Posts

Showing posts from October, 2022

হা ভগবান

Image
সেদিন একজন কথা প্রসঙ্গে জানতে চাইল ভগবান আছেন কি না। এদের ধারণা আমরা যারা কসমোলজিস্ট মানে সৃষ্টির রহস্য উদঘাটন করার জন্য গবেষণা করছি তারা এসব প্রশ্নের উত্তর জানি আর না জানলেও খুঁজি। কিন্তু যেহেতু ভগবানের থাকা না থাকার কোন পরীক্ষামূলক প্রমাণ আমার নেই তাই বললাম ভগবান বা ঈশ্বর না থাকলেও তাঁকে তৈরি করতে হত। না হলে নাস্তিকরা নির্ভয়ে সৃষ্টিকর্তাকে গালি দিত কিভাবে? জাপান কোরিয়ায় শুনেছি অফিসের সামনে মালিকের পাপেট থাকে ক্ষুব্ধ কর্মচারীদের কিল ঘুষি খাওয়ার জন্য। ভগবানও মনে হয় এই দায়িত্বে নিয়োজিত। রাজনীতি না করলেও মাঝেমধ্যে রাজনীতিবিদদের মত প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় যা শাঁখের করাতের দু দিকেই কাটে। হা ভগবান! দুবনা, ২৮ অক্টোবর ২০২২

মাস্তান

Image
আমরা প্রায়ই বিচারহীনতার সংস্কৃতির কথা বলি। বলি আমাদের সব দেশের মূল সমস্যা এই বিচারহীনতা। আর সেই সাথে জবাবদিহিতার অনুপস্থিতি। সেটা গেল আমাদের দেশের ক্ষেত্রে। কিন্তু বিশ্ব রাজনীতিতে আমরা কি দেখি? বিশ্বের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জবাবদিহিতা পরিপূর্ণ ভাবে অনুপস্থিত। সে দেশ বিশ্ব রাজনীতিতে নিজেকে সমস্ত রকমের বিচারের ঊর্ধ্বে মনে করে। আর এই মাস্তান মাস্তান ভাবই বর্তমান বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক। চিকাতিলোর মত অনেক সিরিয়াল কিলার ও ধর্ষকরা শুনেছি নিজেদের পরিবারের প্রতি খুবই যত্নশীল ছিল। নিজ দেশে গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী যুক্তরাষ্ট্র ঘরের বাইরে সকলের ঘুম কেড়ে নেয়। এটা যতদিন থাকবে বিশ্বে শান্তি নিজের কানের মত অগোচরেই থেকে যাবে।  দুবনা, ২৭ অক্টোবর ২০২২

হাড্ডি কাহিনী

Image
ঢাকা ভার্সিটির এক রসায়ন শিক্ষক নাকি মানুষের হাড়ে আরবি হরফ দেখতে পান। রসায়ন শিক্ষক তাই রসের অভাব যে নেই সেটা বোঝাই যাচ্ছে। মানুষের কল্পনা সীমাহীন। তাই হাড়ে শব্দ আবিষ্কার সেটা তার সমস্যা। সোভিয়েত ইউনিয়নে অনেকেই সব কিছুতেই মার্ক্সবাদী ব্যাখ্যা খুঁজতেন। তবে অধিকাংশ শিক্ষক সাবজেক্টটা ঠিকঠাক পড়াতেন। ঝামেলা হত যখন কোন কোন তত্ত্বের মার্ক্সবাদী ব্যাখ্যা সেটাকে প্রতিক্রিয়াশীল বললে সেই তত্ত্বের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি হত। জেনেটিক্স এই নিষেধাজ্ঞায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিষয়ের একটি। আমাদের দেশের সরকারি হৃদয় হাড়ের আরবি গঠনে কতটুকু উত্তেজিত, কতটুকু আবেগ তাড়িত সেটাই দেখার বিষয়। তবে শিক্ষক যদি নিজের বিষয়ের পরিবর্তে আরবি ক্লাস নিতে শুরু করেন তাহলে তাকে মাদ্রাসায় স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা একান্ত প্রয়োজন। দুষ্ট লোকেরা বলে ঢাকা ভার্সিটি এখন আসলে বৃহৎ মাদ্রাসা। সেটা হলে তিনি স্বস্থানে আছেন। আরও দুটি কথা। আলিফ, বে এসব শব্দের সাথে গ্রিক আলফা, বেটা এসবের মিল দেখে আর আরব বিশ্বের প্রাচীন গ্রিক, চীন, ভারত থেকে অনেক কিছু গ্রহণ করার ইতিহাস থেকে অনেকের ধারণা আরবি বর্ণমালা গ্রিক থেকে নেয়া। তাছাড়া

ঋষি তুমি কার?

