Posts

Showing posts from December, 2016

শুভ সতের

Image
২০১৭ দরজায় দেয় টোকা আয়নায় নিজেকে লাগে বড় বোকা কি বলবো বন্ধুদের আজকের দিনে ভাবছি সে কথা বসে মনে মনে জ্ঞানীর যেন জ্ঞান বাড়ে মূর্খের কমে মূর্খতা ধনীর যেন ধন বাড়ে গরীবের কমে দারিদ্রতা চোর যেন কম চুরি করে ঘুষখোর ঘুষ নেয় কম শোষক যেন কম শোষণ করে শোষিত যাতে পায় দম অর্থলোভ কমুক, বাড়ুক জ্ঞান পিপাসা হতাশা দূর হোক, জাগুক মনে আশা চোর ডাকাত ভদ্রলোক  - সুস্থ থেকো সবাই নববর্ষে সবার জন্য কামনা মোর এটাই মস্কো, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬  

ভাত নয় কথা চাই

Image
দু’ দিন আগে দেশ থেকে ফিরলাম।কুয়াশায় ঢাকা শীতের বাংলাদেশের পর বরফাচ্ছন্ন দুবনাকে বেশ অপরিচিত মনে হচ্ছে। দিদির সাথে কথা হল। ফোনে।৫০ মিনিট কথা বললাম। আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে এক মাস দেশে ছিলাম, আর বলতে গেলে পুরো সময়টাই কাটল বাড়ীতে, দিদির সাথে এত কথা কখনই বলা হয়নি। আমার সময়ের অভাব ছিল না, তবে সেই ভোর পাঁচটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত দিদির কাটল হাজার রকম রান্নাবারির মধ্যে। আমি তো ভোজন রসিক নই, খেলে বরং আনন্দের চেয়ে কষ্টই বেশি পাই, এই বুক জ্বলে তো, ওই গ্যাসের চাপে হৃদপিণ্ড গলা দিয়ে বেরিয়ে যেতে চায়। অথচ গত দুদিন কাটল একটু ভাত আর কয়েকটা ডিম খেয়ে। বুক জ্বালা নেই, গ্যাসের চাপ নেই। এমন কি গ্যাসের চাপ সইতে না পেরে আমার গ্যাস চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্ল্যানটা পর্যন্ত গায়েব হয়ে গেল। তেল ঝোলে চকচকে আর ঝালে নুনে রমরমা দেশের খাবার দেখে লোভ হয় ঠিকই, তবে তার পরবর্তী উপসর্গ সব সময় উপভোগ্য নয়। এ খাবার রাধুনির পারিদর্শয়িতা প্রকাশ করে ঠিকই, তবে আমার মত একটা দুই নম্বরি পেটের মালিক হলে খাদকদের দুর্বলতার হাড়িটাও হাটে ভেঙ্গে দেয়। তাই দেশে গেলে বাড়ী থাকা বা কারো বাসায় যাওয়া আমার জন্যে অনেকটা রাজা

রিম ঝিম ঝিম ঝিম ঝিম

Image
দেশে আসলে প্রথমেই যে সমস্যাটা হয় , সেটা খাবার নিয়ে | দোষটা যতটা না খাবারের তার চেয়েও বেশী নিজের পেটের | একটু এদিক ওদিক হলেই বাপরে বাপ | তাই প্রতি বারই দেশে আসার আগে একটা বিশাল চার্ট করি ( মনে মনে ) কি কি খেতে হবে , আর এসেই এক এক করে সেই চার্টটা কাটতে শুরু করি | ফলে শেষমেষ কোনো কিছু না খেয়েই ফিরি নিজের আস্তানায় | এবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না , যদিও আহসানের ডাকে পুরানো ঢাকার কাবাব খেয়েছি রাত দুপুরে | তবে তার পর থেকে মুখে কুলুপ এটেই ছিলাম | কিন্তু সমস্যাটা ঘটল ৮ তারিখে রেজার সাথে বাইরে খাবার খেয়ে | সেদিন থেকেই একটু অস্বস্তি লাগছিল | ১০ তারিখে বিকেলে গেলাম কালিগন্গায় নৌকা বাইতে আর নৌকা বাওয়া শেষে রাস্তায় পিয়াজি দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম না | পরিচিত দোকানদার | ছোট বেলায় হাজার বার খেয়েছি ওদের পিয়াজি - টানা - গজা আরো কত কি ! তাই কিছু পিয়াজি নিয়ে গেলাম বাড়িতে | মুড়ি দিয়ে বেশ মজা করেই খেলাম বিশুর দোকানের পিয়াজি | পিয়াজি তো নয় , একেবারে জেনারেল নিয়াজি | এর পর থেকে রাত প্রায় চারটে পর্যন্ত সেকি তান্ডব - যেন আগ্নেয়গিরির লাভা ফুসছে পেটের ভেতর | কয়েক ঘন্টার গর্জনের পর শেষ পর্যন্ত শুরু হলো বর্

