Posts

Showing posts from May, 2017

কছডধম

Image
আজ বার বার বন্ধুর মুখ মনে পড়ছে। অনেক দিন কথা বলা হয়নি। জানতে ইচ্ছে করছে, কী ভাবছে ও? এর আগে এমনটি হয় নি। মনের মিল থাকলে কথা না বলেও অনেক কিছুই বোঝা যায়। আগে বিশেষ করে দেশের ব্যাপারে কথা বললেই বলত, “দোস্ত, কি করুম কও? অনেক কিছুই মানতে পারি না, তার পরেও এ তো মন্দের ভালো।  এ গেলে যে আইসবো, তাতে তো দেশে থাকতে পারুম না।“    আমি সায় দেই, তাই তো। অন্য কোন বিকল্প তো আর নেই। কিন্তু আমাদের গণ্ডী  ছোট হতে হতে দেয়ালটা যখন পিঠে এসে লাগলো (না না, আমরা আর পিছুতে পারছি না, পেছানর জায়গা নেই, দেয়ালটাই ছোট হয়ে আসছে ক্রমাগত) – বন্ধুর মুখে ভেসে উঠলো মনের আয়নায়।   এক সময় জেলখানা তৈরি করা হতো অপরাধীদের আটকে রাখার জন্য। আসলে ওটা ছিল এক ধরনের আইসোলেশন ক্যাম্প, খুব বেশী খারাপ যারা তাদেরকে ভালো বা আইন মেনে চলা লোকদের থেকে আলাদা করে রাখার জন্য। আজও জেলের দেয়াল এই দুই দলকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে, তবে শ্যামল কান্তি ভক্তসহ অনেক ঘটনায় মনে হয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেহেতু দেশে ভালো আর সৎ লোকের সংখ্যা ক্রমশই শুন্যের কোঠায় চলে যাচ্ছে, তাই বদমাইশদের বাইরে রেখে নির্দোষ লোকগুলোকে জেলে ঢুকিয়ে দিলেই ল্যাঠা চুকে যায়। আসল

রাজনীতির গোল্লাছুট

Image
বন্ধু আবু আলী লিখেছে “ এশিয়া আফ্রিকা ইউরোপ আমেরিকা মধ্য আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া পুঁজিবাদী জাপান কোরিয়া সহ আরো অনেক দেশে বাম মধ্য বাম দল আছে , নেতা আছে তারা মানুষের কথা বলেন , সামাজিক ন্যায় বিচার সমতার কথা বলেন , ভোট করে এমপি হয়ে সংসদে এসে মন্ত্রী মিনিস্টার না হন কিন্ত শোষিত নিপীড়িত বঞ্চিত মানুষের পক্ষে সোচ্চার থাকেন ! আমাদের প্রতিবেশি পশ্চিম বঙ্গ ত্রিপুরায় দীর্ঘকাল বাম জোট ভোট করেই ক্ষমতায় এসেছে এবং এখনো তারা অনেক বড় ফ্যাক্টর কিন্ত আমাদের দেশে বামেরা এই প্রান্তিক অবস্থানে কেন , কেনই বা তারা খন্ডে খন্ডে বিভক্ত , কারণ অনুসন্ধান অতীব জরুরী !! ” অন্য দিকে লিপি লিখলো “ দেশে কোনো শক্তিশালী , যোগ্য বিরোধী দল নাই । ফলে ক্ষমতাসীনরা জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে মনে করছে নিজেদের । আমরা যারা বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদী হই , আমরাও বিচ্ছিন্ন , ঐক্য নেই আমাদের । এভাবে চলতে দেয়া যায় না , এই যে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে , এই দায় আমাদেরও । দেশে ধর্ষণের মহোৎসব চলছে , কোনদিকে চোখ ফেরানোরও সময়

মা দিবস

Image
আমাদের ছোট বেলায় মা দিবস ছিল না, তবুও আমরা মাকে ভালোবাসতাম। আমাদের ছোট বেলায় স্বাধীনতা (যদি ১৪ আগস্ট হিসেবে না আনি) বা বিজয় দিবস ছিল না, তবুও আমরা স্বাধীনতা ভালোবাসতাম, বিজয়ের স্বপ্ন দেখতাম। আমাদের ছোট বেলায় বাংলাদেশ ছিল না, তবুও আমরা এই ভূখণ্ডকে দেশ মনে করে ভালোবাসতাম। আমাদের ছোটবেলায় এই ভূখণ্ড ছিল ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে ভরা, তবুও আমরা ধর্মনিরপেক্ষতার ঝাণ্ডা তুলতাম। আমাদের ছোট বেলায় মাতৃভাষা দিবস ছিল না, তবুও আমরা মনেপ্রানে বাংলা ভাষাকে ভালোবাসতাম। আজ আমাদের নিজের দেশ আছে, স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস আছে, কিন্তু আমরা দেশকে সত্যিই ভালোবাসি কি? আজ আমাদের মাতৃভাষা দিবস আছে, তবুও আমরা বাংলা ভাষাকে আগের মতই ভালোবাসি কি? আজ আমাদের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা আছে, কিন্তু সমাজ আজও আগের মতই সাম্প্রদায়িকতার লেপ মুড়ি দিয়ে ভেঙ্গে ফেলছে বাংলাদেশের অস্তিত্বের স্তম্ভগুলো। আজ আমাদের মা দিবস আছে, কিন্তু আমরা সত্যিই কি মাকে, নারীকে ভালোবাসি?                   ধর্ষণের এই মহোৎসবে থাকে যারা মৌন আসলে তারা মানুষের কাছে নিজেকে করে গৌণ ধর্ষিত আজ সুশীল সমাজ ধর্ষিত রাজনীতি ধর্ষিত

ফানি ফ্যামিলি

Image
শনিবার। কিচেনে বসে আছি। মস্কো এলে আমি এখানেই সময় কাটাই টিভি , কম্পিউটার আর চা এখানে থাকে বলে। সেভা গেম খেলছে আর আমি ওর চুল শুকাচ্ছি। এটা সেভার   প্রিয় কাজ। আমি মস্কো এলেই বারবার স্নান করতে হবে আর আমাকে দিয়ে চুল শুকাতে হবে। অনেক সময় একটু বিরক্ত হলেও করি। মনে পড়ে নিজের ছেলেবেলার কথা। বাবা সারাদিন ব্যস্ত থাকতেন   খদ্দেরদের নিয়ে। খদ্দের না থাকলেও গুদাম ঘরে বসে খবর কাগজ বা বই পড়তেন। আমি বিকেলের জন্য অপেক্ষা করতাম যখন বাবা আমাকে কোলে করে হাঁটতে হাঁটতে চলে যেতেন রংখোলায়। এটা আমাদের পুরানো বাড়ি। নদীর ভাঙ্গন শুরু হলে বাড়ি ভেতরে নিয়ে আসে আর ওখানে গড়ে সুতা রঙের খারখানা। তাই বাবা কাকারা ওটাকে পুরানো বাড়ি বললেও আমাদের কাছে তা   রঙখোলা   নামেই পরিচিত ছিল। আমি সুখে চোখ বন্ধ করে ঘাপটি মেরে থাকতাম বাবার কোলে আর ভাবতাম যদি সন্ধ্যাটা শেষ না হতো ! এখন সেভাও তাই করে। চুল শুকিয়ে গেলেও বলে , না এখনও হয় নি , ঐ যে ওখানে ভেজা। যদি বলি না আর পারব না , তখন মাথা ব