Posts

Showing posts from July, 2019

রিক্সা

Image
সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় চীন দেশে ইঁদুর, মশা, মাছি ও চড়ুই নিধন যজ্ঞ চলে । জনগণকে বোঝানো হয় প্রতি বছর চড়ুই যে পরিমান ফসল নষ্ট করে তা দিয়ে সাড়ে তিন কোটি মানুষ খাওয়ানো সম্ভব । ফলে সাধারণ মানুষ পাখি নিধন যজ্ঞে মেতে ওঠে । ১৯৫৮ সালের মার্চ আর এপ্রিল মাসের তিন দিনে প্রায় নয় লাখ পাখি ধ্বংস করা হয় । সে বছর ফসলের ভাল উৎপাদন হলেও দেখা গেল ফরিং, ছ্যাঙ্গা এসব অসম্ভব রকম বেড়ে গেছে আর তারা ফসলের চারা নষ্ট করে ফেলছে । পাখির ধ্বংসের ফলে পরিবেশ থেকে প্রাকৃতিক নিয়ন্ত্রক বিলোপ পেয়েছে ।   এ থেকে বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে আসেন যে প্রকৃতির সমস্ত জীবমণ্ডল এক অদৃশ্য সূত্রে গাঁথা । এই চক্রের কোন এক লিংক খোয়া গেলে পুরো চক্রটাই অকেজো হয়ে যায় । সমাজও সেই রকমই একটা চক্র । সমাজের ধনী, গরীব, শিক্ষিত, অশিক্ষিত, কুলি, মজুর, ডাক্তার, ইঞ্জিনীয়ারসহ বিভিন্ন পেশার লোক একই চক্রে গাঁথা, একে অন্যের উপর বিভিন্ন ভাবে নির্ভরশীল । ছোট বলে কাউকে বাদ দিলে পরিণতিতে সমাজটাই অচল হয়ে যেতে পারে, অন্তত যতদিন না বিকল্প ব্যবস্থা বের হচ্ছে । সমাজ গড়ে উঠেছে যুগের পর যুগ ধরে, তাই রাতারাতি সব কিছু বদল করা যাবে সেটা ভাববার কারণ নেই ।

অপেক্ষা

Image
প্রথম যেবার মার সাথে ইন্ডিয়া যাই ১৯৬৯ সালে আমার বয়স পাঁচের মত। অনেকটা সময় কেটেছে বেহালায় দাদাদের ওখানে। তখন ভাগুদা, জোসৎনা বউদি আর দীপুদা ওখানে থাকতেন। স্বপনদা থাকতো আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে। প্রায়ই আসতো অমুল্য মামা আর পদ্মা মামী। ওঁদের বাসা ছিল কিছুটা দূরে অশোকা সিনেমা হলের পাশে। এর পর অনেক সময় কাটে কোঁতরং দাদুর ওখানে। সেখান থেকে বিকেলে হাঁটতে হাঁটতে যেতাম সন্ধ্যাদির ওখানে। আরও কিছু দিন ছিলাম বোকারো স্টিল প্ল্যান্টে। সুবোধদা আর অশোক মামার কর্মস্থল। পাশাপাশি না হলেও দু জনের বাসা ছিল হাঁটা পায়ের দুরত্বে, অন্তত আমরা বিকেলে হাঁটতে হাঁটতেই চলে যেতাম মামার ওখানে। তবে সবচেয়ে বেশি সময় তখন কাটাই বহরমপুর। গঙ্গা বা দামোদরের একদিকটায় বহরমপুর শহর, মাসি আর মামার বাড়ি নদীর ওপারে গোয়ালজান গ্রামে। কোলকাতা থেকে গেলে যেতাম শেয়ালদহ স্টেশন হয়ে, নামতাম বহরমপুর। হিন্দমোটর থেকে গেলে হাওড়া বাউন্ড ট্রেনে, নামতাম খাগড়া স্টেশনে। এ পথে পড়ত গুপ্তিপাড়া যেখানে আরেক দাদুর বাস, আমাদের ছোট্ট স্টপেজ।   সময় কাটাতাম মূলত মাসির বাড়িতে। মামা মামী দুজনেই চাকরি করতেন, তাই সারাদিন বাইরে বাইরে। আমাদের এলাকায় তখন মেয়ে