ঈর্ষা

 

ঈর্ষা মনে হয় আজকাল রাজনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। কেন আমি নয়, কেন ও এটা করল - এটা আমি দেখেছি এমনকি বাংলাদেশ প্রবাসী পরিষদ রাশিয়া নামের আমাদের ছোট এক সংগঠনেও। সংগঠনের জন্য অনেক নিবেদিত প্রাণ মানুষও এর সাফল্যে খুশি হতে পারেনি শুধু সেই সময় তারা মূল দায়িত্বে ছিল না বলে। আজ বাংলাদেশ পদ্মা সেতু নিয়ে মেতে উঠেছে। যেটা হতে পারত সমগ্র জাতির গর্ব করার বিষয় সেটাই আজ অনেকের কাছেই অপমানজনক মনে হচ্ছে আর তার কারণ একটাই - তারা নিজেদের এই গৌরবের সাথে সম্পৃক্ত মনে করতে পারছে না। ফলে সেতু নয়, সামনে চলে এসেছে এর নির্মাণকাজে বিভিন্ন অনিয়ম। বলছি না যে কোন অনিয়ম ছিল না, তবে এটাও ঠিক অন্যেরা করলেও এ ধরণের অনিয়ম কমবেশি ঘটত। এটা নিয়ে কথা হতেই পারে, হবে - সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখন যেটা হচ্ছে সেটা ঈর্ষা থেকে। যারা ক্ষমতায় তারা গর্বিত (ঈর্ষান্বিত) অন্যদের টেক্কা দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করতে পেরে, যারা ক্ষমতার বাইরে তারা ঈর্ষান্বিত কেন ওরা নয়, কেন অন্যরা এটা করে বাহবা নিচ্ছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এই ঈর্ষা সারা বিশ্বেই। কেন আমার মত অন্যেরাও স্বাধীনচেতা হতে, কেন ওরাও মাথা উঁচু করে কথা বলবে, কেন আমার ডাকে টা সে ন্যায়, অন্যায় যাই হোক সাড়া দিয়ে আমার শত্রুকে বয়কট করবে না - এটাও এখন বিশ্ব রাজনীতির অংশ। যতদিন রাজনীতি সুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবর্তে ঈর্ষা দ্বারা চালিত হবে ততদিন দেশ ও রাজনীতি, বিশ্ব ও বিশ্ব রাজনীতি - সব কিছুর ভবিষ্যতই অন্ধকারাচ্ছন্ন।

দুবনা, ১৭ জুন ২০২২ 




Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা