Posts

Showing posts from February, 2022

রাজা

Image
যদি ইউক্রাইন সম্পর্কে সত্য জানতে চান তাহলে আক্রমণের জন্য রাশিয়াকে নিন্দা করার সাথে সাথে কেন সেটা হল সেই প্রশ্ন করুন। ক্যারিবিয়ান ক্রাইসিস, রাশিয়ার দরজায় ন্যাটো এসব সবাই বলছে। কিছু দিন আগে রাশিয়া আমেরিকা ও ন্যাটোর কাছে কিছু দাবি জানায়। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছিল ইউক্রাইনকে ন্যাটোর সদস্য না করা কারণ এটা রাশিয়ার জন্য জীবন মরণ প্রশ্ন। আমেরিকা বা ন্যাটো এই দাবিতে কর্ণপাত করেনি। আর তখনই জানা ছিল ঘটনা এখানে শেষ হবে না। যদি এ নিয়ে আলোচনা করবে বলত, তাহলে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও শান্ত হত। আলোচনা করার অর্থ দাবি মানা নয়, তবে মানা হতে পারে সেই রকম আশ্বাস দেওয়া। সেটা না করে পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রাইনে অস্ত্র সরবরাহ করেছে। অবশ্য এটা তারা করছে কয়েক বছর ধরেই। আর প্রায় প্রতিদিনই একটার পর একটা আক্রমণের নতুন তারিখ দিয়েছে। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে বাইডেনের মুখ রক্ষার জন্য হলেও রাশিয়ার ইউক্রাইন আক্রমণ না করে উপায় ছিল না। এর মানে যুদ্ধটা রাশিয়ার চেয়ে পশ্চিমা বিশ্বের বেশি দরকার ছিল। তারা সেদিক থেকে সফল। একটু খেয়াল করলে দেখবেন এই নর্থ স্ট্রীম-২ কে কেন্দ্র করেই এত ঘটনা। জার্মানি যদি এটা চালু করার অনুমতি দ

যুদ্ধ

Image
উদ্দেশ্য যতই মহৎ হোক না কেন, যুদ্ধ যুদ্ধই। সেখানে অনেক নিরপরাধ মানুষ মারা যায়। তবে অনেক সময় যুদ্ধটাই শান্তির জন্য পথ করে দিতে পারে। বিগত আট বছরে দনবাসকে ঘিরে এমন একটা স্থবির অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল যে কোন পক্ষ থেকে এক ধরণের ইনিশিয়েটিভ দরকার ছিল।  যদি শান্তিকামী যেকোনো মানুষের পক্ষ থেকে দেখি বা ইউক্রাইনের পক্ষ থেকে দেখি তাহলে এই আক্রমণ গ্রহণযোগ্য নয়। আবার যদি দনবাসের মানুষের পক্ষ থেকে দেখি তাহলে তাহলে এই যুদ্ধ তাদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটানোর পথে প্রথম পদক্ষেপ। একাত্তরে বাংলাদেশের মানুষ অপেক্ষা করেছিল ভারত কখন যুদ্ধে নামবে। আমরা আজ যারা ইউক্রাইনের শিশুদের নিয়ে চিন্তিত তারা যদি একই ভাবে দনবাসের শিশুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হত ঘটনা এতদূর নাও যেতে পারত। শিশুদের জাত নেই, দল নেই। এদের নিয়ে রাজনীতি করা গণতন্ত্র নয়, গণতন্ত্রের প্রহসন। এই আমেরিকা ১৯৭১ সালে লাখ লাখ হতভাগা মানুষকে দেখতে পায়নি যদিও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় এই সব নরপিশাচরা আমেরিকার প্রসন্ন দৃষ্টি এড়ায়নি। সিনেমা থেকে যেটুকু জানি মাফিয়ারা নিজেদের মধ্যে কথা বলে এলাকা ভাগ করে নেয়। ফলে নিজেরা যেমন মারামারি করে মরে না, একই ভাবে সাধারণ

