Posts

Showing posts from December, 2022

ট্যাটু

Image
গতকাল একজন প্রশ্ন করল কিসের ট্যাটু আঁকা যায়। যাতে আধুনিকও লাগে আবার খুব ভালগার মনে না হয়। নববর্ষের প্রাক্কালে এ ব্যাপারে কিছু সাজেশন -  করোনা দীর্ঘস্থায়ী হলে মুখে মাস্কের ট্যাটু আঁকা যায়। তাতে ভাইরাস ও মানুষ দু'টোকেই জব্দ করা যায়। টেকোরা মাথায় চুলের ট্যাটু আঁকতে পারে। যারা ধর্ম কর্মে তেমন বিশ্বাসী নয় অথচ ধার্মিক বন্ধু বান্ধব বা প্রতিবেশীদের জন্য অজুহাত খোঁজে তারা মুসলিম হলে কপালে কালো দাগ আর হিন্দু হলে তিলকের ট্যাটু আঁকতে পারে।  যাদের প্রগতিশীল হওয়ার চেয়ে নিজেদের প্রগতিশীল দেখানোটাই বেশি জরুরি তারা কাস্তে হাতুড়ি বা চে র ট্যাটু আঁকতে পারে।  আসলে সবকিছুর মত ট্যাটুও যেন উপকারী ও উপভোগ্য হয় সেটা মাথায় রেখে ট্যাটু আঁকতে পারেন।  দুবাই, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

শুভ নববর্ষ ২০২৩

Image
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ হয়ে সে চলে। তাই ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক প্রতিটি মানুষকে তার টিকে থাকার জন্য অন্যদের উপর নির্ভর করতে হয়। সবচেয়ে ধনী লোক তার সম্পদের জন্য কোটি কোটি গরীবের উপর নির্ভরশীল। যে লোক নিজেকে সবচেয়ে স্বাধীন মনে করে সেও তেলটা, নুনটার জন্য অন্যের কাছে ঋণী কারণ অন্য কেউ সেটা উৎপাদন বা বিক্রি করে। মানব সমাজের প্রতিটি সদস্য এভাবেই বিভিন্ন ভাবে হাজারো বন্ধনে হাজার জনের সাথে জড়িত। আর তাই মানুষে মানুষে বন্ধুত্ব হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। এই সূত্র ধরে মানুষ মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করে। বন্ধুত্ব করে স্কুল কলেজে, কর্মক্ষেত্রে, সামাজিক মাধ্যমে, জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে। কিন্তু অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় অধিকাংশ মানুষ অন্যের সাথে বন্ধুত্ব করলেও নিজের মাথার সাথে, নিজের বিচার বুদ্ধির সাথে বন্ধুত্ব করে না। মাথা যে শুধু মুখ, চোখ, নাক, কানের হোস্টেল নয় সেটা অনেকেই ভাবে না। কান দিয়ে অন্যের কথা শুনে, চোখ দিয়ে চারিদিক দেখে মুখ খোলার আগে যে মাথার পেছনে লুকিয়ে থাকা মগজের সাথে একটু পরামর্শ করতে হয় সেটা অনেকে জানেই না। আর মানুষ যদি সেটা করতো তাহলে অনেক বিপদ সে এড়িয়ে চলতে পারত। নববর্ষে তাই স

সোভিয়েত

Image
আজ ৩০ ডিসেম্বর ২০২২। আজ থেকে ঠিক এক শ বছর আগে ১৯২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর গঠিত হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। রাশিয়ায় এ নিয়ে কোনো উৎসব হয়নি। সোভিয়েত ইউনিয়নের উপর বেশ ভালো কিছু ডকুমেন্টারি দেখাল। আসলে লেনিনের বিশাল রুশ ভূমি ইউক্রেনকে দিয়ে দেবার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের অনেক পজিটিভ দিকের সাথে সাথে আজকের সমস্যার পেছনে বলশেভিক নেতৃত্ব, বিশেষ করে লেনিনের ভূমিকা সমালোচিত হয়েছে। লেনিন কখনোই রুশ জাতীয়তাবাদী ছিলেন না। তিনি রুশ সাম্রাজ্য ভেঙে দিতে পিছপা হননি। তাঁর কাছে এসব দেশের শ্রমিকদের পারস্পরিক সহযোগিতা ছিল গুরুত্বপূর্ণ যা বুর্জোয়া শ্রেণীর ধ্বংস নিয়ে আসবে। আজ সোভিয়েত ইউনিয়ন নেই। তবে তার বিভিন্ন ধরণের উত্তরাধিকার রয়ে গেছে। ইউক্রেন রকেটের গতিতে ডিসোভিয়েতিজাইশন চালিয়ে যাচ্ছে। তবে নিয়তির নির্মম পরিহাস এই যে এখনও পর্যন্ত সোভিয়েত অস্ত্র আর সেই সময়ের কলকারখানা যা তারা এখনও ভাঙতে পারেনি এসবই তাদের রক্ষাকর্তা হিসেবে দেখা দিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন করে রাশিয়া কেন বিভিন্ন ব্রীজ ধ্বংস করে ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে না। আন্তনভ ব্রীজে হাইমার্স ১৪২ বার সরাসরি আঘাত করেও ধ্বংস করতে পারেনি।

