Posts

Showing posts from June, 2022

অভাব

Image
অনেক দিন থেকেই মনে প্রশ্ন - কিসের অভাব ছিল ইউরোপ আমেরিকার যে ধরে বেঁধে ইউক্রেনকে এভাবে বলি দিতে হল? অনেক চিন্তার পর বুঝলাম, এদের আসলে অভাবের অভাব ছিল। আর তাইতো এখন অভাব ঘরে ঘরে। এত দিন যারা সবাইকে বেশি বেশি ভোগ করতে বলেছে আজ তারাই সবাইকে বলছে স্বল্পব্যায়ী হতে। এ যেন বৈদিক ঋষিদের বাণী। আসল কথা এখন এই অভ্যেসটা যুদ্ধের পরেও ধরে রাখা। তবে যুদ্ধ কি শেষ হবে আর হলেই বা সেটা সব দেশের জন্যই হবে নাকি কিছু দেশ একেবারেই নাই হয়ে যাবে, শুধু মানচিত্র নয় চিরতরে হারিয়ে যাবে পৃথিবীর বুক থেকে? তবে যারা থেকে যাবে নতুন পৃথিবীতে তাদের আর পরিবেশের জন্য আন্দোলন করতে হবে না - "পরিবেশ বাঁচাও - ভোগবাদ হটাও" পোস্টার লিখে দেওয়াল ভরে ফেলতে হবে না। দুবনা, ৩০ জুন ২০২২

শিক্ষা ও শিক্ষক

Image
বিগত কয়েক বছর ধরে শিক্ষকগণ যে ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তাতে এই পেশাকে আর শান্তিপূর্ণ বলা যায় না। শিক্ষা মানে প্রশ্ন করা, অন্ধভাবে কোন কিছু মেনে না নেওয়া। আর এখানেই তার সংঘাত বিশ্বাসের সাথে। যদিও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের নামে এসব করা হয় তবে পেছনে থাকে বিভিন্ন গোষ্ঠীর কায়েমি স্বার্থ। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই শিক্ষকগণ একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোক তারপরেও তারা বৃহৎ শিক্ষক সম্প্রদায়েরই অংশ। এটা মাথায় রেখে দেশের শিক্ষক সমাজ ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এর প্রতিবাদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ এখানে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবেন বলেই আশা করি। সমাজের অধঃপতন রোধে পথ দেখাতে না পারলে শিক্ষকগণ অধঃপতন ত্বরান্বিত করার পথ প্রদর্শক হবেন। দুবনা, ২৭ জুন ২০২২

ঈর্ষা

Image
  ঈর্ষা মনে হয় আজকাল রাজনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। কেন আমি নয়, কেন ও এটা করল - এটা আমি দেখেছি এমনকি বাংলাদেশ প্রবাসী পরিষদ রাশিয়া নামের আমাদের ছোট এক সংগঠনেও। সংগঠনের জন্য অনেক নিবেদিত প্রাণ মানুষও এর সাফল্যে খুশি হতে পারেনি শুধু সেই সময় তারা মূল দায়িত্বে ছিল না বলে। আজ বাংলাদেশ পদ্মা সেতু নিয়ে মেতে উঠেছে। যেটা হতে পারত সমগ্র জাতির গর্ব করার বিষয় সেটাই আজ অনেকের কাছেই অপমানজনক মনে হচ্ছে আর তার কারণ একটাই - তারা নিজেদের এই গৌরবের সাথে সম্পৃক্ত মনে করতে পারছে না। ফলে সেতু নয়, সামনে চলে এসেছে এর নির্মাণকাজে বিভিন্ন অনিয়ম। বলছি না যে কোন অনিয়ম ছিল না, তবে এটাও ঠিক অন্যেরা করলেও এ ধরণের অনিয়ম কমবেশি ঘটত। এটা নিয়ে কথা হতেই পারে, হবে - সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখন যেটা হচ্ছে সেটা ঈর্ষা থেকে। যারা ক্ষমতায় তারা গর্বিত (ঈর্ষান্বিত) অন্যদের টেক্কা দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করতে পেরে, যারা ক্ষমতার বাইরে তারা ঈর্ষান্বিত কেন ওরা নয়, কেন অন্যরা এটা করে বাহবা নিচ্ছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এই ঈর্ষা সারা বিশ্বেই। কেন আমার মত অন্যেরাও স্বাধীনচেতা হতে, কেন ওরাও মাথা উঁচু করে কথা বলবে, কেন আমার ডাকে

পরীক্ষা

Image
গত সোমবার ০৬ জুন   ছিল কোয়ান্টাম মেকানিক্সের টেস্ট। ক্লাসে আসুক আর নাই আসুক পরীক্ষার হলে সবাই হাজির। চারটে প্রশ্ন বোর্ডে লিখে বললাম এখান থেকে একটা আর নিজেদের ইচ্ছেমত আরও দুটো প্রশ্ন রেডি করে আসতে। আসলে ইচ্ছেমত প্রশ্ন বাছাই করা বেশ কঠিন। কারণ তখন খুব ভালো ভাবে তার উত্তর দেবার দায়িত্ব বর্তায়। জানি না রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে কিনা, আমি খারাপ ছাত্রদের প্রতি খুব সদয়। ওরা মুখ খুললেই হিন্টস দেই, অর্জিত নম্বরের সাথে একটু বোনাস দেই, কিন্তু ভালো ছাত্রদের কষ্ট করে নম্বর পেতে হয়। এ যেন খারাপ চাহত্র মানে গরীব আর ভাল ছাত্র মানে ধনী। আর আমি কারো নাম মনে রাখি না, যাতে নম্বর দিতে কোন পক্ষপাতীত্ব না হয়। সবচেয়ে ভালো ছেলেটা যে প্রায় ফুল মার্ক পাবে বলে ভেবেছিলাম শুরুতেই হোঁচট খেল। খুব সহজ একটা প্রশ্ন যার উত্তর লেখা ছিল ব্যাখ্যা করতে পারল না। আমি জানতাম ও জানে কিন্তু ব্যাপারটা ঠিকঠাক বোঝেনি বলে নিজের ভুলটা ধরতে পারছে না। আবার সবচেয়ে খারাপ ছাত্রদের একজন বলল সে যে প্রশ্নগুলোর উত্তর ভালো জানে সেটাই লিখেছে তবে অনেক কিছুই বোঝেনা। ক্লাসে কেন জিজ্ঞেস করনি? লজ্জায়। লজ্জার কি আছে? দেখ তুমি যখন কারো সাথে কথা