শান্তি

Image
রুশরা বলে সব যুদ্ধই শান্তি চুক্তির মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এই যুদ্ধও সেভাবেই শেষ হবে। মাঝখান থেকে কিছু লোক মারা যাবে, অনেকে হারাবে সহায় সম্বল। তবে ক্ষয়ক্ষতি যে ইরাক বা আফগানিস্তানের তুলনায় অনেক কম হবে সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। অতীতকে বাদ দিয়ে বর্তমানকে দেখার চেষ্টা অন্ধত্ব। যুদ্ধে দু পক্ষই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বিগত আট বছরে দনবাসের যুদ্ধে ১৫ হাজার মানুষ মারা গেছে। কিন্তু এক বারের জন্যও পশ্চিমা বিশ্ব এসব মানুষদের পাশে দাঁড়ায়নি, এই সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে আসেনি। মানবতা কখনও মানব জাতির এক অংশকে বাদ দিয়ে হয় না। যদিও তাদের হাত ধরেই এই সমস্যার শুরু আর সেটা মূলত রুশ তেল গ্যাসকে কেন্দ্র করে - তার পরেও বার বার অভিযোগ এসেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। রাশিয়ায় একনায়কত্ব - হয়তো বা। তবে সেটা যে জিয়া, এরশাদ, জিয়াউল হকের মত নয় এটা বলতে পারি। কিন্তু গণতান্ত্রিক বিশ্ব যখন এককাট্টা হয়ে কোন দেশের টুটি চেপে ধরতে চায় সেটা কি একনায়কত্ব নয়? এটা সর্বহারার একনায়কত্ব, আর সর্বহারা এই গণতান্ত্রিক বিশ্ব। যখন থেকে পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রাইনের মত দ্বিধাবিভক্ত এক দেশকে কোন এক পক্ষ অবলম্বন করার জন্য চাপ দিল তখনই তো জানা ছিল আজ হোক কাল হোক প্র

কামসূত্র

Image
  আমাকে কামসূত্রের হিন্দি ভার্সনটা নামিয়ে দিতে পারবে? অনেক খুঁজেও পেলাম না। হোয়াটস্যাপে মেসেজ এল। ঝামেলা। আমার বৌ প্রায়ই ছেলেমেয়েদের ফোন করে যখন পায় না বা ওদের ফোন অফ থাকে, আমাকে বলে ফোন করতে। দেখনা একটু ফোন করে। বা রে, ওরা অফ লাইনে থাকলে আমি পাব কি করে? ওরা ঠিক তোমার ফোন ধরবে বা কল ব্যাক করবে। তা হঠাৎ তোর কামসূত্রের দরকার পড়ল, তাও আবার হিন্দী ভার্সন? খাজুরহ যাব ভাবছি। কি আর করা। সার্চ দিলাম। পেলাম ইংরেজি ভার্সন। পাঠিয়ে দিলাম। ইংরেজি ভার্সনটা তেমন ভাল না। ওরা ঠিক নুয়ান্সটা ধরতে পারে না। তা ঠিক। তবে আমাদের অনেক ধর্মশাস্ত্র, ইতিহাস এসব ইংরেজদের কল্যাণেই আমাদের কাছে এসেছে। ওরাই আগ বাড়িয়ে অনুবাদ করেছে এদেশটা বুঝতে, যাতে শোষণ করতে সুবিধা হয়। তা যা বলেছ। তারপরেও দেখ হিন্দিটা পাও কি না। একটু পরে হিন্দি ভার্সন নামালাম। নিজে তো পড়তে পারি না, তাই হিন্দি ভার্সন সার্চ দিয়ে যা আসে তাই পাঠাই। দেখ, এটায় কাজ হয় কি না? দাড়াও। শোন এটা তো সাত খন্ডের একটা মাত্র। মহা মুস্কিল। ঐ ব্যাটা নিশ্চয়ই অনুবাদ করতে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতাগুলো ঢুকিয়ে দিয়েছে। ভাবলাম মনে মনে। আবার শুরু করলাম খোঁজা। দেখ, এটায় চলবে কিনা? হুম