Image
ঋষি সুনাক বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন। ভারতীয় বংশোদ্ভুত তো বটেই, বৃটেনের প্রথম অশেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রীও তিনিই। তবে গায়ের রং আর নামে পদবীতে ভারতীয় (যদিও তাঁর পিতা মাতা দু'জনেই আফ্রিকা থেকে আসা) হলেও এবং যতদূর শোনা যায় পকেটে আমেরিকার গ্রীন কার্ড ধারণ করলেও তিনি একজন বৃটিশ এবং বৃটেনের স্বার্থেই কাজ করবেন বলে আশা করা যায়। যারা তাঁর ভারতীয় অরিজিন দেখে উচ্ছ্বসিত হচ্ছেন তাদের বলব ১৯৯২ থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় পুরো সময়টাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নারী, ২০০৮ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দীর্ঘ আট বছর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন একজন আফ্রো আমেরিকান। কিন্তু না বাংলাদেশ, না আমেরিকা - কোথাও বিড়ালের ভাগ্যে শিকা ছিঁড়ে নাই, বাংলাদেশের নারীরা এখনও সামাজিক ভাবে নির্যাতিত, হেয় যেমনটা আমেরিকার আফ্রো আমেরিকানরা। ঋষি এসেছেন বৃটিশদের সমস্যার সমাধান করতে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার চোরাবালি থেকে তাদের টেনে বের করতে। আসুন এসব কাজে আমরা তাঁর সাফল্য কামনা করি। দুবনার পথে, ২৪ অক্টোবর ২০২২

ঘন্টা

Image
ফেসবুকে আবার কেউ কেউ ইনবক্সে মঞ্জুরুল আহসান খানের হজ্বের ছবি পাঠিয়েছেন। অনেক আগে প্রথম বার (জানি না এই ছবি তখনকার না নতুন) তিনি হজ্ব করতে গেলে বড় একটা নোট লিখেছিলাম। উনি হজ্বে গেছেন সেজন্য নয়, উনি কমিউনিস্টদের পক্ষ থেকে মাফ চেয়েছিলেন বলে। এবারকার ছবি দেখে আমার হেমিংওয়ের সেই কথা মনে পড়ে গেল - কার জন্য ঘন্টা বাজছে সেটা জিজ্ঞেস কর না, এটা হয়তো তোমার জন্যই বাজছে। এখন যারা এ নিয়ে লিখেছেন তারাই যে একদিন হজ্ব করবেন না বা নামাবলী গায়ে কীর্তন করবেন না সেটাই বা কি করে বলব? আপনি যদি কাউকে দেখে রাজনীতি করেন এটা আপনাকে কষ্ট দেবে কিন্তু আদর্শের জন্য রাজনীতি করলে এসব ছবি অনায়াসে পাশে সরিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে‌ন। তাছাড়া এটা তো পার্টির সিদ্ধান্ত নয়, তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সেটাকে শ্রদ্ধা না করতে পারলেও মনে হয় এড়িয়ে যেতে পারি। জানি এটা সোজা নয়। একদিন যাকে নেতা মেনেছিলাম তিনি পথভ্রুষ্ট হলে আমাদের দিকেও আঙ্গুল তোলা হয়। কিন্তু আমাদের শক্তি তো আমাদের আদর্শ। তাই এসব থেকে শিক্ষা নেয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এনিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করার চেয়ে। অন্যের ভুল খোঁজার চেয়ে নিজে যাতে ভুল না করি সে

