স্বপ্ন
গতকাল ক্লাবে যাবার পথে দোকানে
ঢুকলাম সেভার জন্য কনডেন্সড মিল্ক কিনতে।
ওকেই পরশু টাকা দিয়েছিলাম কেনার জন্য,
কিন্তু আলসেমি করে আর যায়নি,
দেখতে হবে না ছেলেটা কার?
ক্যাশে দাঁড়িয়ে দেখি ওখানে লটারির
টিকেট। আমি কখনও লটারির টিকেট কিনি না,
কেননা জানি কিনলেই জিতবো। কী লাভ আরেকজনকে
হারিয়ে। তবুও কেন যেন মন
চাইলো কিনতে। এই টাকাটা যায় খেলাধুলার খাঁতে। তাই হয়তো।
- এই টিকেটগুলোতে কি নাম্বার গেজ করতে হবে?
-
ন না, এমনিতে কিনলেই হবে। আপনার মোবাইল নাম্বারটা দরকার
হবে। জিতলে ওরা এস এম এস পাঠাবে।
- দিন তাহলে একটা টিকেট।
টিকেটটা হাতে নিয়ে যাচ্ছি ক্লাবের
দিকে। আর ভাবছি অনেক টাকা পেয়ে গেছি। বউ ছেলেমেয়েদের এটা ওটা
কিনে দিলাম। ব্যাঙ্কের
লোণটাও শোধ করে দিলাম। ভাবলাম একটা ক্যামেরা কেনা দরকার। লেইকা ক্যামেরাটা
মন্দ
নয়। হাজার দশেক ডলার দাম। তাতে কী, লটারির টাকাই তো। হঠাৎ মনে পড়ল এক বন্ধুর মুখ। ওর
কাছে আমি কিছু টাকা পাই। ওকে বললাম,
-
শোন লটারি পেলাম। তাই তুমি ঐ টাকাটা নিয়ে ভেবো না।
অনেক দিন ভাবছি এখানে টিভিতে যখন বাচ্চাদের চিকিৎসার
জন্য টাকা চেয়ে আবেদন জানায়, কিছু টাকা পাঠাবো।
কিন্তু কখনই ৫০-১০০ টাকার বেশি
পাঠানোর উপায় থাকে না। ভাবলাম এবার ওখানেও একটা বড় অংকের টাকা
জমা দিতে পারবো।
হাঁটছি, হাঁটছি – এরই মধ্যে দেখি ক্লাবের
দরজার সামনে চলে এসেছি।
হাসলাম একটু। একেই হয়তো বলে
দিবাস্বপ্ন।
না না, একেবারেই মন খারাপ হয়নি।
বরং খুব ভালই লাগলো। মনটা শান্তিতে ভরে গেল। ভাবছি এখন থেকে
কালেভদ্রে লটারির
টিকেট কিনবো আর এরকম সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখবো। হাঁটতে হাঁটতে অফিসে যাবার পথে
বা ছবি তুলতে তুলতে। স্বপ্নই জীবন, স্বপ্নই সামনে চলার মন্ত্র।
দুবনা, ২১ জুলাই ২০১৭
Comments
Post a Comment