অসমাপ্ত আলোচনা

Image
পলিক্লিনিকে বসে ছিলাম ডাক্তারের অপেক্ষায়। ইদানীং কালে প্রেসারটা প্রায়ই অধঃপতিত হচ্ছে। তাই একটু কনসালট করা আর কি। আরও একজন ভদ্রলোক সেখানে।  হার্টের সমস্যা?  এই প্রেসারটা একটু ওঠানামা করছে। তেমন কিছু না।  হ্যাঁ, একে তো হেঁয়ালি আবহাওয়া তার উপর পারিপার্শ্বিক অবস্থা। সব মিলিয়ে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন।  এটা হয় আমাদের লোভ থেকে। আমরা সব সময় বেশি বেশি পেতে চাই।  হ্যাঁ। সবার যদি যথেষ্ট পরিমাণ সবকিছু থাকতো তাহলে হয়তো এত সমস্যা থাকত না।  সমস্যা কোন কিছু থাকা না থাকার মধ্যে নয়, সমস্যা মানুষের লাগামহীন চাহিদার জন্য।  কেন এমন ভাবছ?  আমি এ দেশে ১৯৮৩ সাল থেকে। আমাদের দেশে তখন অধিকাংশ মানুষের মৌলিক জিনিসপত্র পর্যন্ত ছিল না। সেখানে এদেশে সবার অন্তত খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষ, চিকিৎসা এসব ছিল। হয়তো সবকিছু খুব উন্নত মানের ছিল না, তবে ছিল। কিন্তু মানুষ তাতে খুশি ছিল না। আর খুশি ছিল না মূলত সেইসব মানুষ যাদের অনেক ছিল। চাহিদা এমন এক জিনিস যার শেষ নেই। যার যত আছে, সে তত বেশি চায়। আর তারাই একদিন দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলল। সুতরাং শুধুমাত্র ভোগের বস্তু দিয়ে সবাইকে খুশি করা যাবে না, মানুষকে মানসিক ভাবে উন্নত

মানুষ ও মানসিকতা

Image
কেমিস্ট্রি ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে মেট্রোরেলের চালক হয়েছেন বলে এক নারী আলোচনায় উঠে এসেছেন। কেউ কেউ বলছেন দেশ একজন ইঞ্জিনিয়ারের কাছ থেকে আরও বেশি আশা করে। আমার মনে হল হাজার হাজার বিশেষজ্ঞের কথা যারা বড় বড় ডিগ্রি নিয়ে আমলা হন, ব্যবসায়ী হন, রাজনীতিবিদ হন, ঘুষখোর হন, ঠগবাজ হন। এবং তারচেয়ে বেশি মানুষ ইউনিভার্সিটির উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে বেকার হন। বর্তমান বিশ্বে যেখানে একদিকে বাড়ছে টিকে থাকার প্রতিযোগিতা আর অন্য দিকে খুলে যাচ্ছে নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার সেখানে বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষা প্রাপ্ত মানুষ প্রায়ই নিজেদের বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত করছেন। অনেকেই নিরুপায় হয়ে, অনেকেই নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করতে। কারণ এসব পেশার মানুষ নিজেদের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করাতে পছন্দ করে। সবচেয়ে বড় কথা এটা তার নিজস্ব চয়েজ। আসুন অন্যের মতামতকে সম্মান করতে শিখি। আমার ধারণা এটা একটা ঘুষ দুর্নীতি মুক্ত পেশা। আমাদের সমাজের জন্য সত্যিকার অর্থেই চ্যালেঞ্জ। আমাদের দেশের অনেক মানুষ উচ্চ শিক্ষার সার্টিফিকেট নিয়ে বিদেশে অড জব করে। সেক্ষেত্রে মরিয়ম হতে পারে

