Posts

Showing posts from December, 2020

আমাদের সময়

Image
এবার জন্মদিনের চাপটা বেশি থাকায় ঘরে শুয়ে বসে কাটিয়েছি। পরের দুদিন মানে শনিবার আর রবিবার একটু ভালো গেলেও রবিবার রাতে আবার প্রেসারের মেজাজ খারাপ। সোমবার সকালে প্রতিদিনের মত গেলাম ইঞ্জেকশন নিতে। ওদিন আবার ইসিজি করার কথা ছিল, কি একটা নাকি সমস্যা আছে, আমার বিশাল হৃদয় নাকি সংকুচিত হয়েছে। বর্তমানে মহাবিশ্ব যখন ত্বরিৎ গতিতে সম্প্রসারিত হচ্ছে, আমার হৃদয়ের এ অবস্থা প্রকৃতির প্রতি চ্যালেঞ্জ। তাই ইসিজি। এর মধ্যে ডাক্তার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হল্টার করার। হৃদপিণ্ডের চারদিকে একগাদা তার সেঁটে কোমরে একটা ডিভাইস ঝুলিয়ে হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিলেন। বললেন যা যা করি সব কিছু লিখে রাখতে। বুঝলাম ভালবাসা ভালবাসা খেলা আজ আর চলবে না। বাসায় অবশ্য কিছুই বলিনি। সন্ধ্যায় ফ্যামিলি গ্রুপে একটু ঝড় উঠল। সেভা ২৪ তারিখ রাতে এসে ২৭ তারিখে মস্কো ফিরেছে। ওরা কেউ যখন বাইরে বেড়াতে যায়, ফিরে এসে অন্যদের উপর এক হাত নেয় এই বলে যে তার অনুপস্থিতিতে অন্যেরা ঘর দুয়ার নোংরা করেছে। সেভা এ ব্যাপারে কাউকে তোয়াক্কা করে না। লিখল, "তোমরা সব গাধা নাকি যে নিজেদের ময়লা পরিস্কার করতে পার না?" এরপর এক এক করে মনিকা, ক্রিস্টিনা, আন্তন, গুলিয়

বালি আর বরফের গল্প

Image
প্রতিবছর শরতের শেষ বা শীতের শুরুতে শরীরটাকে মেরামতের জন্য পাঠাই ডাক্তারের কাছে। করোনা বলে এবার সময় মত যাওয়া হয়নি। তবে ডাক্তার যখন বললেন করোনার বিদায়ের আশায় বসে থাকলে নিজেদেরই বিদায় নিতে হতে পারে শুরু করলাম পরিচিত পথে ঘোরা। প্রতিদিন সকাল সাতটায় উঠে যাই হাসপাতালে। স্যালাইন, বিভিন্ন টেস্ট, ফিজিও, ম্যাসেজ, জিম্ন্যাস্টিক্স এসব করতে। ইচ্ছে করেই ঘোরা পথে যাই যাতে ৫-৬ কিলোমিটার হাঁটা হয়। যদি ওষুধে কাজ নাও হয় এই হাঁটাহাঁটিই অনেক উপকারে লাগে। আমি যদি ডাক্তার হতাম আর আমার মত অলস কেউ আমার রুগী হত, আমি তাকে সারা বছর হাসপাতালে আসতে বলতাম আর ওষুধের নামে এক গ্লাস বিশুদ্ধ জল খেতে দিতাম। সাধারণত অনেক রাতে ঘুমুতে যাই, উঠতে উঠতে দশটা। সকালের দেখা তাই প্রায়ই মেলে না। গত এক সপ্তাহ শীতের বাতাস উপেক্ষা করে যাচ্ছি, ভোলগার তীরে হাঁটছি প্রায় ঘন্টা খানেক। প্রচণ্ড উপভোগ করছি সময়টা।  ভোলগা আমার সব সময়ের প্রিয় নদী। এমন কি এ দেশে আসার অনেক আগে থেকেই রুশ সাহিত্য, বিশেষ করে মাক্সিম গোর্কির লেখা পড়ে ভোলগাকে ভালবেসে ফেলেছি। সামারে ভোলগার তীরে হাঁটতে হাঁটতে হারিয়ে যাই কালিগঙ্গায়। ভোলগা যেমন দুবনাকে দুভাগে বিভক্ত করেছে ঠিক

