বড়দের বড় সমস্যা
বন্ধু আবু আলী (Abu Ali) লিখেছে “ মধ্যবিত্তের জীবনে মানুষের জীবনে সমস্যার অন্ত নেই, তারমাঝেই মুখে হাসি ফুটিয়ে উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানে সেই কাক ডাক ভোরে এসে কাজ করি, গান গাই শীষ বাজাই ফেসবুকে টুকটাক লিখি, কাগজ পড়ি, একাডেমিক লেখাপড়াও কিছু করি বটে ! আকুলতা শুভ্রতার জন্য !! ”
তোমাকে একটা গল্প বলি। ২০১১ সাল, অনেক দিন পর এক সিনিয়র ফেলোর সাথে দেখা। ডাক্তার।গিয়েছিলাম পিকনিকের চাঁদা তুলতে। জিজ্ঞেস করলেন
- কেমন চলছে?
- জানেনই তো এখানে বেতনের অবস্থা। বড় সংসার। চলে যায়।
- ও, মাঝে মধ্যে রুটির পয়সা থাকে না তাইতো?
- হ্যাঁ, তেমনটাও ঘটে।
- তোমার তো তাহলে কোন সমস্যাই নেই। মাত্র ২৫ -৩০ রুবলের মামলা। আমার তো মিলিয়ন ডলার প্রবলেম।
- কেন, কি হোল?
- ছেলেমেয়েকে আমাদা আলাদা বাসা কিনে দিয়েছি। ছেলে এখন চাকরি নিয়েছে মস্কোর অন্য প্রান্তে। যেতে কষ্ট। বায়না ধরেছে ঐ এলাকায় বাসা কিনে দিতে। জানই তো মস্কোয় বাসার দাম।
- তা যা বলেছেন। গরীব থাকার আনন্দই আলাদা। গাড়ীর তেলের কথা ভাবতে হয় না, নতুন বাসার চিন্তা নেই। মাঝেমধ্যে একটু আধটু না খেয়ে থাকা। এটা কোন ব্যাপার হোল? তারপরেও জানেন তো, অনেকে ট্যাক্সির পেছনে দৌড়ুতে পছন্দ করে।
- বুঝলাম না।
- মানে বাসের পিছনে দৌড়ে ২ টাকা বাঁচানোর থেকে ট্যাক্সির পেছনে দৌড়ে ১০০ টাকা বাঁচানো বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করে।
- তা যা বলেছ।
- দেখুন সমস্যা তো থাকবেই। বড়দের বড় সমস্যা, ছোটদের ছোট। বড়োলোক হবেন, ছোট সমস্যা চাইবেন, তাতো হয় না। যাকগে, সামনে পিকনিক প্রবাসী পরিষদের। কিছু চাঁদা দেন।
- বিজন, তুমি মস্করা করছো? আমার মিলিয়ন ডলারের সমস্যা, তুমি আবার পিকনিকের চাঁদা চাইছো।
- ঠিক আছে। আপনি এমনিতেই আসবেন। এক বেলার জায়গায় দু বেলা না খেলে আমার তেমন কিছু আসবে যাবে না।
দুবনা, ১৯ জুলাই ২০১৭
Comments
Post a Comment