মানসিকতা

Image
গতকাল ফেসবুকে সোনিয়া মির্জা নামে এক মেয়ে ভারতে যুদ্ধ বিমানের প্রথম মহিলা চালক সেই খবর দেখলাম। মেয়েটি মুসলিম পরিবারের। কেউ তার ধর্মের উপর গুরুত্ব আরোপ করছে, কেউ তার লিঙ্গের। মধ্য থেকে হারিয়ে গেছে মানুষটা, তার মেধা, তার অধ্যাবসায়, স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তার অক্লান্ত পরিশ্রম। কেন এমন হয়? আমাদের সমাজ ব্যবস্থা আর মানসিকতার জন্য। আমাদের সব কিছুই হয় ভাগ্যের ফেরে, ঈশ্বরের কৃপায়। লিঙ্গ, ধর্ম এসব ঈশ্বর প্রদত্ত। এসবের উপর সাফল্যের দায় ছেড়ে দিলে পক্ষান্তরে ঈশ্বরের উপর ছেড়ে দেয়া হয়। যদি মেধাকে সামনে আনা হয় তবে ঈশ্বর নয় মানুষকেই তার ভাগ্য বিধাতা বলে মেনে নিতে হয়। এটা করতে যে সাহসের দরকার সেটা আমাদের অনেকেরই নেই। মস্কোর পথে, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২

চিন্তার স্বাধীনতা

Image
আমরা প্রায়ই মুক্তচিন্তা, চিন্তার স্বাধীনতা এসব কথা বলি। বলি জাতীয়, ধর্মীয় এসব ব্যাপারে স্বাধীনতা যতই থাকুক না কেন চিন্তার স্বাধীনতা না থাকলে এ সবই অর্থহীন। কিন্তু চিন্তার স্বাধীনতা কি আদৌ সম্ভব? আমার ধারণা সেটা অসম্ভব। কারণ চিন্তার স্বাধীনতা আপেক্ষিক। আমাদের চিন্তা অনেকাংশে আমাদের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা দ্বারা সীমাবদ্ধ বা অনুপ্রাণিত। আর সেই শিক্ষা আমরা কোথায় পাই? পরিবারে, সমাজে, স্কুলে, রাস্তায়। অর্থাৎ যা কিছু আমাদের ঘিরে আছে তা থেকে আমরা জীবনে বিভিন্ন ধরণের অভিজ্ঞতা অর্জন করি। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমরা শুধু নিজেরাই পথ চলি না, অন্যদের পথ দেখাই। এভাবেই সমাজে জন্ম নেয় গড়পড়তা মানুষ। এভাবেই সমাজে জন্ম নেয় ভালো মন্দের সংজ্ঞা। সে অর্থে প্রতিটি সমাজই এক একটা ধোলাই মেশিন যেখানে মানুষের মগজ ধোলাই করা হয়। আর মগজ ধোলাই মানে সমাজে প্রচলিত কিছু নিয়মকানুনে অন্ধভাবে বিশ্বাস করানো, সেসব কিছু বেদ বাক্য হিসেবে মেনে নেয়া। অন্য দিকে স্বাধীনতার মূল মন্ত্র হওয়া উচিত কোন কিছুতেই অন্ধভাবে বিশ্বাস না করা কারণ অন্ধ বিশ্বাস তা সে যেকোন আদর্শেই হোক না কেন মৌলবাদের জন্ম দেয়। তাই চিন্তায় স্বাধীন হওয়া ব

দেশ

Image
প্রায়ই একটা প্রশ্ন অনেকের মুখেই শুনতে পাই "স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পরেও আমরা কেন পাকিস্তানের ভূত ঘাড়ে করে ঘুরে বেড়াচ্ছি?"   আমরা পাকিস্তানের দ্বিজাতিতত্ত্বের বিপরীতে ধর্ম নিরপেক্ষতার আদর্শে নতুন দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলাম" এটাই দেশের প্রচলিত ভাষায়। কিন্তু একটু ভেবে দেখলে? সাধারণ মানুষ, যাদের উপর যুদ্ধটা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল তারা শুধুই শান্তিতে বসবাস করার জন্য যুদ্ধ করেছিল। রাজনীতির হিসাব নিকাশ তাদের ছিল না। তাদের বলা হয়েছিল তাদের সমস্ত দুর্দশার মূলে আছে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসা নব্য উপনিবেশবাদীদের শোষণ। তাই শাসনটা একবার নিজের হাতে তুলে নিতে পারলেই সব দুঃখের অবসান ঘটবে। সাধারণ মানুষ সব সময়ই নেতাদের বিশ্বাস করে, তখনও করেছিল। শেখ মুজিব সহ তার ঘনিষ্ঠ কিছু সহযোগী, বামপন্থী রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে সিপিবি, ন্যাপ, ছাত্র ইউনিয়ন ও স্বাধীনতাকামী বুদ্ধিজীবীরা সত্যিকার অর্থেই দেশটার খোলনলচে বদলানোর জন্য লড়াই করেছিলেন। তারা সত্যি চেয়েছিলেন সাম্প্রদায়িক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে। তবে আওয়ামী লীগের মধ্য সারির নেতা কর্মীদের সিংহ ভাগ শুধু ক্ষমতার প

জয় বিজয়ের খেলা

Image
সেই বয়সে দেশ, স্বাধীনতা, বিজয় এসবের গুরুত্ব ঠিক ততটা বুঝতাম না। বিজয়ের মানে ছিল যুদ্ধ শেষ, ভয়ের অবসান, আবার নিজের গ্রাম তরায় ফিরে যাওয়া, গ্রাম থেকে পালিয়ে যাওয়া পাড়ার খেলার সাথীদের আবার দেখা পাওয়া, যেসব রাজাকাররা গ্রাম লুট করেছে আর মানুষ মেরেছে তাদের বিচার - সেই ছোট বেলায় এসব নিয়েই বিজয় এসেছিল। একটা জীবন কেটে গেল - রাজাকাররা বহাল তবিয়তে, পাড়ার বন্ধুদের অনেকেই আবার বাধ্য হয়েছে দেশত্যাগে। আগে দেশের সম্পদ পাচার হত পাকিস্তানে, এখন কানাডা, ইউরোপ, আমেরিকায়। সাধারণ মানুষ তখন যেমন, এখনও তেমনি রিসিভিং এন্ডে পড়ে আছে। তার পরেও আমরা স্বাধীন। এটাই শান্তনা। সবচেয়ে বেশি স্বাধীন শহীদদের দেয়া প্রতিশ্রুতি থেকে।  সবাইকে শুভেচ্ছা। মস্কো, ১৬ ডিসেম্বর ২০২২

কথোপকথন

Image
আমাদের ফটো ক্লাবে মাঝেমধ্যে কেউ কেউ সাথে করে বাচ্চাদের নিয়ে আসে। কিছু দিন আগে এরকম এক বাচ্চার সাথে কথা হচ্ছিল। ও খুব মনোযোগ দিয়ে কি একটা ছবি দেখছিল। আমি ওর একটা ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা ঘোরাতেই ও আমাকে অবাক করে প্রশ্ন করল আঙ্কেল, ঈশ্বর আছে? যে বিশ্বাস করে তার জন্য আছে, যে বিশ্বাস করে না তার জন্য নেই।  তুমি ঈশ্বরকে দেখেছ? না।  মামা বলে তাঁকে নাকি দেখা যায় না। মামা আর কি বলে? বলে তিনি সব দেখতে পান আর তিনি সর্ব শক্তিমান।  তুমি মামাকে জিজ্ঞেস কর ঈশ্বর যদি সর্ব শক্তিমান হন, সব পারেন তাহলে আমাদের দেখা দিতে পারেন না কেন? পরের বার উত্তরটা জেনে আমাকে জানিও।  মস্কোর পথে, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

গণতন্ত্র

Image
ছাত্র জীবনে আমরা মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষার কথা বলতাম। সেটা কী? খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা। মানুষের এই মৌলিক অধিকারগুলো অর্জনের জন্য দরকার কাজ বা উপার্জনের নিশ্চয়তা। কারণ সেটা থাকলে মানুষ নিজে তার মৌলিক অধিকারগুলো পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে। সেদিক থেকে দেখলে সবার জন্য কাজ নিশ্চিত করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেক আগে পৃথিবীতে এরকম একটা দেশ ছিল। এরপর আমাদের সামনে চলে এলো বাকস্বাধীনতার মহা মন্ত্র। প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্ণ তাতে সন্দেহ নেই। তবে দেখা গেল সেটাও সবার জন্য নয় বা সব কথা বলার জন্য নয়। স্বার্থের পরিপন্থী হলে কর্তা ব্যক্তিরা সেখানে ফতোয়া দিতে পারে, দেয়। দরকারে সামাজিক মাধ্যমে একাউন্ট লক করে। তারপরেও এসব দেশ গণতান্ত্রিক। কীভাবে? এর উত্তরে এক বন্ধু বলল - যতদিন পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ক্ষমতায় ততদিন আমেরিকা বাই ডিফল্ট ডেমোক্র্যাটিক।  হ্যাঁ, আজকাল ভেজাল ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় না, এমনকি গণতন্ত্রের মত একটা নিষ্পাপ নির্বিরোধী ধারণা পর্যন্ত না।    দুবনা, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ 

