Posts

Showing posts from July, 2016

বড় দা

Image
সকাল বেলাতেই বেশ কয়েক বার রতন চেষ্টা করছিলো কল দেবার, নেটের ঝামেলায় কল  রিসিভ করার পরও কানেকশন পাওয়া যাচ্ছিলো না। তাই লিখলাম নেট ঠিক হলে কল দিতে। উত্তরে রতন জানালো ঘন্টা খানেক আগে  বড় দা মারা গেছে। আমার জ্যাঠাতো দাদা বড় দার বয়েস হয়েছিল আশির উপরে, কয়েক সপ্তাহ আগেই পরে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে, সবাই বলছিলো হাটাহাটি  বেশি না করতে,  দূরে না যেতে। কার কথা কে শোনে। আবার কয়েকদিন আগে দোকানে গেছিলো, বৃষ্টির পর পিছল রাস্তায় পরে যায়। কারা যেন দেখে বাড়ি নিয়ে আসে।  প্রেসার হাই।  ডাক্তার দেখে বলেছিলো হাসপাতালে ভর্তি হতে, রাজি হয়নি।  তবে ওটা যে স্ট্রোক ছিল, এ ব্যাপারে সন্দেহ ছিল না।  গত কাল স্ক্যান করা হয় - আজ রিপোর্ট দেবার কথা। এর মধ্যেই এই ঘটনা।   বড় দা আমাদের বারো ভাই আর পাঁচ বোনের  বিশাল সংসারে (বাবা-কাকা-জ্যাঠারা চার ভাই মিলে)  ভাইদের মধ্যে সব থেকে বড় আর আমি সবার ছোট। আমার জন্মের পর নাকি মা প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পরে, তাই আমি মানুষ (?) হই  বড় দা আর বড় বৌদির কোলে পিঠে।  তবে যেহেতু বড় দা কাজের জন্য বছরের অধিকাংশ সময় বাইরে বাইরে থাকতো  তাই যত দিন বাড়ি থাকতো বড় দার  কাছেই আমার সময় কাটতো।  বড় দা তখন যাত্র

Spineless politics

Image
War is more profitable than peace, at least for a number of individuals. Though for a nation and for the world peace is more profitable. War makes a few people rich, while hundreds of thousands become poor. Only a few make money on the poverty and blood of common people, sometimes legally in the name of democracy or religion, but more often than not they do it  illegally. US speaks a lot about democracy and send its troops or arms to bring democracy. And common people of the US pay this war game through tax, while those who are pulled into this democratic scheme pay with their blood and lives. In fact, US need far less money  to educate people all over the world. And if they do it, people armed with knowledge will bring democracy. In the process there will be no bloodshed. So the goal was never democracy, the goal was to make money, imposing war on poor people and spineless politics. Yes, politics in most countries is spineless, that is why the ruling party, the opposition even many in

সন্ত্রাসের ভুত

Image
আর্টিজান আক্রমণের পর জঙ্গীদের উৎস সম্পর্কে অনেক কথাই বলা হচ্ছে - কেন হলো, কে দায়ী - এই সব আর কি? আর আমার মনে পড়ছে ছোটবেলায় বিভিন্ন কাজের কথা - যেমন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার ইট বা আবর্জনা নেয়ার কথা। তখন আমরা এই ইট বা আবর্জনা এক হাত থেকে অন্য হাতে দিয়ে দিতাম - আর এভাবেই ওসব চলে যেত গন্তব্যে। দেশের বর্তমান সন্ত্রাসী পরিস্থিতির দায়ও  সবাই এভাবে একের ঘাড়  থেকে  অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে। যদি আমরা ইট বা আবর্জনা নিজে নিয়ে অতি যত্নে পাশের জনের হাতে পৌঁছে দিতাম, এখন সবাই চেষ্টা করছে ঐ দায়টা না নিতে।কিন্তু একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতলে দেখা যাবে এসবের দায়িত্ব আমাদের সবার - পরিবার, স্কুল, কলেজ, পাড়াপ্রতিবেশী, বিরোধীদল, সরকারীদল, প্রশাসন - সবাই আমরা কোনো এ কোনো ভাবে এটাকে ঘটতে দিয়েছি। আর এভাবেই মন্ত্রীর ভাষায় বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো অদৃশ্য সুতায় গাঁথা মালা হয়ে ঐ মন্ত্রী, সরকার, রাজনৈতিকদল, সমাজ - সবার গলায় কলংকের মতো গেথে গেছে। আমরা যারা সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়েছি, এখনো কথায় বার্তায় প্রায়ই পুরোনো সময়ে ফিরে যাই  - অনেকে দেশটা হারিয়ে গেলো বলে আক্ষেপ করে। আমি সোভিয়েত ইউনিয়নের হারিয়ে যাওয়াকে বিশ্বাস করি

