Posts

Showing posts from July, 2017

সেভার অ্যামেরিকান ড্রিম

Image
গত শনিবার মানে ২২ জুলাই ২০১৭ গেলাম বলশয় ভোল্গার খোলা বাজারে । ওখানে এখন যাই কালেভদ্রে, মূলত বাবুশকা মানে স্থানীয় বুড়ীদের কাছ থেকে তাদের নিজেদের বাগানের শশা, টমেটো আর বিভিন্ন বেরি কেনার জন্য । এছাড়া আরও কয়েক জায়গায় ওনারা বসেন – ভোল্গার অন্য পাড়ে বিশাল এক বাজারে আর আমাদের বাড়ির কাছেই পেরেক্রেস্তক আর রাশিয়ানিন দোকান দুটোর সামনে । তবে নদীর অন্য দিকে যাওয়া সময় সাপেক্ষ আর অন্য দুই জায়গায় দাম বেশি । তাই আমি সাধারণত এসব কিনতে বলশয় ভোল্গার খোলা বাজারেই যাই । ১৯৯৬ সালে গুলিয়া যখন আন্তন আর মনিকাকে নিয়ে দুবনা আসে এখানে থাকবে বলে – তখন থেকেই ওখানে যাওয়া শুরু । ঐ সময় ক্যাপিটালিজম মস্কো বা অন্য কিছু বড় শহরের বাইরে তেমন যায়নি । তাই ১৯৯৪ সালে মস্কো ছেড়ে যখন দুবনা আসি কাজ করতে, মনে হয়েছিলো যেন আবার সোভিয়েত ইউনিয়নে ফিরে এলাম । রাস্তাঘাট তেমনি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, লোকজন কথায়বার্তায় সেই সময়ের মতই বিনয়ী আর পন্যের অভাবে অপুষ্টিতে ভোগা বিশাল বিশাল দোকান সব । তাই ঐ বাজারই ছিলো অন্ধের যষ্ঠী । তাছাড়া সময় ছিলো উত্তাল । মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কায় দিনকে দিন চুপসে যাচ্ছিলো আমাদের মত সাধারণ মানুষ । বাজারে

মাছবৃষ্টি

Image
সকালে দিদি ফোন করলো। আজকাল ফোনে প্রায়ই কথা হয়। শত হলেও ডিজিটাল যুগ, কথা না বলাই মহাপাপ। কথা শুরু হয় শরীর কেমন, খেলাম কিনা এসব দিয়ে আর যখন শেষ হয় তখন চলে যাই শৈশবের তরায়, বাবা মা, দাদা বৌদি এদের কথায়। কথা হয় বন্ধুদের নিয়ে, গ্রামের লোকদের নিয়ে। আমরা অনেকেই যেমন সোভিয়েত দেশের সেই স্মৃতিতে আঁটকে গেছি, দিদির সাথে কথা বলতে বলতে আমি যেন সেই হারানো দিনের তরায় হারিয়ে যাই।   দেশে নাকি মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের যুগে সাধারণত আষাঢ় মাসের প্রথমে এমন বাদল ঝরতো , নাম ছিল সাত কন্যা। এখন অবশ্য যুগ বদলে গেছে, বাংলাদেশ বিমানের মতই ঝড়বৃষ্টি, শীত গ্রীষ্ম সবই আসে নিজেদের খেয়ালখুশী মতো। জবাবদিহিতার বালাই যেখানে নেই – সেখানে ওদের আর দোষ দিয়ে কি হবে। এখন শ্রাবন মাস। নদী টইটুম্বুর। তার উপর বিরামহীন বৃষ্টি। ইস বৃষ্টির মত সরকার যদি এভাবে সবাইকে কারেন্ট, গ্যাস আর জল সরবরাহ করতে পারতো? কলতলায় জল। অনেক দিন পর। এখন তো খাল বিল সব ভরে ফেলেছে। আগে খালে প্রথম জল আসতো চক দিয়ে। নদীর ওখানে খালটা উঁচু ছিল, তাই উল্টাস্রোত। তবে নদী আর খালের মিলন হলে স্রোত যেতো ঘুরে। এখন অবশ্য খালে আর নেই – ভরাট করেছে সব। তাই বাড়

স্বপ্ন

Image
গতকাল ক্লাবে যাবার পথে দোকানে ঢুকলাম সেভার জন্য কনডেন্সড মিল্ক কিনতে।  ওকেই পরশু টাকা দিয়েছিলাম কেনার জন্য, কিন্তু আলসেমি করে আর যায়নি,  দেখতে হবে না ছেলেটা কার? ক্যাশে দাঁড়িয়ে দেখি ওখানে লটারির টিকেট। আমি কখনও লটারির টিকেট কিনি না,  কেননা জানি কিনলেই জিতবো। কী লাভ আরেকজনকে হারিয়ে। তবুও কেন যেন মন  চাইলো কিনতে। এই টাকাটা যায় খেলাধুলার খাঁতে। তাই হয়তো। -     এই টিকেটগুলোতে কি নাম্বার গেজ করতে হবে? -      ন    না,  এমনিতে কিনলেই হবে। আপনার মোবাইল নাম্বারটা দরকার হবে। জিতলে ওরা এস এম এস পাঠাবে। -     দিন তাহলে একটা টিকেট। টিকেটটা হাতে নিয়ে যাচ্ছি ক্লাবের দিকে। আর ভাবছি অনেক টাকা পেয়ে গেছি। বউ ছেলেমেয়েদের এটা ওটা  কিনে দিলাম। ব্যাঙ্কের লোণটাও শোধ করে দিলাম। ভাবলাম একটা ক্যামেরা কেনা দরকার। লেইকা ক্যামেরাটা  মন্দ নয়। হাজার দশেক ডলার দাম। তাতে কী, লটারির টাকাই তো। হঠাৎ মনে পড়ল এক বন্ধুর মুখ। ওর  কাছে আমি কিছু টাকা পাই। ওকে বললাম, -          শোন লটারি পেলাম। তাই তুমি ঐ টাকাটা নিয়ে ভেবো না। অনেক দিন ভাবছি এখানে টিভিতে যখন বাচ্চাদের চিকিৎসার জন্য টাকা