জন্মদিনের হিসাব নিকাশ

Image
গতকাল ছিল আমার জন্মদিন। এক অদ্ভুত জন্মদিন।করোনা কাল বলেই কিনা কে জানে? যাহোক, বরাবরের মতই অনেক শুভেচ্ছা, ভালবাসা আর শুভ কামনার নীচে চাপা পড়তে পড়তে বেঁচে গেছি। মৃত্যুর পর মানুষ মৃতের প্রতি অনেক ভালো ভালো কথা বলে। রুশ দেশে বলে, মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে হয় ভালো বলবে, নয়তো কিছুই বলবে না। তবে সমস্যা হল, মৃত ব্যক্তি এসব ভালো কথা শুনতে পায় না। জন্মদিনেও আমরা কমবেশি ভালো কথা বলি। তাই জন্মদিনকে বলা যায় নিজের সবলতা সম্পর্কে একটা জনমত জানার দিন। তার সাথে বাকি ৩৬৪ দিনের মতামত মিলিয়ে নিজের একটা গড়পড়তা গণ চরিত্র আঁকা যায়। যারা জন্মদিনে আমার পাশে ছিলেন, মনে করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। ফেসবুককে ধন্যবাদ আমার জন্মদিনের ক্যাম্পেইন করার জন্য।   এবার আসি অদ্ভুত কেন সে কথায়। জন্মদিন এখন দিন দিন ফ্যাঁকাসে হয়ে যাচ্ছে। ছোটবেলায় এই দিন নিজের জমি থেকে মটর শাঁক তুলে আনতাম। আসলে এ জন্যেই কিছুটা হলেও বাড়ির পাশের জমিতে মটর কলাই বোনা হত। এ দিনের মাস্ট আইটেম ছিল খিচুরি আর এই শাঁক। সাথে অন্যান্য সব - মিষ্টি, দই ইত্যাদি। আমি বাড়ির সবার ছোট, তাই সবার বন্ধুরাই আসত। ১৯৮৩ সালের পর মাত্র একবারই বাড়িতে জন্মদিন পালন করি, ১৯৯৭ স

মানুষ ও দেবতা

Image
আমাদের বাড়িতে বই পড়ার হবি ছিল সবারই। দুপুরে খাওয়ার পর সবাই বই হাতে শুয়ে পড়ত। সবার ছিল নিজ নিজ সংগ্রহ। কিছু কিছু বই ছিল ব্যক্তিগত, তবে অধিকাংশ বইই যে কেউ নিয়ে পড়তে পারত বিনা অনুমতিতে। সুধীর দা ছিলেন বই কেনার ক্ষেত্রে অগ্রগামী। বিভিন্ন ধরণের বই কিনতেন, নিজে পড়তেন, অন্যদের পড়তে দিতেন। একবার তিনি এরিক ফন দানিকেনের বই কিনতে শুরু করেন আর আমরাও খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তে শুরু করি সেই বই। এদের একটা ছিল দেবতা কি গ্রহান্তরের মানুষ? এরপর কেটে গেছে একটা পুরো জীবন। নতুন ভাবে সব কিছু দেখার আগ্রহ জেগেছে। আজ হঠাৎ করেই মনে হল সেই বইয়ের কথা। মনে হল দেবতারা হয়তো পৃথিবীরই মানুষ। অন্তত তাদের অনেকেই।    আচ্ছা এই যে রাম বা কৃষ্ণের কথা বলি, যারা আজ শুধু দেবতাই নন, ভগবানের অবতার - তারা তো মানুষই ছিলেন। তাঁরা ঐতিহাসিক কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন আসতে পারে, তবে গৌতম বুদ্ধ, মহাবীর, খ্রিষ্ট এরা তো ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব। এই তো সেদিন পর্যন্ত জাপানের সম্রাটকে সূর্যের বংশধর বলে বিশ্বাস করা হত আর থাইল্যান্ডের রাজা ছিলেন চন্দ্র বংশীয়। আজ কি অনেকেই গাঁধি, জিন্নাহ, শেখ মুজিব এদের দেবতুল্য বলে মনে করে না? বা রবীন্দ্রনাথকে, সুভাষ বসুকে? সোভ