সম্ভাবনা

Image
আপনি মাঝেমধ্যে বলেন ঈশ্বর মানুষের সৃষ্টি। কিন্তু তার কোন প্রমাণ আছে?  না। তবে সবকিছুর প্রমাণ যে হাতে নাতে থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই। তাছাড়া আমি একথা বলি একটা সম্ভাবনা হিসেবে, একমাত্র সত্য বলে দাবি করি না।  কিন্তু এটা বলার পেছনে নিশ্চয়ই কোন কারণ আছে? সে তো বটেই। কেউ যখন কিছু সৃষ্টি করে সে চেষ্টা করে যতদূর সম্ভব নিখুঁত ভাবে সেটা তৈরি করতে। অন্তত দায়িত্বশীল কেউ সেটাই করে। মানুষ ঈশ্বরকে পরম করুণাময়, সর্বশক্তিমান, সর্ব ভূতে বিদ্যমান, সর্বজ্ঞ ইত্যাদি হাজার হাজার ভালো গুনে ভূষিত করে। কিন্তু পৃথিবীতে আজ একজন পারফেক্ট মানুষ পাবে? আমাদের অধিকাংশ যাচ্ছেতাই রকমের খারাপ। ঈশ্বর যদি মানুষ সৃষ্টি করে থাকেন তাহলে বলতে হবে তিনি খুবই নিম্নমানের স্রষ্টা। তাই আমি মনে করি ঈশ্বর কর্তৃক মানুষ সৃষ্টি করার চেয়ে উল্টোটা ঘটার সম্ভাবনা বেশি। মস্কো, ১২ ডিসেম্বর ২০২২

সাব পিকনিক

Image
ফেসবুক ও অন্যান্য গণ মাধ্যমে কয়েকদিন ধরে SAAB এর আগামী পিকনিকের খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে। কুপন সংগ্রহ করার আমন্ত্রণ। এটা নিঃসন্দেহে আনন্দের ব্যাপার যে বন্ধুরা আবার মিলবে মিলন মেলায়। সোভিয়েত ইউনিয়নে আমরা অনেকেই যেমন অল সোভিয়েত সম্মেলনের অপেক্ষায় থাকতাম সাবের পিকনিক অনেকটা তাই। তবে সেই সাথে আর যে ব্যাপারটা চোখে পড়ল তা হল এই পিকনিক আর মাঝেমধ্যে রুশ দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান আর কোন ভিপুস্কনিক বা তাদের আত্মীয় স্বজনদের মৃত্যু সংবাদ ছাড়া অন্য কোন খবর এখানে থাকে না। অথচ আমাদের বন্ধুরা বিভিন্ন জায়গায় খুবই সাফল্যের সাথে নিজের কাজ তো বটেই অনেক সামাজিক কাজকর্ম করছেন। আমাদের এই ঐক্যকে ব্যবহার করে আমার ধারণা আমরা সমাজের জন্য অনেক কিছুই করতে পারতাম। জানি নিজে বাইরে থাকি বলে এসব নিয়ে কথা বলার অধিকার অনেকটাই সীমিত। তবে ভিপুস্কনিকদের সাফল্য দেখে সব সময়ই আনন্দে বুক ভরে ওঠে। তাই এই কথা। দেশে যতদূর মনে হয় ঢাকার বাইরেও চট্টগ্রাম, খুলনা, রূপপুর এসব এলাকায় যথেষ্ট পরিমাণ ভিপুস্কনিক বাস করেন। রাশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে যেখানে সাব জাতীয় সংগঠন আছে এসব জায়গায় কি হতে পারে ন

