্লাস সবে মাত্র শুরু হযেছে| আসলে অনেক আগেই শুরু হবার
কথা ছিলো, তবে এরশাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জন্য শুরুটা পিছিয়ে গেছে অনেক| আমি
তখন ঢাকায় নতুন| এর আগে এসেছি অনেক বার, তবে একা নয়| BUET এ ভর্তির পর থেকেই মূলত:
একাকী ঢাকায় যাতায়াত| মানিকগঞ্জ এ ছাত্র ইউনিয়ন করার সুবাদে এসেই পরিচয় নিমাইদা
সহ অনেকের সাথে| এছাড়া ছিলো মানিকগঞ্জএরই সুকুমার আর রুপেশদা| থাকতাম আহসানুল্লাহ
হলে| ৩৫৩ নম্বর রুমে মনে হয়| তবে BUET ছিলো আমার সাময়িক আস্তানা| অনেক আগে থেকেই ঠিক ছিলো সিপিবির
স্কলারশিপ নিয়ে আমি মস্কো যাব পড়াশুনা করতে| তাই ক্লাস শুরু হলেও তখনো পর্যন্ত
হোস্টেল এর পেমেন্টটা করা হয়ে ওঠেনি| এদিকে নিমাইদা বলছিলেন টাকাটা পে করতে, যাতে
আমি চলে গেলেও রুমটা ছাত্র ইউনিয়নের কেউ
ইউস করতে পারে| যাই হোক, লেনিন ভাই (নুহ উল আলম লেনিন, তখন সিপিবির ঢাকা জেলা
কমিটির সেক্রেটারী) বললেন “ওখানে তো ফারুক আছে| তুমি ওর সাথে কথা বল| যদি মস্কো
যাও, অযথা টাকা পে করে কি হবে? ও যেটা বলে তাই করো| আমার কথা বলো, ঠিক তোমাকে
হেল্প করবে|” লেনিন ভাই এর সাথে আলাপ বেশ কিছুদিন হলো| ওনার বাসায় গেছি কয়েকবার,
উনিও এসেছেন আমাদের বাড়ীতে| ডাকসুর ভিপি ছিলেন, নাম করা নেতা| এর পর আর কি কথা
থাকে, তাই পরের দিনই চলে গেলাম ফারুক ভাই এর খোঁজে| এর আগে আলাপ ছিলো না| এলাকার
নির্মল চক্রবর্তীর কাছে গল্প শুনেছি, খুব লম্বা আর ফর্সা, ভাল বক্তা| কয়েকদিন আগে
সিপিবি কেন্দ্রীয় অফিসে কে যেনো দেখিয়ে বলেছিলেন, ওই তো ফারুক| আমি ঢাকা যে কদিন
ছিলাম, প্রায়ই বিকেলে যেতাম পার্টির অফিসে| ঢাকায় চেনা জানা তেমন কেউ তো ছিলো না,
বিকেল হলেই তাই হাটতে হাটতে চলে যেতাম| BUET থেকে অনেকটা পথ, একদিন
রুপেশদা রাস্তা চিনিয়ে দিলেন, তার পর হেটে যাওয়া, কারণ দুটো, প্রথমত ঠিক পথে
যাচ্ছি এটা বুঝতে পারতাম (রিক্সা অনেক সময় এদিক ওদিক দিয়ে নিয়ে যায়), আর পার্টি
অফিসে যাবার পথে পরতো একটা আইস ক্রিমের দোকান, কোন আইস ক্রিম, ওটা কিনে খেতে খেতে
যাওয়া| বিকেলে প্রায়ই কোনো না কোনো সভা থাকতো, বিভিন্ন লোকজন আসতো বিভিন্ন জেলা
থেকে| বসে তাদের গল্প শুনতাম| ওখানেই এক সভাতে ফারুক ভাই কে দেখিয়ে দেয় কে একজন|
যাহোক পরের দিন গেলাম ফারুক ভাইয়ের খোঁজে| নিমাই দা বলে দিলো তিতুমীর হলে খোজ
নিতে| ক্লাসের পর পর গিয়ে দেখি কেউ নেই| বিকেলের দিকে আবার গেলাম| রুমটা চিনি না,