বিচার

Image
গতকাল থেকে ফেসবুকে অনেকেই তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে লিখছে। আমি তার ফ্যান নই। তিনি আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড নন। আমি তার ফলোয়ারও নই। তাই তার লেখা বা তার সম্পর্কে লেখা আসে বন্ধুদের মাধ্যমে। আমার টাইম লাইনে আবার খুব কম সংখ্যক মানুষের স্ট্যাটাস আসে। সবার লেখা দেখার সময় আমার নেই। যাদের লেখা পছন্দ করি, যাদের বিশ্বাস করি তাদের লেখাই শুধু এখানে আসে। সেখান থেকে কিছু লেখা বেঁছে বেঁছে আমি প্রতিদিন পড়ি। নিজেও লিখি। তবে সেটা মূলত অন্যদের জানাতে যে আমি এখনও বেঁচে বর্তে আছি, তাই তাদের এখনও আমাকে শান্তিতে ঘুম পাড়িয়ে নিজেদের স্বস্তি লাভের কিছু নেই। যাহোক, যতদূর জানি তসলিমা নাসরিন সম্পর্কে  ভাল মন্দ দু' ধরণের লেখাই নেটে ঘোরাফেরা করে। তবে আমার এখানে যা আসে সেগুলো মূলত তাকে সমর্থন করে, এমনকি কিছু কিছু লেখা তো তাকে রীতিমত বন্দনা করে। তাই গতকাল যখন একটু বিপরীত স্রোত দেখলাম, অবাক হলাম। সেখানে অবশ্য কোন লেখার কারণে জাহাজে বিদ্রোহ তার উল্লেখ ছিল, ছিল লিংক। সেটা পড়ে ব্যাপারটা বুঝলাম। নিজেরও এ ব্যাপারে দু' কথা বলার সাধ সামলাতে পারলাম না। আগেই বলেছি আমি তার লেখার ভক্ত নই। হাতে যেটুকু সময় থাকে চেষ্টা করি

জীবন

Image
ফটো ক্লাব ফোকাসে আমরা প্রতি বৃহস্পতিবার ছবি দেখি, তা নিয়ে আলোচনা করি। ভাল ছবির প্রশংসা করি, কোন ছবি কিভাবে আরও ভাল করা যেত তা নিয়ে কথা বলি। যদি কোন ছবি ভাল করার স্কোপ না থাকে মানে ট্রাশে ফেলে দিতে হয় সেটাও বলি। আবার যদি কোন ছবি তেমন ভাল না তবে ওই ফটোগ্রাফারের জন্য এক ধরণের অর্জন সেটাও বলি। একজন শিশু যখন প্রথম হাঁটতে শুরু করে সেটা যেমন তার জন্য একটা অর্জন, তেমনি প্রতিটি মানুষের কিছু কিছু ব্যক্তিগত অর্জন বা অ্যাচিভমেন্ট থাকে। সবচেয়ে সফল মানুষের জীবনেও যেমন লো থাকে ঠিক তেমনি একজন ব্যর্থ মানুষের জীবনের হাই থাকে। তাই প্রতিটি মানুষের জীবনে সেলিব্রেট করার কিছু না কিছু থাকে সমসময়। যে মানুষ জীবনে বিশ্বাস করে, যে মানুষ শত অন্ধকারের মধ্যেও কোথাও না কোথাও আলো আছে সেটা বিশ্বাস করে, সে হাল ছেড়ে দেয় না, শেষ পর্যন্ত লড়াই করে। এই লড়াকু মনোভাবের জন্যই সে অন্যের কাছে হিরো হয়। লড়াই কী? লড়াই হল প্রচেষ্টা, সফল হবার অদম্য ইচ্ছা। লড়াই হল মিথস্ক্রিয়া বা ইন্টারঅ্যাকশন। আর সমস্ত সৃষ্টির মূলেই এই ইন্টারঅ্যাকশন। জীবনকে ভালবাসুন, জীবনের জয়গান গান, মরণের নয়। যারা জীবন থেকে পালিয়ে মৃত্যুকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে চায়