শেষ যুদ্ধ

Image
খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে নজরুলের এই গান হয়তো সত্য হতে যাচ্ছে আর এই শিশুর ভূমিকায় অভিনয় করছেন জোসেফ বাইডেন। তবে যে মহাসাগর এক সময়ে আমেরিকাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখত আজ সেই মহাসাগর তার ভালনারেবলিটির কারণ। পারমাণবিক শক্তিতে চলা পারমাণবিক অস্ত্রবাহী সাবমেরিন দুদিক থেকেই আমেরিকার নাকের ডগায় বসে সে দেশ ধ্বংস করতে সক্ষম। সেদিক থেকে রাশিয়া ও চীন অন্তত অনেক দিক থেকে রক্ষিত। তাছাড়া রাশিয়ার আকার এক্ষেত্রে পজিটিভ রোল প্লে করে।  খবরে প্রকাশ ইউক্রেন এখন নিজের এলাকায় আর সঠিক ভাবে বললে দনেপ্রোপেত্রভস্ক এলাকায় ডার্টি পারমানবিক বোমা বিস্ফোরণ করে ন্যাটোকে যুদ্ধে নামানোর অজুহাতে তৈরি করছে। খনি শ্রমিক আর নিউক্লিয়ার ফিজিক্স ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা এ কাজে নিযুক্ত। ন্যাটো ও আমেরিকার নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই এটা যে তাদের যুদ্ধ সেটা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন। তাই আমরা যে পারমাণবিক যুদ্ধের সাক্ষী হতে যাচ্ছি সে ব্যাপারে আমার সন্দেহ দিন দিন কমছে। রাশিয়া আক্রান্ত হবে, আমেরিকা দুদিক থেকে পারমাণবিক সুনামীর আঘাত অনুভব করবে যাতে সেদেশ ভবিষ্যতে বাসের অযোগ্য হবে আর ইংল্যান্ড হারিয়ে যাবে পৃথিবীর মানচিত্র থেক

ভূত

Image
সেদিন একজনের সাথে ফোনালাপ হচ্ছিল। পশ্চিমা মাধ্যম থেকে প্রায়ই বলে রুশরা নাকি নিজেদের উপর নিজেরাই আক্রমণ করে, পাইপ লাইনে বিস্ফোরণ ঘটায়, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রকেট আক্রমণ করে। এসব কি সত্য?  সত্য কি? মানুষ যা বিশ্বাস করে তাইতো? পশ্চিমারা আগে হয়তো এসব নেহায়েৎ প্রোপ্যাগান্ডা ভাবত, এখন মনে হয় বিশ্বাস করে। অনেকটা এরকম। তুমি একজনকে ভয় দেখানোর জন্য ভূত ভূত বলে চিৎকার করলে আর একসময় নিজে নিজের কাল্পনিক ভূতে বিশ্বাস করে ভয় পেয়ে গেলে। এখন ওদের অবস্থা অনেকটা এরকম। সে অর্থে আপনি যা বলছেন সেটা সত্য। কেন? কিভাবে কল্পনা সত্য হয়? দেখুন আগে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা ছিল - জনগণের দ্বারা নির্বাচিত, জনগণের জন্য, জনগণের সরকার। এখন আমরা বাস্তবে কি দেখছি? জনগণের দ্বারা নির্বাচিত, এলিটদের জন্য গণ বিরোধী সরকার। এটাই বর্তমান গণতন্ত্র। এসব দেশে বাস্তবে সেটাই ঘটছে আর এরা নিজেদের গণতন্ত্রী মনে করছে। সেটা ইউরোপের যেকোনো দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে। যেহেতু আমেরিকা তথা পশ্চিমা বিশ্ব নিজেদের পৃথিবীর শাসক বলে মনে করে আর রাশিয়া তথা অন্যান্য দেশকে তারা নিজেদের প্রজা বা জনগণ বলে মনে করে তাই গণতন্ত্