বাতাসের দুঃখ

Image
হলুদ বরণ সর্ষে সেদিন বলল, পদদলিত হয়েও সেদিন কাঁদিনি, রাস্তা করে দিয়েছিলাম যাতে মানুষ পালাতে পারে। আজ স্বাধীন দেশে কৃষক তার ফসলের মূল্য পায় না। কৃষকের সাথে আমরাও অবহেলিত। এটাই কি আমাদের সেদিনের কষ্টের প্রতিদান?  সবুজ ধেনো মাঠ, পাট ক্ষেত বলল, নিজেদের জীবন বিপন্ন করে মুক্তিযোদ্ধাদের লুকিয়ে রেখেছি। সেদিন যারা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়েছে, তাদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের অনেকেই ঘুরে বেড়ায় মুক্তিযুদ্ধের সনদ নিয়। এটাই কি আমাদের স্বাধীন দেশ থেকে একমাত্র উপহার।  নদীরা বলল, লাখ লাখ লাশের ভার বইতে বইতে হাপিয়ে উঠেছি। প্রয়োজনে প্রমত্ত হয়ে রুখে দিয়েছি হানাদারদের পথ। আজ জলহীন ক্ষত বিক্ষত। এটাই কি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের পুরষ্কার?  বাতাসে ভেসে বেড়ানো নারীর কণ্ঠ বলল সত্যিকারের স্বাধীনতা পাব বলে দিনের পর দিন হানাদার ক্যাম্পে অত্যাচার সহ্য করেছি, অথচ স্বাধীন দেশে কেউ হাত বাড়ানো তো দূরের কথা, দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। এটাই কি ছিল আমাদের জীবন বাজী রেখে যুদ্ধের প্রতিদান?  বধ্যভূমিতে প্রেতাত্মারা গুঙিয়ে গুঙিয়ে প্রশ্ন করল তাদের রক্ত দিয়ে লেখা যে সংবিধান আজকে কেন তা কালিমালিপ্ত  হল? কেন এই দেশ আজ রাজাকার

বুদ্ধিজীবী আজ শহীদ

Image
বাঙালি তার অস্তিত্বের লড়াই শুরু করেছিল ১৯৪৮ সালে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ যা সশস্ত্র রূপ নেয়। ১৯৪৮ থেকে পায়ের নীচে মাটি হারাতে হারাতে যখন পরাজয় নিশ্চিত একাত্তরের ডিসেম্বরের ঠিক সেই দিনগুলিতে বাঙালি জাতীয়তাবাদের শত্রু আর দ্বিজাতি তত্ত্বের ধারক ও বাহকেরা শুরু করে তাদের নতুন যুদ্ধ বুদ্ধিজীবীসহ এদেশের সেরা সন্তানদের হত্যার মধ্য দিয়ে। বিজয়ের আনন্দে উৎফুল্ল বাঙালি তখন সেটাকে আমল দেয়নি। ফলে আমরা আজ আবারও দেখছি তাদের বিষাক্ত দাঁত, উদ্যত ফণা। যে শত্রু পরাজয় মেনে নেয়নি, ক্ষমতার লাভ লোকসানের হিসেব মিলাতে গিয়ে আমরা তাদের করেছি কৌশলগত বন্ধু। ফলে পাকিস্তানের শাসন থেকে স্বাধীন হলেও আমরা পাকিস্তানী চিন্তা চেতনা থেকে মুক্ত হতে পারছি না। জাতি আজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে মৌলবাদের বলয়ে। দ্বিধাবিভক্ত স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বার বার এই অশুভ শক্তিকে রুখতে শুধু ব্যর্থই হচ্ছে না, ইনিয়ে বিনিয়ে তাদের দাবী দাওয়া মেনে নিচ্ছে। মুক্ত চিন্তার মানুষ আজ জাতীয়তাবাদী বুদ্ধিজীবীদের অভাব আবার নতুন করে অনুভব করছে। আমাদের বুদ্ধিজীবীরা এক সময়ে সাংবাদিকতা, সাহিত্য আর সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির হাতকে শক্তিশ

নকল জীবন

Image
গতকাল এক বন্ধুর স্ট্যাটাসে দেখলাম কার লেখা নকলের কথা। নকল ব্যাপারটা বরাবরই খারাপ চোখে দেখতাম। নকল যদিও বিভিন্ন বিষয়েই হয়, এমনকি নকল করে গান গাওয়া বা অভিনয় করা শিল্প জগতের একটা ধারা, জিঞ্জিরায় অনেক কিছুই নকল করে তৈরি করা হয় তবে সাধারণত নকল বলতে আমরা আগে পরীক্ষার হলে দেখে লেখাটাই বুঝতাম। ধারণা করা হত শুধু খারাপ ছাত্ররা নকল করে। এখনও মনে আছে, এইচ এস সি পরীক্ষার কথা। ওখানে আমার চতুর্থ বিষয় ছিল বায়োলজি। সাধারণত প্রাক্টিক্যালে কমবেশি ভালো ছাত্রদের ভাল নম্বর দেওয়া হয়। ওখানে দেখি দশ টাকা করে নিচ্ছে সবার কাছ থেকে উত্তর বলে দেবে বলে। টাকাটা ফ্যাক্টর ছিল না, কিন্তু টাকা দিয়ে উত্তর জানা মানে নকল করা। এটা মেনে নিতে পারিনি। ফলে দুটো প্র্যাক্টিকালে ১৩ করে (পাস মার্ক), স্টার মার্ক হাতছাড়া। ওটা না হলে মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজে আমিই হতাম প্রথম স্টার মার্ক পাওয়া। যদিও পরবর্তী জীবনে এর কোনই গুরুত্ব ছিল না, বললাম নকলের প্রতি নিজের মনোভাবের কথা বলতে গিয়ে। ইউনিভার্সিটিতে নকলের প্রশ্ন আসেনি আর তৃতীয় বর্ষ থেকে আমাদের বই খাতা সব কিছু ব্যবহার করতে দিতেন শিক্ষকগন, যেটা আমি নিজেও করি। তবে শর্ত একটাই - উত্তর দিতে ব

