যুদ্ধ

শুনলাম আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান টমাস বাখ নাকি বলেছেন যেকোনো দেশের অলিম্পিক দলে কম করে হলেও ১০% এলজিবিটি কমিউনিটির সদস্য থাকতে হবে। সন্দেহ নেই যে দেশে দেশে এই কমিউনিটির সদস্যরা যাতে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় আন্তর্জাতিক কমিউনিটির সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অর্থাৎ যদি কোন দেশ এ কারণে কাউকে দলে না রাখে সেটা নিয়ে সোচ্চার হতে হবে। কিন্তু যদি কোন দেশে যদি এই কমিউনিটির যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না যায় তাহলে? এখন যেভাবে ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজের চেয়েও মানুষের বর্ণ, সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশন ইত্যাদি যোগ্যতার মাপকাঠি হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাতে করে পশ্চিমা বিশ্ব এ ধরণের আইন চাপিয়ে দিলে অবাক হবার কিছু থাকবে না। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় পশ্চিমা বিশ্ব এখন সারা বিশ্বের বিরুদ্ধেই যুদ্ধে নেমেছে। কিন্তু সেক্ষত্রে শেষ পর্যন্ত অলিম্পিক গেম কি অবিভক্ত থাকবে নাকি এশিয়া, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো নিজেদের জন্য আলাদা অলিম্পিক গেম চালু করবে। সোভিয়েত ইউনিয়ন আর আমেরিকার খেলোয়াড়রা যাতে নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে সেজন্যে এক সময় গুড উইল গেল চালু হয়েছিল।


দুবনা, ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ 




Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

ছোট্ট সমস্যা

প্রায়োরিটি