Posts

Showing posts from 2021

একুশের ষোল

Image
কয়েক দিন ধরেই বাতাসে বিজয়ের গন্ধে। হ্যাঁ, যেদিন জাগীর ব্রিজের ওখানে প্যারাসুট দিয়ে ভারতীয় সৈন্য নামল, আমাদের দিন গণা শুরু হল – বিজয় কতদূর? এটা অনেকটা খেলার শেষ কয়েক মিনিটের মত, যখন প্রিয় দল জিততে থাকে, আমার অপেক্ষা করি, কখন শেষের বাঁশি বাজবে আর প্রতিটি সেকেন্ডই যেন অসম্ভব দীর্ঘ মনে হয়। সেই যুদ্ধে অবশ্য শেষের বাঁশি বলে কিছু ছিল না, তবে শেষ হবে – সেই আশা ছিল। আজ যেমন করোনার কবলে মানুষের দিন তারিখ সব এক হয়ে গেছে তখনও তেমনি কোন দিন তারিখ ছিল না, ছিল এক দীর্ঘ ধুসর দিন বা কালো রাত – আশাহীন, অন্তহীন। তাই যখন বিজয়ের খবর এল অনেকেই জানতো না কোন তারিখ, কোন বার। মনে পড়ে সেই খবরে বাড়িতে আনন্দের বন্যা বয়ে গেছিল। কিসের আনন্দ? কিসের উচ্ছ্বাস? বিজয় কি সেটা তখন জানতাম না, তাহলে? হ্যাঁ, এই অন্তহীন ভয় থেকে মুক্তি পাবার আনন্দ। যুদ্ধের মাসগুলো ছিল ভয়ের মাস, প্রতিটি মুহূর্তে সবাই ভয়ে থাকত এই বুঝি কোন দুঃসংবাদ আসবে, ঠিক এখন যেমন করোনার কবলে পড়ে আমরা ভয়ে ভয়ে থাকি। সে সময় আমরা বন্দী ছিলাম না, তবে মুক্তির স্বাদও ছিল না। সন্দেহ, ভয়, অনিশ্চয়তা – এসব আমাদের দিন রাত্রি সব আচ্ছন্ন করে রাখত। তাই বিজয়ের কথা শুনে প্র

বুদ্ধিজীবী দিবস ও আমরা

Image
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির অনেক সূর্য সন্তান, যারা মাত্র দু'দিন পরে স্বাধীনতা লাভ করা জাতিকে পথ দেখাতে পারতেন, নিয়ে যেতে পারতেন অভীষ্ট লক্ষ্যে, প্রাণ হারিয়েছিলেন পাক হানাদার আর তাদের দেশীয় দোসরদের হাতে। আসন্ন পরাজয় বুঝতে পেরে ওরা হেনেছিল শেষ আঘাত, ভেঙ্গে দিতে চেয়েছিল জাতির মেরুদণ্ড। আজ দেশের সার্বিক অবস্থার দিকে তাকালে বুঝি এ ব্যাপারে ওরা অনেকটাই সফল হয়েছিল। অনেকেই প্রশ্ন করেন কেন এই জ্ঞানী গুণী লোকেরা এত বিপদের মধ্যেও পরিবার পরিজন নিয়ে দেশে থেকে গেলেন, পালালেন না, অনেকেই সরকারি চাকরি করে গেলেন। এ প্রশ্ন আমার মাথায় যে কখনও আসেনি তা নয়। কিন্তু যদি একটু ভেবে দেখি, বুঝব এদের থেকে যাওয়াটাও স্বাধীনতার জন্য অপরিহার্য ছিল। সেই বিপদ সংকুল দেশে থেকে এরা নিজের নিজের মত করে স্বাধীনতার জন্য কাজ করে গেছেন।   সেই সময়ে ভারতে প্রায় এক কোটি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। আরও কয়েক হাজার বুদ্ধিজীবী তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সেখানে গেলে হয়তো তাদেরও জায়গা হত। পাক বাহিনী আর তাদের দোসররা তো সেটাই চেয়েছিল। তারা তো দেশের মানুষ চায়নি, চেয়েছে মাটি। তাই সবাই যদি ওপার চলে যেত

হাসান আজিজুল হক

Image
গত সোমবার থেকে টাইম লাইনে একের পর এক স্ট্যাটাস আসছে কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে। কিছু কিছু স্ট্যাটাসে তাঁর মত লেখকের ততটা জনপ্রিয় না হওয়ার কারণ হিসেবে পাঠকদের অপরিপক্কতাকে দোষারোপ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এ নিয়ে অনেক লেখালেখি হচ্ছে। বাড়িতে সবার নিজ নিজ লাইব্রেরি ছিল, নতুন বই বেরুলেই সেটা কারও না কারও সংগ্রহে যোগ হত, তাই তাঁর বই যে বাড়িতে ছিল তাতে সন্দেহ নেই, তবে আগে তাঁর লেখা পড়েছি কিনা বা দেশে থাকতে তাঁর নাম বা লেখার সাথে পরিচিত ছিলাম কিনা সেটা আমি ঠিক মনে করতে পারছি না ।     হাসান আজিজুল হকের কথা অনেক শুনেছি (দ্বিজেন) কাকুর মুখে। হয়তো রাজশাহীর বন্ধুরা, মানে শাওন, সুস্মি ওরাও কখনও বলেছে, তবে কাকুর বলাটাকেই খুব ভাল ভাবে মনে আছে। কাকু তাঁকে হাসান বলে বলতেন আর আমি এই হাসান হাসান হাফিজুর রহমান কিনা সেটা জানতে চাইলে কাকু বলতেন, না, উনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসান আজিজুল হক। ২০১৬ সালে যখন কাকু একাত্তরের উপর আমার লেখা দেখে বই প্রকাশের কথা বলেন । সেই প্রসঙ্গে ই বলেছিলেন, তুমি লেখাটা শেষ কর, আমি হাসানকে বলব এর উপর কিছু লিখতে। তবে বইয়ের সম্পূর্ণ পাণ্ডুলিপি ক