গণতন্ত্র: ঘরে বাইরে

Image
আজকাল শুধুমাত্র অলসরাই গণতন্ত্রের কথা বলে না। আর হয়তো ইসলামিক স্টেট। গণতন্ত্রের অনেক অপূর্ণতা থাকার পরও  এটাই হয়তো এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো সামাজিক ব্যবস্থা। কিন্তু সমস্যাটা হলো তত্বের দিক থেকে গণতন্ত্র  সমতা, সমান অধিকারের কথা বললেও প্রয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঘটে একেবারেই উল্টো। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় - আমেরিকার নাগরিকদের সে দেশের সরকার যেমনভাবে গণতাত্রিক অধিকার দেয় - অন্য প্রায় সব দেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার মার্কিন প্রশাসন একই রকম ভাবে ক্ষুন্ন করে। আর তা তারা করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ছদ্মবেশে। আবার তার উল্টো দিকে অনেক মৌলবাদী সংগঠন গণতন্ত্রের সুবিধা নিয়ে ক্ষমতায় এসে সেই গণতন্ত্রের শ্বাসরোধ করে সবার আগে। কয়েকদিন আগে রাশিয়ার আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী ঠিক করার জন্য ইউনাইটেড রাশিয়া প্রিলিমিনারী  নির্বাচন করলো আমেরিকান স্টাইলে। ওতে শুধুমাত্র পার্টিরই  নয়, পার্টির বাইরের লোকেরাও অংশ নিয়েছে - ভোট দিতে আর ভোট পেতে। ফলে পার্টির সদস্য নয় এমন অনেকেই ইউনাইটেড রাশিয়ার পক্ষ থেকে নির্বাচনে যাচ্ছে। এটাকে এমনকি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সমালোচকরাও এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করেছে। ক

ঈদের শুভেচ্ছা

Image
প্রতি বছরের মতো আবারো ঈদ এলো - খুশির ঈদ। বাঁকা চাঁদ হাঁসি ঠোঁটে ফিরে এলো ঈদ .... ১ জুলাই ২০১৬ একটা স্ট্যাটাস লিখেছিলাম, ---------------------------- ধর্মনিরপেক্ষ হত্যা "...ঝিনাইদহে আবারও মন্দিরের সেবায়েত হত্যা, একই কায়দায়। এটা কি সাম্প্রদায়িক হত্যা?" - প্রশ্নটা ছিল লিপির। কি যে বলো। অসাম্প্রদায়িক আর ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা আসবে কোত্থেকে? এটা স্বাভাবিক মৃত্যু, সাধারণ মৃত্যু সাধারণ এক সেবায়েতের। সাধারণ মানুষ অসাধারণ ভাবে মরে না, ওরা মরে বেঘোরে। আর দশটা মৃত্যুর মতো এটাও বেঘোরে মৃত্যু - স্রেফ একটা বিচ্ছিন্ন মৃত্যু।এদেশে ধর্ম যার যার মৃত্যু সবার। অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ মৃত্যু। ---------------------------- জানিনা তখন থেকেই মনটা কেমন যেন করছিলো। একদিকে মনে পড়ছিলো সেই ফেলে আসা দিনগুলোর কথা, যখন ঈদের অপেক্ষায় থেকে মন ভরে যেত আনন্দে, অন্যদিকে এবার একের পর এক মানুষ কোরবানি দেখে এক এক ধরণের ভয় আর বিষন্নতায় ভারাক্রান্ত লাগছিলো নিজেকে। হ্যা, রক্তের হোলি খেলে ওরা নিজেদের ঈদকে কতটুকু রঞ্জিত করলো জানি না, তবে অনেকের মুখের হাঁসি  যে কেড়ে নিলো তাতে সন্দেহ নেই। স্কুলে পড়ার স