ওয়াক থু

Image
ঘুরে বেড়াচ্ছি বন্ধুদের সাথে গায়ের পথে - গায়ের সবুজ মাঠের ভেতর দিয়ে অজগরের মত একে বেকে যে পথ গেছে চলে , সেই পথেই হাটছি আমরা আর বলছি অতীত দিনের কথা | এইখানে তোদের শেওড়া গাছটা ছিল , মনে আছে ? থাকবে না কেন ? এখান দিয়েই তো আমরা স্কুলে যেতাম | আর একা যেতে হলে শেওড়া গাছের ভুতের কথা মনে করে সে কি ভয়ই না পেতাম | আবার কিছুক্ষণ চুপচাপ | - আচ্ছা দীনবন্ধু কোথায় জানিস ? - শুনেছি ও এখন ভারত থাকে | একটাও দাত নাকি নেই | বলেই আমার সাথী ওয়াক থু করে এক গাদি থু থু ফেলল পথের পাশে | কথায় কথায় থু থু ফেলা আমাদের জাতীয় রোগ বলেই মনে হয় | টেলিফোনে কথা বলছেন , হঠাত ওপাশে শোনা গেল - ওয়াক থু | মনে হলো এক দলা গরম থু থু আপনার কানে এসে পড়ল | ইচ্ছে করে ফোনটা ছেড়ে দিতে , পারি না | গত কুড়ি দিনে কত রকমের থু থু যে দেখলাম ! কেউ ডানে ফেলে তো কেউ বয়ে | কেউ আবার মাথার উপরের দিকে থু থু ছুড়ে এগিয়ে যায় সামনে , ঠিক যেমনটা ছোট বেলায় ফুটবল খেলতে গিয়ে করতাম | আবার কাউকে কাউকে দেখি পিচকারির মত থু থু ছুড়ে দিচ্ছে ডান থেকে বামে | কেউবা থু থু গুলো কামানের গোলার মত ছুড়ে

বিজন আইল

Image
সেদিন ঢাকা যাবার পথে দেখলাম বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নামে লেন , সরণী , ঘোড়ার ডিম , হাতীর ডিম - কত কিছুই না গড়ে উঠেছে | সমাজে সম্মানিত মৃত ব্যক্তিদের নামে এসব করার রীতি শুধু আমাদের দেশেই নয় . পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই বিদ্যমান | তবে দেশে দেখছি জীবিত লোকজন পাল্লা দিয়ে নিজেদের নামে এসব তৈরী করছে | আমার তো আর বিড়ালের ভাগ্যে শিকা ছেড়ার সম্ভাবনা নেই , তাই ভাবছি ভাইকে বলে যাব শোবার ঘর থেকে রান্না ঘর পর্যন্ত উঠানে এক ইটের একটা রাস্তা বেধে দিতে যেমনটা ছোট বেলায় আমরা করতাম বৃষ্টির পর পা না ভিজিয়ে এ ঘর ও ঘর করতে আর এই এক ইটি রাস্তার নাম আমার নামে রাখতে | আমি রোগা মানুষ , তাই রাস্তাটার এর বেশি মোটা হবার দরকার নেই | তবে এটা লেন বা সরণী হবে না | যতদুর জানি এক সময় এই ভুখন্ডের নাম ছিল বঙ্গ আর এখানে জমিগুলো আল বা আইল বা বাতর দিয়ে একে অন্যের থেকে আলাদা করে রাখা হত | পরে বঙ্গ আর আল বা আইলের সমন্বয়েই বাঙাল বা বাংলা শব্দটার উত্পত্তি | এই আইল গুলো একটা ইটের সমানই চওড়া আর যে জমির মালিক ছিল সবল , সে হরহামেশাই ওই অইলটা ঠেলে দেয় অপেক্ষাকৃত দুর্বল জমির মালিকের দিকে | এভাবেই সবল নিজের জমির পরিধি