পথচলা

Image
অনেক দিন পর আজ ক্রিস্টিনার ছবি তুললাম। ও দুবনা এসে পৌছুলো বিকেল সাড়ে পাঁচটায়, মস্কো ফিরে গেল রাত দশটার ট্রেনে। গতকাল ওর জন্মদিন ছিল। ২০০৯ সালের আগে পর্যন্ত যখন সবাই একসাথে দুবনায় ছিলাম,  সবার জন্মদিন পালন করতাম হৈ হুল্লোড় করে। ওদের আর আমাদের বন্ধুবান্ধবরা আসত। যেহেতু এখানে না আমার না গুলিয়ার - কোন আত্মীয় স্বজন ছিল না, জন্মদিনে বন্ধুরাই আসত। ২০০৯ সালে ওরা মস্কো চলে যায়, ফলে আগের মত করে একসাথে আর বসা হয়ে ওঠে না। ছুটির দিন হলে আমি মস্কো যেতাম, নইলে ওরা নিজেরাই পালন করত একটা সময় পর্যন্ত। গুলিয়া যত্ন করে টেবিল সাজাত। তারপর ওরা জন্মদিন পালন করতে শুরু করে ক্যাফে বা বারে নিজেদের বন্ধুবান্ধবদের সাথে। এখন যখন বাচ্চারা মস্কো থাকে আর আমরা দুবনায় - ওভাবে কিছু হয় না। উপহার হিসেবে ওরা চায় আর পায় একটা অংকের টাকা, খরচ করে নিজেদের মত। এছাড়া কেক, শ্যাম্পেন ইত্যাদির জন্য আলাদা একটা অংক। আমরা এখানে এ উপলক্ষে নিজেরাও কেক কাটি, শ্যাম্পেন বা ওয়াইন তুলে ওদের স্বাস্থ্য পান করি। অনুপস্থিতিতেও জন্মদিন পালন করা আমাদের বাড়ির ট্র্যাডিশন। আমার যেসব দাদারা কোলকাতা ছিল ওদের জন্মদিনে মা সব সময় বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন কর

ভাস্কর্যের বিমূর্ত মূর্তি

Image
  বেশ কয়েক বছর আগের কথা। আমি আর আমার সহকর্মী ভিক্টর একটা প্রব্লেম নিয়ে কথা বলছি চা খেতে খেতে। হঠাৎ বিবিসিতে একটা নিউজ দেখলাম। ঐ সময় আমি দুটো সাইট রেগুলার দেখতাম – ক্রিক ইনফো আর বিবি সি। ওটা ছিল মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন কেরির মন্তব্য – আসাদ রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করলে আমেরিকা তাঁর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে পারে। ব্যাপারটা অনেকটা এমনই ছিল। আমি ভিক্টরকে বললাম আসাদের জন্য এ যে উইন উইন সিচুয়েশন।  কেন? দেখ, আজকের বিশ্বে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে কেউ পার পায় না। আর যা ব্যবহার করা যায় না সেটা রাখা তো হাতি পালা। এর রক্ষণাবেক্ষণে যে খরচ তাতে এক বিশাল আর্মি পোষা যায় । তাছাড়া যতদিন এটা সিরিয়ার কাছে থাকবে ততদিন এমনকি ব্যবহার না করেও সে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারে। তাই এখন তার উচিৎ আমেরিকা বা আন্তর্জাতিক কমিউনিটির পয়সায় এই অস্ত্র থেকে মুক্ত হওয়া। বোনাস হিসেবে এই মুহূর্তে আমেরিকার খপ্পর থেকে সাময়িক ভাবে রক্ষা পাওয়া গেলে যেতেও পারে।  আমার বিশ্বাস এ টা শুধু আমিই না অনেকেই ভেবেছি লেন , বিশেষ করে রুশ গেনস্তাব। ফলাফল আজ আমরা সবাই জানি। প্র শ্ন হল, কেন আজ এ কথা বলা? যেকোন