শুধু জানি কোন তলায়| রুমের দুদিকেই বারান্দা, আর বিশাল কাছের জানালা, তাই ঘরে কেউ
থাকলে বাইরে থেকেই দেখা যেত| একটা ঘরে দেখলাম অনেকেই বসে কি যেন কথা বলছেন| ফারুক
ভাইকে চিনতে পারলাম| আরো কযেক জন ছিলেন| পরে জেনেছি, তারা হলেন আকাশ ভাই, আনোয়ার ভাই, তাহেরুল্লাহ ভাই| এরশাদ
বিরোধী আন্দোলন তখন তুঙ্গে, মনে হয় ও নিয়েই কথা বলছিলেন| আমি নক করলে ওনারা
তাকালেন, ইশারায় বললেন অন্য দিক দিয়ে ঘরে ঢুকতে| ঢুকলেই প্রশ্ন কে, কি চাই? নিজের
নাম আর মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সাথে জড়িত জানিয়ে আসার কারণ বললাম| এর আগেই অবস্য
বললাম আমার ফারুক ভাইয়ের সাথে কথা বলা দরকার| উনি অন্য একটা বেডএ আমাকে বসতে বলে
নিজেও সেখানে এসে আমার পাশে বসলেন| কথার এক ফাকে উনি জানতে চাইলাম, লেনিন ভাই যে
পাঠিয়েছেন, তার কোনো প্রমান আছে, কোনো চিরকুট| আমার কাছে কিছুই ছিলো না, আসলে ভাবিও
নি যে ওটা দরকার, একটু রাগই হলো ওনারা আমাকে অবিশ্বাস করছেন বলে| বললাম চাইলে
নিমাইদাকে নিয়ে আসতে পারি, উনি তো ছাত্র ইউনিয়নের এর লোক| হতে পারে আমার কথায় একটু
বিরক্তির ভাব ছিলো, ওই বেড থেকে সবাই একটু উত্তেজিত হতে থাকলেন| শুধু ফারুক ভাই
ছিলেন শান্ত, বললেন, ঠিক আছে, আপনি যেটা ভাল মনে করেন, তাই করেন, সিট নিয়ে সমস্যা
হবে না| আমি লেনিন ভাই এর সাথে কথা বলবো| আমি
তারপরও কিছুক্ষণ দাড়িয়ে রইলাম, ওনার কথায় আশ্বাস ছিলো, তবে নিশ্চয়তা ছিলো
না| আমি তখনো quantum mechanics পরিনি| uncertainty
principle জানতাম না| সব ব্যাপারে
নিশ্চিত হতে চাইতাম| জানিনা ফারুক ভাই বুঝেছিলেন কিনা – শুধু বললেন, আমাদের অনেক
কাজ, ভাল থাকবেন| এক ধরনের মিশ্রিত অনুভুতি নিয়ে ফিরে এলাম| অনেক পড়ে যখন এ নিয়ে
ভেবেছি, মনে হযেছে, এর বেশী করা তখন ফারুক ভাইয়ের পক্ষে সম্ভব ছিলো না| আন্দোলন
চলছে, পদে পদে বিপদ, কে আসে কোন বেশে, কে জানে|এইযে আমি সোভিয়েত দেশে যাবো বলে
তাকে জানাচ্ছি, এটাও তো একটা টোপ হতে পারতো| আর আমি যে লেনিন ভাইয়ের কাছ থেকেই
আসছি, তারই বা প্রমান কি? তার পরেও উনি যে ধৈর্য ধরে আমার কথা শুনলেন, অন্যদের
বিরক্তিকে উপেক্ষা করে আমার সাথে ভাল ব্যবহার করলেন, তাই বা কজন পারে বা করে? এ
নিয়ে আমার সাথে আর কারো কথা হয়নি, লেনিন ভাই জিগ্যেস করলে বলেছিলাম, দেখা হয়ছে,
কথা হয়েছে| অনেক দিন পরে ফারুক ভাই যখন মস্কো আসেন (মনে নেই কত সালে, তবে আমি তখন
