বেকার
সেদিন কথা প্রসঙ্গে এক বন্ধু জানতে চাইল কে কাকে সৃষ্টি করেছে - ঈশ্বর মানুষকে নাকি উল্টোটা।
কে কাকে সৃষ্টি করেছে সেটা বলতে পারব না বা বলতে পার প্রমাণ করতে পারব না তবে এটা ঠিক তাঁর থাকা না থাকার উপরে আমাদের বায়োলজিক্যাল অস্তিত্ব নির্ভর করে না যদিও আমাদের সামাজিক ও ক্ষেত্র বিশেষে রাজনৈতিক অস্তিত্ব অনেকাংশে তাঁর প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভরশীল।
তার মানে কি এই নয় যে তিনি আছেন?
কোন কিছু থাকা মানে সেটার ফিজিক্যাল উপস্থিতি নয়, অনেক সময় ধারণা অনেক বেশি শক্তিশালী।
যেমন?
ধর একজন মানুষ কখনোই বিভিন্ন রকমের সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে নয় কিন্তু অন্যেরা তাঁকে অসীম শক্তিশালী বা সর্ব কর্মে পারদর্শী মনে করতেই পারে। এভাবেই মানুষ নেতা বা ধর্মীয় গুরুদের ভাবমূর্তি গড়ে তুলে। এই ভাবমূর্তিতে আট আনা ভাব আর আট আনা মূর্তি মানে সেই মানুষকে দেবতা বানিয়ে পূজা করা।
কিন্তু এর সাথে ঈশ্বরের থাকা না থাকার সম্পর্ক কোথায়?
ভগবান বা ঈশ্বর না থাকলেও তাঁকে তৈরি করতে হত। না হলে আস্তিকেরা তাদের সমস্ত সাফল্যের জন্য ধন্যবাদ দিত কাকে আর ব্যর্থতার ব্যথার উপশম খুঁজত কার মধ্যে? অন্য দিকে নাস্তিকরা নির্ভয়ে সৃষ্টিকর্তাকে গালি দিত কিভাবে? জাপান কোরিয়ায় শুনেছি অফিসের সামনে মালিকের পাপেট থাকে ক্ষুব্ধ কর্মচারীদের কিল ঘুষি খাওয়ার জন্য। ভগবানও মনে হয় নাস্তিকদের জন্য এই দায়িত্বে নিয়োজিত। শুধু এটা বলতে পারি যতদিন মানুষ থাকবে ততদিন ভগবান বা ভগবানের ধারণা বেকার থাকবে না।
দুবনা, ১০ ডিসেম্বর ২০২২
Comments
Post a Comment