Posts

Showing posts from September, 2018

খেলার পরে খেলা

Image
সারাদিন গতকালের বাংলাদেশ – ভারত এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনাল নিয়ে হাজারো পোস্ট দেখছি। আমি কোন খেলাতেই বিশেষজ্ঞ নই, ক্রিকেটে তো নয়ই। সব খেলাই দেখি রিল্যাক্স করার জন্য, আইনের মারপ্যাঁচে না গিয়ে খেলা দেখি। খেলা দেখা মানেও স্কোর দেখা মাঝে মধ্যে কাজের ফাঁকে ফাঁকে। জানি যদি কাজ নাও করি, দু মিনিট পরেই অন্যমনস্ক হয়ে যাব কিছু একটা ভাবতে ভাবতে। এটা মনে হয় যারা অংক বা পদার্থবিদ্যা নিয়ে কাজ করেন তাদের কমন সমস্যা। প্রশ্ন বা সমস্যা মাথার মধ্যে সারাদিন ঘোরাফেরা করে, তাই অন্য যাই করি না কেন সেটা না করার মত। সারাদিন টিভি চলে। মুলত খবর। বউ কোন কথা জিজ্ঞেস করলে বলতে পারি না, কারণ ওসব কিছুই আমার কানে ঢোকে না। এসবই আমার জন্য পার্সোনাল কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ডের মত কাজ করে, এর বেশি কিছু না। তাই লিটন কিভাবে আউট হয়েছে জানি না, দেখিনি। দেখলেও বলতে পারতাম না ঠিক না বেঠিক – নিয়ম জানি না বলে। যাই হোক, এবারের এশিয়া কাপ ফলো করেছি, ভালো লেগেছে। পাঁচ পাঁচটা বিশ্বমানের দল উপমহাদেশে (শ্রীলংকাকে নিয়ে) – কম কথা নয়। আফগানদের খেলা ভালো লেগেছে, ওরা খেলার জন্যই খেলেছে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটা দেশে ওদের অগ্রগতি অকল্পনীয়।

অসুখের সুখ

Image
অসুস্থ হওয়ার বেশ কিছু ভালো দিকও আছে। আমার পা বাবাজী অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেটা টের পেলাম। পায়ে ব্যথা এটা ঠিক, তবে কষ্ট ছাড়া কেষ্ট মেলে এটাই বা কে বলল। সোমবার ক্লাস, তাই মস্কো যেতে হল। সেভাকে বলা ছিল মেট্রোতে আমাকে মিট করার জন্য। জ্যামের মধ্যে বসে নিজেকে আপেল, আম, আনারস ইত্যাদি সুস্বাদু ফলের সাথে তুলনা করতে করতে মস্কো পৌঁছতে রাত সাড়ে নয়টা। সেভাকে ফোন করলে বলল, “দেখি ক্রিস্টিনা বা মনিকা কি করে।“ বুঝলাম ও   হয়তো এইমাত্র গেম শুরু করেছে। ওটা শেষ না করে উঠবে না। মেট্রোতে থাকাকালীন মনিকা ফোন করলো, কিন্তু কথা বোঝা গেল না। স্পরতিভনায়া মেট্রো থেকে তিন মিনিটের হাতা রাস্তে। তাই আর ওদের ফোন না করে নাচতে নাচতে বাসায় চলে গেলাম।   গিয়ে দেখি বরাবরের মতই কাপ প্লেট বাসনকোসন এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আমার অপেক্ষায়। বললাম, “আমার পা ব্যথা, এসব তোমাদের নিজেদেরই করতে হবে।“       “ঠিক আছে। আমরা কিছুক্ষন আগে বাসায় ফিরেছি। কাল করব এসব।“ পরের দিন সকালে উঠে মেয়েদের পেলাম না। সেভা কলেজে যাওয়ার আগে আমাকে ট্রেনে তুলে দিয়ে এল। আমি অবশ্য একাই যেতে পারতাম। ওকে ডাকলাম, যাতে গেম থেকে উঠে বসে। ও বলল আমি ফেরার সময় ও ল