জয় বাংলা

Image
একাত্তরের ষোলই ডিসেম্বর কনকনে শীতের মাঝেও এসেছিল বিজয় | এ বিজয় কাউকে করে পিতৃ-মাতৃ অথবা ভাতৃ হারা, কেউবা হারিয়েছে সম্মান, কেউবা সহায় সম্পদ, আবার এই যুদ্ধের ডামাডোলে কেউবা গুটিয়েছে তাদের আখের | কিন্তু এই দিনে সবার জন্যই উঠেছিল বিজয়ের লাল সূর্য, সবাইকে দেখিয়েছিল নতুন দিনের স্বপ্ন, সবার প্রাণে জাগিয়েছিল নতুন আশা | এই বিজয়ের হাত ধরেই জাতি শপথ নিয়েছিল গণতান্ত্রিক, জাতীয়তাবাদী, ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার | সময়ের সাথে আমরা অনেক কিছুর স্বপ্ন দেখতেও ভুলে গেছি, আবার সাময়িক রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য অনেক আশা আকাঙ্খাকে পরিনত করেছি দর কষাকষির অস্ত্রে | একাত্তরে পরস্পরের মুখোমুখি দাড়ানো অনেক শক্তিই আজ হাতে হাত রেখে কাজ করে একাত্তরের চেতনাকে দেশান্তরী করতে | মাত্র ৪৫ বছরেই স্বাধীনতার অনেক স্তম্ভে আজ মুখ থুবরে পরে গেছে | রাজনীতির কুট কৌশলে অনেক মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে রাজাকার, আবার অনেক রাজাকার হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণকারী | বদলায় মানুষ, বদলায় রাজনীতি, বদলায় এমন কি আদর্শও - বদলায় না শুধু বিজয়ের সূর্য, বদলায় না শুধু ষোলই ডিসেম্বর | ও ফিরে আ

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

Image
সকাল থেকেই বেশ কিছু স্ট্যাটাস দেখে অবাক হলাম , কারণে আপাত দৃষ্টিতে একই চিন্তার লোকেরা লিখছিল একে অন্যকে অভিযোগ করে | আর এটা হয়েছে গত কালের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসকে কেন্দ্র করে | এটি বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে অন্যতম স্পর্শকাতর একটি দিন | তাই এই দিনটিকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি বা মন কষাকষি , বিশেষ করে বন্ধুদের মধ্যে , মোটেও কাম্য নয় | আমাদের দেশটা স্বাধীন হয়েছে ৩০ লক্ষ প্রানের বিনিময়ে , যার অধিকাংশই ছিল সাধারণ মানুষ - অশিক্ষিত বা অর্ধ - শিক্ষিত চাষা ভুষা | যদিও নিজ নিজ পরিবারের কাছে প্রতিটি প্রানের মূল্যই অসীম - আর সমাজের কাছে প্রতিটি প্রানের মূল্যই সমান - কিন্তু কিছু কিছু প্রানের গুরুত্ব সামাজিক ও জাতীয় বিবেচনায় একটু বেশি হতেই পারে | সেটা সব দেশেই হয় | তাই বলে যাদের নাম উচ্চারণ করা হলো না , সেই সব লাখ লাখ শহীদের প্রতি অসম্মান করা হয় না , তাদেরকে অবজ্ঞাও করা হয় না | তবে অনেক সময়ই অতি উত্সাহী কিছু লোক নাম জানা কিছু লোকের কথা বলতে গিয়ে ভুলে যায় নাম নাজানা হাজার শহীদের কথা , আর সেটা ব্যথিত করে এই সব শহীদদের সন্তানদের | তবে যেসব শহীদদের সন্তানদের ডেকে তাদের বাবা