মানবতা

Image
ধারণা করা হচ্ছে যে ইউরোপে ঠাণ্ডায় এবার তিন লাখ পর্যন্ত মানুষ মারা যেতে পারে। কারা মরবে? গরীব মানুষ যারা সরকারের প্রতি বিরূপ। অনেকদিন থেকে পশ্চিমা বিশ্ব গোল্ডেন বিলিয়নের কথা বলছে। এই তিন লাখ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া কি সেই প্ল্যানের অংশ? বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে স্যাঙ্কশন উঠিয়ে নেবার জন্য। কিন্তু সব প্রশাসন অটল। বরং নতুন করে স্যাঙ্কশন আরোপ করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের বাঁচার দাবি নাকি পুতিনের হাত শক্তিশালী করবে। তাই সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার চেয়ে ইউক্রেনের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া বেশি জরুরি। বিবেকানন্দ বলেছিলেন যে ধর্ম মানুষ হত্যা করে সে ধর্ম ত্যাগ করা শ্রেয়। যে মানবতা মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় সেই মেকি মানবতা কি আমাদের দরকার? নাকি এটা বিশাল হত্যা যজ্ঞের রিহার্সাল?একবার নিজেদের মানুষ মারতে পারলে পরে অন্যদের মারা মানসিক দিক থেকে অনেক সহজ হবে। দুবনা, ১১ ডিসেম্বর ২০২২

বেকার

Image
সেদিন কথা প্রসঙ্গে এক বন্ধু জানতে চাইল কে কাকে সৃষ্টি করেছে - ঈশ্বর মানুষকে নাকি উল্টোটা। কে কাকে সৃষ্টি করেছে সেটা বলতে পারব না বা বলতে পার প্রমাণ করতে পারব না তবে এটা ঠিক তাঁর থাকা না থাকার উপরে আমাদের বায়োলজিক্যাল অস্তিত্ব নির্ভর করে না যদিও আমাদের সামাজিক ও ক্ষেত্র বিশেষে রাজনৈতিক অস্তিত্ব অনেকাংশে তাঁর প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভরশীল। তার মানে কি এই নয় যে তিনি আছেন? কোন কিছু থাকা মানে সেটার ফিজিক্যাল উপস্থিতি নয়, অনেক সময় ধারণা অনেক বেশি শক্তিশালী। যেমন?  ধর একজন মানুষ কখনোই বিভিন্ন রকমের সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে নয় কিন্তু অন্যেরা তাঁকে অসীম শক্তিশালী বা সর্ব কর্মে পারদর্শী মনে করতেই পারে। এভাবেই মানুষ নেতা বা ধর্মীয় গুরুদের ভাবমূর্তি গড়ে তুলে। এই ভাবমূর্তিতে আট আনা ভাব আর আট আনা মূর্তি মানে সেই মানুষকে দেবতা বানিয়ে পূজা করা। কিন্তু এর সাথে ঈশ্বরের থাকা না থাকার সম্পর্ক কোথায়? ভগবান বা ঈশ্বর না থাকলেও তাঁকে তৈরি করতে হত। না হলে আস্তিকেরা তাদের সমস্ত সাফল্যের জন্য ধন্যবাদ দিত কাকে আর ব্যর্থতার ব্যথার উপশম খুঁজত কার মধ্যে? অন্য দিকে নাস্তিকরা নির্ভয়ে সৃষ্টিকর্তাকে গালি

আইন নাকি আই ইন

Image
আমেরিকায় ফেডারেল পর্যায়ে ছেলে ছেলে ও মেয়ে মেয়ের বিয়ের আইন পাশ হয়েছে। বিয়ে করা না করা নিয়ে মাথা ঘামাই না, তবে যদি সম্পত্তি বা দত্তক জনিত কারণে এটা হয়, তবে সে সমস্যা সমাধানের জন্য বিয়ে অবশ্যম্ভাবী নয়। বিয়ের সংস্কৃতি মানুষের তৈরি। মানুষ চাইলেই সেই সমস্যা সমাধানের জন্য অন্য আইন প্রনয়নের কথা ভাবতে পারত। এটা আসলে প্রচলিত সামাজিক রীতি নীতিকে চ্যালেঞ্জ করা। মহাভারতে বিভিন্ন মুনি ঋষি রেগে গেলে নির্বংশ হবার অভিশাপ দিতেন। কে জানে আমেরিকা কোন ভারতীয় মুনির কোপে পড়ল কি না?  সোভিয়েত ইউনিয়নে ছিল প্রলেতারিয়েতের ডিক্টেটরশিপ, আমেরিকা তথা পশ্চিমা বিশ্বে এখন মনে হয় এলজিবিটির ডিক্টেটরশিপ। কোনটা ভালো শুধু সময়ই বলতে পারবে। দুবনা, ০৯ ডিসেম্বর ২০২২