ঠিকানা চাই

Image
শুনতে পেলাম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে লোকজন কম খেতে শুরু করেছে। কেউ কেউ বিকেলে টিফিন করা থেকে বিরত থাকছে। হয়তোবা কিছু লোক এর থেকে উপকৃত হবে। শিখবে মিতব্যয়ী হতে। হয়তোবা এই সুযোগে কেউ কেউ দু চার কেজি ওজন হারিয়ে স্বাস্থ্যের যত্ন নেবে। তবে বেশির ভাগ মানুষ আসলে এটা করবে নিরূপায় হয়ে। আমি অবশ্য এ পথে যাব না। উল্টো ক্রেডিটে খাবার খাচ্ছি। এদেশে আম অনেকটা সৌখিন খাবার। সাধারণত কালেভদ্রে একটা মাঝারি সাইজের আম কিনে সবাই মিলে খাই। এবার অনেকগুলো আম কিনলাম, বাচ্চাদেরও কিনতে বললাম। বড় বড় ফজলি আমি। এত মিষ্টি ও সুস্বাদু আম এদেশে আগে কখনও পাইনি। কে জানে এসব রাজশাহীর আম কি না? বৌ জিজ্ঞেস করল এত আম খাচ্ছি কেন? বললাম, খেয়ে নাও। যে যুদ্ধ শুরু হল বলা যায় না এর শেষ কোথায়। সবাই যদি এক সাথে স্বর্গে বা নরকে যাত্রা করি কতদিন যে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে কে জানে। তাই বেশি করে খেয়ে নাও যাতে পরলোকের কাস্টমস পার হতে হতেই অনাহারে না মর।  কিন্তু এখন আমার অন্য সমস্যা। যেহেতু দাড়ি আর টিকিওয়ালা মানুষের ভীড়ে স্বর্গ গিজগিজ করবে তাই ওমুখো হবার ইচ্ছে আমার কোন দিনই ছিল না। আবার সব দেখে মনে হয় নরক থাকবে বর্তমান রাজনীতি

রাজনীতি

Image
লিজা চলে গেলেন। না না, ভয় পাবার কারণ নেই, তিনি পৃথিবী থেকে চলে যাননি, চলে গেলেন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রীট থেকে - ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদকে নিকুচি করে। সে জন্য গাট দরকার। উনি প্রমাণ করলেন যে উনি সত্যিকার অর্থেই ঝাঁঝালো মহিলা। এমনি এমনি তো ট্যাঙ্কে চড়ে রাশিয়াকে ভয় দেখাননি! তবে দুষ্ট লোকেরা বিভিন্ন কথা বলে। তাই এই লেখার অবতারণা। অনেক দিন আগের কথা। খুব সম্ভব ১৯৯৬ সাল। বিশ্ব হেভি ওয়েট বক্সিং চ্যালেঞ্জ ম্যাচ। জানেন তো এসব খেলা মানে টাকার ছড়াছড়ি। জিতলেও লাখ টাকা, হারলেও লাখ। কথায় বলে হাতি মরলেও লাখ টাকা, বাঁচলেও লাখ টাকা। অনেকটা হাতির মত। তাছাড়া হেভি ওয়েট বক্সাররা হাতির চেয়ে কম কিসে? যাহোক, সেবার প্রাইজ মানি ছিল বেশ বড় - জিতলে ৪ মিলিয়ন ডলার, হারলে ৩, এরকম কিছু একটা। যে চ্যালেঞ্জ করেছে সে অবশ্য মোহাম্মদ আলী, ফোরম্যান, টাইসন এদের মত জনপ্রিয় ছিল না, তবে ভালো বক্সার ছিল। তাই খেলা যে জমবে এটা সবাই ধরেই নিয়েছিল। কিন্তু যখন প্রথম রাউন্ডের কয়েক সেকেন্ডের মাথায় সে নক আউট হল, দুর্জনেরা বলতে শুরু করল যে সে খেলতে নামেনি, শুধু টাকার জন্য লড়াইয়ের ভান করেছে। হতে পারে। মারামারি না করেই যদি ৩ মিলিয়ন ডলার

নাগর

Image
আমার স্বল্পায়ুর দেশীয় জীবনে বাংলাদেশে তিন তিনটে দলের শাসনে বাস করার সুযোগ পেয়েছি। পাকিস্তান আমলে সামরিক শাসন ছিল। বাংলাদেশ আমলেও তাই, তবে এর মধ্যেও আওয়ামী লীগ, বিএনপি আর জাতীয় পার্টির পরশ কিছুটা হলেও পেয়েছি। তবে কথাটা অন্য জায়গায়। প্রায় প্রতিটি সরকার বদলের সময় কিছু লোককে দেখেছি দল বদল করতে। তখন এদের দলছুট, বিশ্বাসঘাতক এসব বলে মনে হত। এখন মনে হয় না। এখন বুঝি এরা আসলে দল বদলায় না, বিভিন্ন দল বিভিন্ন সময়ে সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়ে বিদায় নেয় আর এসব লোক তাদের আদর্শে অটল থেকে সব সময়ই সরকারি দলে থেকে যায়। এটা কি বাংলাদেশের ইউনিক বৈশিষ্ট্য নাকি বিশ্ব রাজনীতিতে এটা ডাল ভাত ঠিক জানি না। যাহোক, বাংলাদেশের মানুষের এই ধারা অনেকেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বজায় রাখে। এদের অনেককেই দেখি যখন যে দেশে থাকে তখন অন্ধভাবে সেই দেশের ন্যারেশনকে বিশ্বাস করে। বিশ্বাস করে বললে ভুল হবে, এরা নিজেদের স্বার্থ ছাড়া আর কোন কিছুতেই বিশ্বাস করে না। তবে চার্চিলের সাথে গলা মিলিয়ে এরা বলে, আমার কোন আদর্শ নেই আছে স্বার্থ (ব্রিটেনের কোন বন্ধু নেই আছে জাতীয় স্বার্থ)। আসলে এদের চরিত্রই এমন - নিজের স্বার্থে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায়