প্রস্তুতি পর্ব শেষ করেছি, ওনার সাথে দেখা ৬ নম্বর ব্লকে, মিসির কল্লোলকে অনেক কথা
জিগ্যেস করলেন) আমাকে দেখে জিগ্যেস করেছিলেন, “আপনার সাথে ঢাকায় আমার দেখা হয়েছিল,
তাই না?” আমি বললাম, হ্যা মনে আছে| না, তখন আর ওই ঘটনা নিয়ে আমার মনে কোনো ক্লেশ
ছিলো না|
এর পর বেশ কয়েকবার ফারুক
ভাই মস্কো আসেন| এলেই দেখা করতে যেতাম| তখন সিপিবি, ছাত্র ইউনিয়ন আর বামপন্থী দল
গুলোর অনেকেই আসতেন, দেখা করতাম প্রায় সবার সাথেই, তবে ফারুক ভাই আর তাহেরুল্লাহ
ভাইয়ের সাথে যেভাবে মিশতে পারতেম, অন্যদের সাথে তেমনটা নয়, যদিও নেক্সট জেনেরাসনের
অনেকের সাথেই ভাল বন্দ্ধুত্ব হয়ে উঠেছিলো| এদের মধ্যে কাফি রতন অন্যতম| সালটা এখন
মনে নেই, তবে এটা আশির দশকের শেষের বা নব্বুইয়ের প্রথম দিকের কথা| ফারুক ভাই
এসেছিলেন অনেক দিনের জন্য| তিনি তখন ক্ষেতমজুর নেতা| এসেছিলেন সমাজতন্ত্রের তাত্বিক
শিক্ষা নিতে| পরতেন মস্কোর পার্টি স্কুলএ| প্রায়ই চলে আসতেন প্যাট্রিস লুমুম্বার
হোস্টেলে| আড্ডা হত, একসাথে খাওয়া দাওয়া হত, কথা হত দেশ নিয়ে, দেশের রাজনীতি নিয়ে|
আমার ২ নম্বরের ৫১০এও এসেছেন অনেকবার| ফিরতে প্রায়ই রাত হয়ে যেত| আর আমিও যেতাম
প্রায়ই তাকে, তাদেরকে মেট্রো এয়ারপোর্ট পর্যন্ত এগিয়ে দিতে| আজ
সোভিয়েত দেশ নেই, ফারুক ভাই নেই, তবে ঘটনাগুলো মনে হয় এইতো সেদিন ঘটা, মনে হয়
পর্দা সরালেই ওসব ঠিক দেখতে পাবো|
ফারুক ভাই এর সাথে আমার শেষ
দেখা মনে হয় ১৯৯১ এ| আমি দেশ থেকে এসেছি কিছুদিন আগে| অনেক আগে থেকেই আমার সাথে
মস্কোর সিপিবির সম্পর্কের টানপূরণ চলছিলো| সত্যি বলতে ১৯৮৮ তে এর শুরু, তখনকার মস্কোর
সিপিবিপন্থী ছাত্রদের নেতা মোখতার ভাই এর সাথে মনোমালিন্যের কারণে| এটা নিয়ে অনেক
কথা হযেছে অন্যদের সাথে, তবে ভুলটা স্বীকার করলেও যেহেতু অন্যরা এর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিয়ে
পারেননি, তখন থেকেই মুলত: সম্পর্কটা শেষ হয়ে যায়| আর ইউনিভার্সিটি শেষ করে যখন ১৯৮৯
সাথে ১৪ সপ্তাহের জন্য দেশে আসি, এর পর ওটা আর জোড়া লাগেনি| এর মধ্যে
পেরেস্ত্রৈকার হওয়া লেগেছে
আমাদের মধ্যেও, শুরু হয়েছে পার্টিকে ঢেলে সাজানোর কাজ| এই কিছুদিন আগেও যেসব কাজ
বেআইনি (পার্টি বহির্ভূত) বলে মনে করা হত, দেয়া হচ্ছে তা করার ঢালাও লাইসেন্স|
পার্টির অনেক নেতাদের (বলছি মস্কোর সিপিবিপন্থীদের কথা)যাদের এত দিন গঙ্গাজলে ধোয়া