মানুষ

Image
মানুষের সমস্যা তার মানবিক (?) গুণাবলী, তার বুদ্ধি। এই বুদ্ধি বলেই সে ঈশ্বর আবিষ্কার করেছিল, তবে দুষ্ট লোকের হাতে সেই ধারণা ব্ল্যাকমেইল হয়ে গেছে। প্রাণী জগৎ এসব থেকে মুক্ত। ফলে প্রাকৃতিক নিয়মেই সেখানে সব হয়। সবাই হয় নিজের নিজের মত করে বাঁচে অথবা মিলেমিশে। কেউ কারো প্রতি দায়বদ্ধ নয় আবার সবাই সবার বিপদে এগিয়ে আসে। দশজনকে বাঁচাতে একজন অনায়াসে আত্মত্যাগ করতে পারে। সেখানে কাউকে চাকরি দেবার প্রশ্ন নেই, ঘুষ দেবার বা নেবার প্রশ্ন নেই। মানুষ সেটা পারে না। তাকে বসের মন রাখতে হয়, ঘুষ দিতে হয়, ঘুষ নিতে হয়। সামাজিক রীতি নীতি একদিকে তাকে যেমন মানুষ করে তোলে, অন্য দিকে তাকে দুর্নীতি করার দিকেও ঠেলে দেয়। মানুষ চাইলেই সবাইকে খুশি ও সুখী করতে পারে না। কারণ সবার চাহিদা ভিন্ন। গড়পড়তা সবাইকে খুশি করতে গেলে অসুখী লোকের সংখ্যা কমে না। এই অসন্তোষ ভাঙ্গে দেশ, ভাঙ্গে সমাজ। এ এক অদ্ভুত চক্র। দুবনা, ০৯ ডিসেম্বর ২০২২

যুদ্ধের বাজার খরচ

Image
শোনা যাচ্ছে যে ব্রিটেন ও কানাডার সহায়তায় কিয়েভ তলিয়াতি - ওদেসা পাইপ লাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাশিয়ার উপর দোষ চাপাতে চাইছে। তবে রাশিয়ার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেয়েও বড় এর অর্থনৈতিক দিক। এর ফলে রাশিয়ার এমোনিয়া বাজারজাত হবে না। পশ্চিমা বিশ্ব বলবে এটা রাশিয়ার আয় কমিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধ চালিয়ে যাবার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। তারা যেটা বলবে না তা হল এই সারের বেশির ভাগ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে যেত তুলনামূলক কম দামে। বাজারে সারের অভাব দেখা দেবে। বাড়বে দাম। আর এ থেকে লাভবান হবে আমেরিকা ও ব্রিটেনের কোম্পানিগুলো। নাথিং পার্সোনাল, ওনলি বিজনেস। এবং এটাও গণতন্ত্র। গণতন্ত্রের প্রসার ও রক্ষার জন্য অর্থ দরকার। অনেক অর্থের। কার? তার উপর পৃথিবীর মানুষ এই দায়িত্ব দিয়েছে বা যে নিজে নিজেই নিজেকে এই দায়িত্বে নিয়োজিত করেছে (তেমন করে সামরিক জান্তা) সেই আমেরিকার। তাই আয় যে পথেই হোক না কেন সেটা হক আয়। আচ্ছা আমাদের লোকজন কি ঘুষ নেবার সময়, দুর্নীতি করার সময় এভাবেই ভাবে যে মন্দির মসজিদে কিছু দান করলেই এসব আয় হালাল হয়ে যাবে? দুবাই, ০৭ ডিসেম্বর ২০২২

যুদ্ধ

Image
শুনলাম আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান টমাস বাখ নাকি বলেছেন যেকোনো দেশের অলিম্পিক দলে কম করে হলেও ১০% এলজিবিটি কমিউনিটির সদস্য থাকতে হবে। সন্দেহ নেই যে দেশে দেশে এই কমিউনিটির সদস্যরা যাতে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় আন্তর্জাতিক কমিউনিটির সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অর্থাৎ যদি কোন দেশ এ কারণে কাউকে দলে না রাখে সেটা নিয়ে সোচ্চার হতে হবে। কিন্তু যদি কোন দেশে যদি এই কমিউনিটির যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না যায় তাহলে? এখন যেভাবে ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজের চেয়েও মানুষের বর্ণ, সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশন ইত্যাদি যোগ্যতার মাপকাঠি হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাতে করে পশ্চিমা বিশ্ব এ ধরণের আইন চাপিয়ে দিলে অবাক হবার কিছু থাকবে না। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় পশ্চিমা বিশ্ব এখন সারা বিশ্বের বিরুদ্ধেই যুদ্ধে নেমেছে। কিন্তু সেক্ষত্রে শেষ পর্যন্ত অলিম্পিক গেম কি অবিভক্ত থাকবে নাকি এশিয়া, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো নিজেদের জন্য আলাদা অলিম্পিক গেম চালু করবে। সোভিয়েত ইউনিয়ন আর আমেরিকার খেলোয়াড়রা যাতে নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে সেজন্যে এক সময় গুড উইল গেল চালু হয়েছিল। দুবনা, ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ 