ভাবনা

Image
বাংলাদেশে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আড়মোড়া দিয়ে উঠছে। বাম দলগুলো শীত নিদ্রায় না গেলেও এখন আরও বেশি তৎপর হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনী শর্ত দিতে শুরু করেছে।  ইরানে তুদেহ পার্টি শাহের বিরুদ্ধে ইসলামী দলের সাথে আঁতাত করে অচিরেই সুদে আসলে সেই ঋণ শোধ করেছিল অস্তিত্ব হারিয়ে। বাংলাদেশে সরকারি আর প্রধান বিরোধী দল এখন বিভিন্ন মাত্রায় মৌলবাদ দ্বারা পুষ্ট। এই পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাম জোটের আওয়ামী বিরোধী বিভিন্ন দাবি তোলা ও জোট গঠনের আগে ইরানের ঘটনা বিবেচনায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুবনা, ১৬ অক্টোবর ২০২২

"কৃতজ্ঞঘ্ন"

Image
আমার অনেক বন্ধু, যারা সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়াশোনা করেছে, সুযোগ পেলেই বলে রাশিয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন নয় তাই সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভিন্ন অবদানের জন্য রাশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার কোন কারণ নেই। কথাটা মোটেই অযৌক্তিক নয়, অন্ততঃ ফর্মাল দিক থেকে। পুতিন বিরোধিতা করতে গিয়ে এরা প্রায়ই রুশ বিরোধিতা করে ঠিক যেমনটা রবীন্দ্র বিরোধিতা করতে গিয়ে অনেকেই বাংলা বিরোধিতা করে। একই সাথে নিজেরা যে কৃতঘ্ন নয় সেটা প্রকাশের জন্য এরা সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে ভুলে না। তবে ইউক্রেন বা বাল্টিকের দেশগুলোতে যখন তথাকথিত ডিসোভিয়েতিজেশন করতে গিয়ে নির্বিচারে অতীতের সব অস্বীকার করে তখন সেসব গণতন্ত্রের সস দিয়ে মাখিয়ে এরা দিব্যি গিলে ফেলে। রাজনীতি, অর্থনীতির খোলনলচে অনেক আগেই বদলে গেছে। তাই ডিসোভিয়েতিজেশনের নামে লেখক, কবি, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রাণ দিয়েছে এদের স্ট্যাচু ভাঙা আসলে রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা। এদের জাস্টিফাই করা পক্ষান্তরে হিটলারকে জাস্টিফাই করা। আমাদের দেশে রাম রাজত্ব, মদিনা সনদ অনেকটা এরকমই। আমার প্রায়ই জানতে ইচ্ছে করে যদি কেউ বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানের স্মৃতি মুছে ফেলত

সন্ত্রাস

Image
সন্ত্রাস শব্দের মূল ত্রাস। যে কাজ ত্রাসের বা ভয়ের সৃষ্টি করে সেটাই সন্ত্রাস আর যে বা যারা এটা করে সে বা তারা সন্ত্রাসী। ধরুন একজন লোক কিরিচ বা বন্দুক বা ঐ জাতীয় কিছু নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনকি সে যদি ঐ মূহুর্তে সরাসরি কাউকে আক্রমণ নাও করে ঐ বেশে উপস্থিতিই অন্যদের ভয়ের কারণ হতে পারে। তাই সে সন্ত্রাসী। একই ভাবে কোন লোক বা কোন দেশ যখন ভয় দেখিয়ে অন্যদের কাছ থেকে কিছু আদায় করতে চায় সেই লোক বা সেই দেশ সন্ত্রাসী। বিশ্ব রাজনীতিতে নিজেদের পক্ষে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সমর্থন আদায়ের জন্য পশ্চিমা বিশ্ব অর্থনৈতিক স্যাঙ্কশন সহ বিভিন্ন বাধা নিষেধ আরোপের যে হুমকি দেয় সেটাও এক ধরণের সন্ত্রাস। আর সেই বিচারে এই মুহূর্তে পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্ত্রাসী দেশ নিঃসন্দেহে আমেরিকা। দুবনা, ১৪ অক্টোবর ২০২২