তুলসী পাতা মনে করতাম, মুখোশ যখন খুলে গেছে, তখনো তাদের অনেককেই নেতৃত্বে দেখে যখন
অনেকের র মধ্যেই ক্ষোভ আর হতাশা, ঠিক তেমন এক সময়এ ফারুক ভাই আবার আসেন মস্কো|
আমার তখন বিশ্বাস ছিলো, দেশের নেতৃত্ব হয়তো এসব জানেন না, তাদের ঠিক খবর জানানো হয়
না, যদি কোনো ভাবে তাদের কাছে সঠিক চিত্র তুলে ধরা যায়, সব সমস্যার সমধান হে যাবে|
হয়তো বা হতও তাই| তবে অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি, ব্যাপার না misinformation and mislead নয়, আসলে দেশের
(কেন্দ্রীয়) নেতৃত্বে নিজেদের স্বার্থ ভেবে বাইরের (স্থানীয়)নেতৃত্বে তৈরী করেন,
আর স্থানীয় নেতৃত্বে এটাকে কাজে লাগে নিজেদের স্বার্থ আদায় করে| সব যুগেই, সব সংগঠনেই এমনটিই ছিলো| যাহোক
সংগঠনের নেই অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানেই হোক আর ফারুক ভাই এখানে অন্য কাজে
এসেছিলেন বলেই হোক, ১৯৯১ এর কোনো এক সময় এ (এটা অবস্য ২৮ এ মের পরে (২৮ শে মে আমি
দেশ থেকে ফিরি) আর ১৯ শে আগস্টের আগে (তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যায়) কোন একসময়
হবে| একটা সাধারণ সভা ডাকা হয় মস্কোর সিপিবিপন্থীদের (যতদুর শুনেছি তখন এখানে
ফর্মালি পার্টির মেম্বারশিপ দেয়া চালু হয় – আগে এটা ছিলো না, আমরা ছিলাম ছোট ছোট গ্রুপএ
বিভক্ত, সব হত গোপনে, এক গ্রুপের লোক অন্যদের চিনতো না, যদিও কাজ কর্মে বুঝতে
পারতো, তার মতো এরাও সিপিবির শুভাকাঙ্খী বা কার্ডবিহীন কর্মী| আমি খবরটা পাই কয়েক জন
বন্ধুর কাছ থেকে| ওদের ধারণা ছিলো আমাকেও ডাকবে| তবে ডাকেনি – আমিও যাই নি| আর
গেলেই বা কি, আর মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যায়, ভেঙ্গে যায়
সিপিবিও আর লোপ পায় মস্কোর সিপিবি| শুনেছি ফারুক ভাই ওখানে গেছিলেন সিপিবির
কেন্দ্রীয় কিমিটির পক্ষ থেকে, নতুন বাস্তবতায় মস্কোর কর্মীদের কি করণীয়, সে
সম্পর্কে বলতে|
এরপর আমার সাথে ফারুক ভাই
এর দেখা মাত্র একবার| ঠিক এই সভার দুএক দিন পরেই (হতে পারে ঠিক আগে)| ঠিক মনে নেই|
আমি, টিটো আর ফারুক ভাই আসছিলাম হোটেল থেকে| ট্যাক্সিতে| টিটো থাকতো ১ নম্বর ব্লক
এ আমি ২ নম্বর এ| আসার পথে অনেকক্ষন কথা হয় এ নিয়ে| আমি আমার কথা বলি, ফারুক ভাই
তার কথা| দুই নম্বর এ আসতে আসতে আমাদের সংলাপ গুলো বিতর্কে পরিণত হয়| আমি এখনো মনে
করি না, আমি অযৌক্তিক কিছু বলেছিলাম| তবে স্বাধীন (একাকী) মানুষের সুবিধা হলো, তাকে
কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না, সে তার মতামতটা স্বাধীন ভাবেই, কোনো পিছুটান না
রেখেই বলতে পারে| আর মানুষ যখন কোনো সংগঠনের প্রতিনিধত্ব করে, সে চাইলেও সব বলতে
পারে না, তাকে কিছু গাইড লাইন মেনে চলতে হয়, সমষ্টির স্বার্থে ব্যক্তিগত ভাল লাগা
মন্দ লাগা বা লজিক অনেক সময় বিসর্জন দিতে হয়| ফারুক ভাইকে কাছ থেকে জানার ফলে আমি
জানতাম ওনার কথায় লজিকের বলিষ্ঠতা| বিভিন্ন আড্ডায় উনি অনেক বার সেটা প্রমান
করেছেন| কিন্তু আমাদের শেষ দেখার, শেষ কথার সময় লজিকের (লজিক বলতে আমি এখানে বলছি – যেটা শুধু গ্রামার দিয়ে বুঝি না, মনের থেকেউ দৃঢ়
ভাবে বিশ্বাস করি) সেই তিক্ষতা ছিলনা, বিশ্বাসের দৃঢ়তা ছিলনা| মনে হচ্চিলো উনি
আমার যুক্তিটা মনে মানলেও মুখে মানতে
পারছিলেন না| তবে এবারও তিনি আরেকটা জিনিস প্রমান করলেন, অন্যের কথা শোনার ধৈর্য|
আমরা প্রায়ই শুধু নিজেদের কথাই বলি, অন্যের কথা শুনতে চাইনা| এদিক দিয়ে আমার মনে
হয় উনি ছিলেন অনন্য| অন্তত: পক্ষে আমি এটাই দেখেছি| গাড়ী ১ নম্বরের সামনে থামলো|
আমি হ্যান্ডশেক করে চলে গেলাম নিজের ঘরে,
ফারুক ভাই গেলেন টিটোর সাথে| এর পরে আর দেখা হয়নি| যতদিন তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন, খবর পেয়েছি| এর পর
নিজেও চলে এলাম দুব্নায়, বাংলাদেশী সমাজের সাথে আমার মেলা মেশা প্রায় শুন্যের কাছে
নেমে এলো, আর ফারুক ভাই ও রাজনীতি ছাড়লেন| এর পর মাঝে মধ্যে খোজ নেবার চেষ্টা
করেছি, দেশে যখন গেলাম ২০১১ সালে, তখনও জিগ্যেস করেছি| তবে শুধু মাত্র ২০১৩ তে
মনজু ভাই (মনজুরুল আহসান খান) মস্কো এলে জানি উনি পার্টির সাথে যোগাযোগ রাখেন, এগিয়ে
আসেন পার্টির ডাকে| এর পর ফেইসবুক এ মাঝে মধ্যে ফারুক ভাই এর উপর লেখা দেখতাম| গত
২৯শে জুন যখন কাজান যাই একটা কনফারেন্সএ, ৩০ তারিখ সকালে ফেইসবুক ওপেন করে তপনদার
নোট পেলাম, খন্দকার মো: ফারুক মারা গেছেন| বিশ্বাস করতে চাইনি| তাই ফেইসবুক ঘেটে
দেখলাম, গেলাম টিটোর একাউন্টএ, আর বুঝলাম ফারুক ভাই এর সাথে আমার আর কখন ও দেখা
হবে না, কথা হবে না| মনিদার মৃত্যুটা ঠিক অনুভব করতে পারিনি| ফরহাদ ভাই মারা যান
মস্কোতে, আমাদের অনেককে অনেক কাদিয়ে| ফারুক ভাই এর মৃত্যুর খবর পেয়ে আবার সেই ১৯৮৭
র কথা মনে পরে গেলো| আমরা আরেক জন ঘনিষ্ট বন্ধুকে, কমরেড কে হারালাম| দেখা হবে
ফারুক ভাই| ভালো থাকবেন|
বিজন সাহা
দুবনা, ১৪ ই জুলাই, ২০১৪
Comments
Post a Comment