খেলা

Image
বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে কথা হচ্ছিল এক বন্ধুর সাথে। কথায় কথায় জার্মানির পারফরম্যান্স প্রসঙ্গ উঠে এল। বললাম  আসলে জার্মানি ফুটবলের চেয়ে এলজিবিটি সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে এত বেশি মেতে ছিল যে ভুলেই গেছিল তারা কেন কাতারে এসেছে। আচ্ছা এই যে পশ্চিমা বিশ্ব এলজিবিটি সহ বিভিন্ন আন্দোলন দেশে দেশে ছড়িয়ে দিতে চাইছে এর শেষ কোথায়? ন্যাচারাল সিলেকশন বলে একটা ব্যাপার আছে প্রকৃতিতে। এখনও বংশ বিস্তারের প্রধান উপায় নারী পুরুষের স্বাভাবিক মিলন। সেটা না থাকলে এরকম পরিবার খুব বেশি দূর যাবে না। দেখবেন অদূর ভবিষ্যতে এসব দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগন হবে এশিয়া, আফ্রিকা থেকে আগত মানুষ যারা হয় ট্র্যাডিশনাল সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে অথবা খুব কনজারভেটিভ। তাই কয়েক প্রজন্ম পরে এরা যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে গণতান্ত্রিক উপায়েই ক্ষমতা দখল করে আর এসব দেশে ধর্মীয় শাসন শুরু করে অবাক হব না। কয়েক বছর আগে জার্মানিতে যখন ইমিগ্র্যান্টরা কিছু মেয়েকে ধর্ষণ করে আর ছেলেরা অসহায় ভাবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেটা দেখে তখনই বুঝেছি এদের ভবিষ্যত অন্ধকার। এরা নিজ দেশে পরবাসী। যুগ যুগ ধরে পুরুষ তার মহিলাদের রক্ষা করেছে, মহিলাকে কেন্দ্র করে ঘ

ছায়া

Image
আমার পুরানো অফিসে একটা পোস্টার ছিল যাতে লেখা ছিল আলেকসান্দর ব্লকের কবিতার দুটো লাইন  আমরা কি নৃত্যরত ছায়া?  নাকি আমরাই এই ছায়া ফেলি?   ইউরোপিয়ান কমিশনের সভাপতি উরসুলা ফন ডের লাইএন কয়েকদিন আগে বলেছিলেন  রাশিয়া ও ইউক্রেনের এ যুদ্ধে এ পর্যন্ত এক লাখ ইউক্রেন সেনা মারা গেছে। বেসামরিক লোক ২০ হাজার আর ক্ষয়ক্ষতি ৬০০ বিলিয়ন ইউরো।  এরপরে ইউক্রেন এর প্রতিবাদ করে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী মৃত সেনাদের সংখ্যা গোপন ব্যাপার। ইউক্রেন ক্ষতিপূরণে বা দেশ গড়ার জন্য ইতিমধ্যে এক ট্রিলিয়ন ডলার দাবি করেছে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে। তাই বুঝতে হবে ক্ষতির পরিমাণ বেশি। আর সেনাদের হিসাব দিয়েছে ১০ হাজার, যদিও সেপ্টেম্বরে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থা সেটা ৬০ - ৭০ হাজার বলেছিল।  এ থেকে বোঝা যায় কেউ না কেউ মিথ্যা বলছে। রুশরা সরকারি ভাবে এ নিয়ে কিছু বলেনি, তবে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায় সেটা ১ লাখের বেশি।  এটা সবাই বুঝে যে জেলেনস্কি এখানে পুতুল মাত্র, পশ্চিমা বিশ্ব তার হাত দিয়ে ইউক্রেন ও ইউরোপ ধ্বংস করছে। কারণ অ্যাংলো-স্যাক্সদের কাছে ভালো স্লাভিক বলে কিছু নেই তা সে রুশ, ইউক্রেনিয়ান, বেলারুশ, পোলিশ, চেখ, স্লোভাক, সার্ব - যেই হোক। এখন