Posts

Showing posts from April, 2021

দেবতার ঘর

Image
  বিগত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ভারতে কোভিড-১৯ একের পর এক রেকর্ড ভঙ্গ করে চলছে। প্রতিদিন তিন লাখের বেশি করে নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। একই সাথে গত দু তিন দিন আরোগ্য লাভের সংখ্যাও আড়াই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। রাশিয়ায় যখন গত বছর কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব ঘটে ভবিষ্যতের কথা ভেবে অনেক নতুন হাসপাতাল গড়া হয়। এ ছাড়াও মস্কো সহ বিভিন্ন শহরে অনেক স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও ব্যবসা কেন্দ্র সাময়িক ভাবে কোভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্রে পরিণত করা হয়। যাতে ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া যায় সেজন্য প্রয়োজনের চেয়েও অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করা হয়। বিভিন্ন প্রোফাইলের ডাক্তারদের দ্রুত ট্রেনিং দিয়ে এসব জায়গায় নিয়োগ করা হয়। এমনকি মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটগুলোর শেষ বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের ভলেন্টিয়ার হিসাবে সেখানে নিয়োগ দেওয়া হয়। যদিও অনেকদিন ধরেই এখানে প্রতিদিন ৮-৯ হাজার করে নতুন করোনা পজিটিভ ধরা পড়ছে আর প্রায় সমান সংখ্যক লোক সুস্থ্য হচ্ছে তারপরেও বিভিন্ন দেশের অতিমারীর অবস্থা মাথায় রেখে ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া সাময়িক চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো জরুরি ভিত্তিতে আবার নতুন করে প্রস্তুত করা হচ্ছে পরিস্থিতি মোকাবিলায়। ভারতে বর্তমানে লাখ

থিয়েটার

Image
আমার থিয়েটার দেখা শুরু মস্কো এসে। ছোটবেলায় দেখতাম যাত্রা। গ্রামে দুটো যাত্রার দল ছিল - কার্ত্তিক সাহার অন্নপূর্ণা আর বড়দার (ভানু সাহা) অম্বিকা নাট্য প্রতিষ্ঠান। প্রথম কয়েক মাস রিহার্সাল  হত বাড়িতে। তারপর চলে যেত ব্রাহ্মণবাড়িয়া। সেখান থেকেই শুরু হত পথ চলা। এরপর কোন এক সময়ে গ্রামে আসত। তখন কোন পালা মিস করতাম না। এছাড়া বড়দার দল এলাকায়, মানে মানিকগঞ্জ, জাগীর, কলতা, বালিট্টেক, জামসা - এসব এলাকায় এলে বড়দা আমাকে নিয়ে যেতেন কয়েকদিনের জন্য। তাছাড়া গ্রামে এর বাইরেও কোন না কোন দল আসত। তাই যাত্রা দেখা হত রেগুলার। সে সময়, বিশেষ করে যখন কলেজে পড়তাম, নৃপেন স্যারের নেতৃত্বে থিয়েটার হত কলেজে, তবে রাতে ফেরার সমস্যার কারণে দেখা হয়নি কখনই। একবার মির্জাপুর কুমুদিনি হোমসে গেছিলাম, তবে সেখানে খুব ছোট বলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ওখানে মা মূলত আমাদের বউদিকে দেখতে যান। বউদির রোল ছিল। এ ছিল ভিন্ন ধরণের মেয়ে দেখা। সেটা যুদ্ধের আগে। মস্কো আসার পর ক্লাসের পর লাইব্রেরিতে বাড়ির কাজ করে যেতাম বিভিন্ন জায়গায়, মূলত আড্ডা দিতে বাংলাদেশী বন্ধুদের সাথে। তাই ছাত্র জীবনে সিনেমা দেখা হলেও (কখনও কখনও গ্রুপ থেকে বন্ধুরা মিলে চলে যেতা

২৫০০

Image
ঘন কালো আকাশ। শুধু দূরে, অনেক দূরে মিটি মিটি তারারা জ্বলছে। সেই গভীর রাতে পৃথিবীর বায়ুমন্ডল ভেদ করে এগিয়ে আসছে একটা মাহাকাশ যান। খুব সন্তর্পণে। পাছে কারও ঘুম ভেঙ্গে যায় তাই সামান্যতম শব্দ পর্যন্ত করছে না। পৃথিবী যখন দৃষ্টিসীমার মধ্যে আসবে, তারা ধীর গতিতে ঘুরতে শুরু করবে তার চারিদিকে, ঠিক যেন স্পুটনিক। নীচে কোথাও কোন আলো নেই। অন্ধকার আর অন্ধকার। ঘন কালো অন্ধকারে ডুবে গেছে সব। বিজলী বাতি যেন অদৃশ্য হয়ে গেছে পৃথিবী থেকে। মহাকাশ যানটি আলোর খোঁজে ঘুরতে শুরু করবে। একসময় এসে পৌঁছুবে সূর্যের আলোয় আলোকিত অংশে। কিন্তু সেখানেও সব স্তব্ধ। চারিদকে বন আর বন। মাঝেমধ্যে শহরের ধ্বংসাবশেষ। সেটাও বন প্রায় গ্রাস করে ফেলেছে।  পাপা, এ তুমি আমায় কোথায় নিয়ে এলে?  এ গ্রহের নাম পৃথিবী। অন্তত একসময় আমরা একে এ নামেই ডাকতাম। তারপর?  মানুষ প্রকৃতিকে জানল, প্রকৃতির রহস্য জানল আর সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তারা তৈরি করল বিভিন্ন রকমের যন্ত্রপাতি। তখন আর একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে ঘর থেকে বেরুতে পর্যন্ত হত না। পৃথিবীর এক প্রান্তে বসে অন্য প্রান্তের বন্ধুদের সাথে তারা কথা বলত, আড্ডা দিত। চারিদিকে বিজ্ঞানের জয়জয়কার। কিন্ত