ভোট ডাকাতি

Image
আজ নাকি প্রথমবারের মত জাতিসংঘে বাংলাদেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাই অনেকেই এতে অবাক হয়েছেন। কিন্তু যতদূর জানি গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে কাচকলা দেখিয়ে ভোট হয়েছে প্রকাশ্যে যদিও গণতন্ত্র গোপন ভোটের পক্ষেই বলে কারণ তাতে ভোট দানকারী নির্দ্বিধায় নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারে। যেহেতু বিশ্বের অনেক দেশই পশ্চিমা বিশ্বের কাছে কোন না কোন ভাবে দায়বদ্ধ এবং এখনও পশ্চিমা বিশ্ব স্যাঙ্কশন আরোপসহ বিভিন্ন ভাবে উন্নয়নশীল বিশ্বের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে তাই প্রকাশ্য ভোট এক্ষেত্রে অনেকটা বন্দুকের মুখে ভোট দানের মত। তাই এটাকে ভোট না বলে ফার্স বলাই শ্রেয়। অথবা আমাদের পরিচিত ভাষায় - জাতিসংঘে আজ ভোট ডাকাতি হয়েছে আর সেই ভোট ডাকাতিতে অন্য অনেক দেশের মত বাংলাদেশের ভোটও ডাকাতি হয়ে গেছে পশ্চিমা বিশ্বের পক্ষে। দুবনা, ১৩ অক্টোবর ২০২২

বন্দী জীবন

Image
মৌলবাদীরা সারা বিশ্বে তাদের রাজ্য বা খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে আমরা যেভাবে তার বিরোধিতা করি ঠিক একই ভাবে পশ্চিমা বিশ্ব যখন সারা বিশ্বে তাদের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায় তার বিরোধিতা করতাম পৃথিবী আজ অন্যরকম হত। যদি আমরা পশ্চিমা বিশ্বের অনুকরণে নিজেদের দেশ গড়তে চাই তাহলে কি উপনিবেশ শাসন থেকে বেরুনোর জন্য এত ত্যাগের দরকার ছিল? কোন জাতি স্বাধীনতা চায় অন্যের দেওয়া অনুশাসনে নয়, হাজার বছর ধরে ঐতিহাসিক ভাবে ও ভৌগলিক কারণে সেই এলাকায় যে সংস্কৃতি, যে সামাজিক বন্ধন গড়ে উঠেছে সেটাকে নিজের মত করে বিকাশ করতে, সেই পরিমন্ডলে বাস করতে। বিভিন্ন দেশে ভাষা আন্দোলন, সাংস্কৃতিক আন্দোলন এসবের পেছনে এই আকাঙ্খাই কাজ করে। সেদিক থেকে দেখলে রঙ বেরঙের বাসন্তী আন্দোলন আমাদের স্বাধীন করার জন্য নয়, সেটা আমাদের নব্য ঔপনিবেশিক শৃঙ্খলে বন্দী করার জন্য নতুন ফাঁদ । খাঁচা সোনার হলেও সেটা খাঁচাই আর সে জীবন বন্দী জীবন।   দুবনা , ১১ অক্টোবর ২০২২  

প্রগতিশীলতা

Image
গতকাল ফরহাদ ভাইকে নিয়ে আমার দু বছর আগের এক লেখায় একজন লিখেছেন সেই সময়ের রাজনীতিকে এখন বলা হয় দক্ষিণপন্থী। নিজের শক্তির সঠিক মূল্যায়ন করে সেটার সদ্ব্যাবহার করার নামই আমার মনে হয় প্রগতিশীলতা। প্রগতির সাথে গতি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। যদি চরম লক্ষ্যে পৌঁছানোর শক্তি না থাকে তাহলে অন্য পথে না গিয়ে এক জায়গায় বসে চৌকাঠে মাথা ঠুকে আন্দোলনে গতি আনা যায় না। এতে শক্তি ক্ষয় হয়, জনগন বিভ্রান্ত হয়, আন্দোলন সমর্থন হারায়। বড় জয়ের জন্য অপেক্ষা না করে ছোট ছোট জয়ের মধ্য দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। জনগন সমর্থন লাভে এসব জয়ের মূল্য অপরিসীম। কিন্তু আমরা বিভিন্ন নাম দিয়ে এসব কৌশলগত আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছি বিধায় নিজেরাই হারিয়ে ও হেরে যাচ্ছি। এটাও মনে হয় বর্তমানে বাম আন্দোলনের চোরাবালিতে আটকে থাকার একটা কারণ। মস্কো, ১০ অক্টোবর ২০২২