ভল্গার হাওয়া

Image
ডাক্তারদের প্রশ্নে আমি আর আমার বউ একেবারে বিপরীত মেরুর বাসিন্দা । ও ডাক্তারের কাছে যাওয়া একেবারেই পছন্দ করে না । বাচ্চাদের ডেলিভারি ছাড়া আর কখনও ও ডাক্তারের দুয়ার মাড়িয়েছে বলে মনে পড়ে না । এমন কি সেই ২০১৫ সালে দাঁত উঠিয়ে সব ঠিকঠাক করে আর ওদিকে পা বাড়ায়নি দাঁতগুলো লাগানোর জন্য অগ্রিম টাকা পে করার পরেও । আমার ঘটনা আলাদা । আমার মনে হয় শরীরের সমস্যা এটা ডাক্তারদের সমস্যা, সেটা ঠিক করা ওদের কাজ । তাই কিছু হলেই হাজির হই ওদের দুয়ারে । অ্যাসিডিটির সমস্যা আমার অনেকদিন থেকে । এবার তাই ভাবলুম যাই দেখি ডাক্তারের কাছে । সব শুনে ডাক্তার পাঠালেন গ্যাস্ট্রস্কোপি করাতে । ছোট একটা গ্যাস্ট্রিক মত আছে । সেটা আমি ওদের ছাড়াই জানতাম । এসব জানার জন্য পেটের ভেতর এত দামী নল ঢুকাতে হয় না, অল্প পয়সায় এক দুই পেগ ভদকা চালান দিলেই হয়। এই ফ্রন্টে সে অর্থে কোনই পরিবর্তন ঘটেনি । এ রপর ডাক্তার পাঠালেন অ্যাবডোমেনের আল্ট্রাসনো করাতে । সিস্টার বলে দিল কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে । নির্ধারিত দিনে গেলে ডাক্তার সব দেখে বললেন, “পেটে প্রচুর গ্যাস । তবে এর আগে যেমনটা ছিল তার চেয়ে তেমন পরিবর্তন ঘটেনি । যাও, ড

পায়ের মাথাব্যাথা

Image
আমার শরীর যে অসুখ-বিসুখের হোস্টেল এটা অনেক আগে থেকেই জানতাম, তবে ইদানিং মনে হচ্ছে এটা ওদের বাপের বাড়িতে পরিণত হয়েছে। বেড়াতে এলে আর যেতে চায় না, আবার আসেও সাধারণত ছুটির দিনে ঠিক যেমন চাকুরীজীবীরা আসে সপ্তাহের কাজের শেষে গ্রামের বাড়ি দু’দিন রেস্ট নিতে। গত রোববার ঘুম থেকে উঠতে গিয়ে দেখি বাম পা টা আলসেমি করছে। ডান পা হলে হয়তো এতোটা বিচলিত হতাম না, তবে বামপন্থায় বিশ্বাসী মানুষদের জন্য বাম পায়ের গুরুত্বই আলাদা। রোববার বলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া হল না। সোমবার ক্লাস, মস্কো যেতে হল। আমি আবার দাঁড়িয়ে বা বসে পড়াতে পারি না, অনবরত হাঁটি। পায়ের উপর চাপ পড়ল। ক্রিস্টিনাকে বললাম আমাকে মিট করার জন্য। কারো জন্য অপেক্ষা করা আমার জন্য এক বিশাল সমস্যা। কেন যেন মনে হয় ঐ লোকটাকে আমি চিনতে পারব না। তাই যতক্ষন না দেখা হচ্ছে টেনশনে সময় কাটে অথবা বলা চলে সময় কাটে না। এ জন্য বউ আমার সাথে বাইরে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে না। জানে আমি ঠিক উল্টোপাল্টা কিছু একটা করে কোথাও চলে যাব। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে এক সময় ফোন করলাম ক্রিস্টিনাকে। ট্রেনের শব্দে কথা বোঝা গেল না। লাইন কেটে গেল। বুঝলাম ও এখন মেট্রোতে। আবার অপেক্ষা। অনেকক্ষণ