প্রশ্ন

Image
জোয়ান রোউলিং কে নিয়ে বৃটেনে আবার বিতর্ক। না, তাঁর সাহিত্য নিয়ে নয়, সামাজিক বিষয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। তাঁর অপরাধ তিনি অপ্রাপ্ত বয়স্কদের অধিকার নিয়ে কথা বলেছেন। যারা শিশুদের যৌনতা বিষয়ে স্বাধীনতা দিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। একটা সময় ছিল যখন সমাজ তাঁর যৌক্তিক প্রশ্নের পাশে দাঁড়াত এখন সেই সমাজ তাঁর বিরুদ্ধে। সময় বদলে গেছে। এ প্রসঙ্গে আমার কিছু প্রশ্ন জাগছে মনে। শিশুরা যদি তারা ছেলে না মেয়ে এই ব্যাপারে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে তবে তারা ভোট দিতে পারে না কেন? হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন ভোট হল নাগরিক অধিকার, মানুষের তৈরি নিয়ম বা আইন যাতে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হয় তার জন্য ম্যান্ডেট দেয়া। অন্যদিকে কেউ ছেলে না মেয়ে এটা বায়োলজিক্যাল বা প্রাকৃতিক ব্যাপার। তাই যদি হয় তাহলে এখানে মানুষ হাত দেবে কেন? মানুষ প্রকৃতির অংশ। প্রকৃতি রক্ষা পরিবেশ আন্দোলনকারীদের প্রধান লক্ষ্য। সেই যুক্তিতে শিশুদের উপর এই এক্সপেরিমেন্ট কি পরিবেশ বিরোধী নয়? পরিবেশ বিপ্লবীরা কি বলেন? দুবনা, ০৯ অক্টোবর ২০২২ 

কার মাথা কার কাঁঠাল

Image
  অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় ইরানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে আর এর পেছনে রয়েছে পশ্চিমা বিশ্বের লম্বা হাত আছে। অনেকেই এটাকে আমার পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি আমার বায়াস মনোভাব হিসেবে দেখতে পারেন, তবে বিগত কয়েক দশকের ঘটনাবলী সেই ইঙ্গিতই দেয়। রাশিয়ার বিরুদ্ধে স্যাঙ্কশন আরোপের পরে পশ্চিমা বিশ্ব উঠেপড়ে লেগেছিল যেখান থেকেই হোক জ্বালানি সংগ্রহ করতে। ভেনেজুয়েলা, ইরান – কোন নামই তখন বাদ পড়েনি। তাই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইরানকে নামাতে না পেরে সমস্ত বিষয়টি বাইরে থেকে প্রোভোক করা হয়েছে কিনা সেটাও প্রশ্ন। নিঃসন্দেহে ইরানের মুক্তিকামী মানুষ, বিশেষ করে ইরানের নারীরা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতিত, অধিকার বঞ্চিত। এবং যেকোনো স্বাধীন চিন্তার মানুষ তাদের এই লড়াইয়ে সমর্থন জানাবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের সহযোগিতায় মুক্তির আন্দোলনে নামলে সেখানে নতুন ইরাক বা লিবিয়া জন্ম যে নেবে না সেটা কি কেউ হলফ করে বলতে পারে? আরব বসন্ত এভাবেই শুরু হয়েছিল আর যখন সেই বাসন্তী বাতাসে ভর করে কোন দেশে অপছন্দের সরকার ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেখা গেছে পশ্চিমাদের আসল রূপ। তাই ইরানের মানুষের প্রতি আমাদের নিঃশর্ত সমর্থন যেন

অভিজ্ঞতা

Image
এবার পূজায় বেশ কিছু অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হল। প্রথমত এবারই প্রথম পূজার উপর লাইভ করলাম। বেশ কিছুদিন হল জ্বলদর্চি পত্রিকায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখি। হঠাৎ পত্রিকার সম্পাদক ঋত্বিক ত্রিপাঠী বললেন মস্কো পূজার উপর কিছু লিখতে। কথা দিলাম না, তবে মাথায় রাখলাম। লিখতে গিয়ে দেখি অনেক তথ্যই জানি না। শুধু আমি নই, কেউই না। মানে কেউ ঠিক করে বলতে পারল না মস্কোয় পূজা ১৯৮৯ সালে শুরু হয়েছে নাকি ১৯৯০। আমি ১৯৮৯ সালে জুলাই থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত দেশে ছিলাম, সেবারই দেশে শেষ পূজা দেখি। মনে হয়েছিল এসে বন্ধুদের অনেকের কাছেই মস্কোর পূজার কথা শুনেছিলাম, আফসোস করেছিলাম এমন একটা ইভেন্ট মিস করলাম বলে। তবে যখন অন্যদের সাথে কথা বললাম, প্রায় সবাই বলল পূজার শুরু ১৯৯০ সালে। যদিও কেউ কেউ ১৯৮৮ আর ১৯৮৯ সালের কথাও বলেছিল। সে যাই হোক। শেষ পর্যন্ত মনে একটু সন্দেহ রেখেই মস্কোর পূজার উপর লিখলাম। এরপর ঋত্বিক বাবু অনুরোধ করলেন লাইভ পূজা দেখাতে। প্রসঙ্গত বলে রাখি আমি বরাবরই ফটোগ্রাফি করি, ভিডিও তেমন করতাম না। অনেক আগে এই ঋত্বিক বাবুর অনুরোধেই প্রথম ভিডিও করা, দুবনার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য জ্বলদর্চি পত্রিকার পাঠক ও দর্শকদের কাছে তুলে ধরা

একচোখা

Image
  সেদিন একজনের সাথে কথা হচ্ছিল ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে। অনেকের মত সেও খুব চিন্তিত। আর সবচেয়ে বড় কথা রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই যুদ্ধ কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে সে সন্দিহান। ইউক্রেনে যে ফ্যাসিবাদ আছে সেটাও তার মনে হয় না। বলল কই অন্তত একটা ফ্যাসিস্ট দেখাক। আসলে এসবই মানুষের মাথায়। আর মাথায় একবার কোন ভূত ঢুকে গেলে কার সাধ্য সেই ভূত ছাড়ায় ? তাই আমি নিজের থেকে কিছু বলিনি , এখনও বলব না। শুধু সে যে কথাগুলো বলে গেল সেটাই জানাচ্ছি। অনেক দিন মস্কোয় বসবাস করলেও বিভিন্ন কাজকর্মে সে নিয়মিত বাইরে যায়। কাজের ক্ষেত্রেই অনেক মানুষের সাথে মেলামেশা করে। সারা ইউক্রেন ঘুরে বেড়িয়েছে। সবাই শুধু রুশ ভাষাতেই কথা বলে। তাহলে রুশ ভাষার অবহেলা কোথায় হল ? এসব বাজে কথা। আমি ছোট্ট করে বললাম , আমাদের ভোটেই পাকিস্তান হয়েছিল আর ১৯৪৮ সালে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা করতে চেয়েছিল। আমাদের বাংলায় কথা বলতে দেবে না তা কিন্তু কেউ বলেনি। তার পরেও আমরা বিদ্রোহ করেছি। কেন ? কারণ

আধুনিকতা

Image
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান যে রাশিয়ার অস্তিত্বের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত এ কথার পিঠে অনেকেই বলে রাশিয়ার আবার অস্তিত্ব কি? কী দিতে পারে রাশিয়া বিশ্বকে? আধুনিক প্রযুক্তিতে কী অবদান তার? এমনকি সে নিজেই বাইরের প্রযুক্তির উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। গুগলের যে সম্পদ আছে রাশিয়ার সেটা নেই।  কথাটা মিথ্যে নয়। তাই তো, কি দিতে পারে রাশিয়া বিশ্বকে? কিন্তু দেখা গেল যখন পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক রঙ বেরঙের স্যাঙ্কশন আরোপ করতে শুরু করল বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ল জ্বালানি সংকট, খাদ্যাভাব হবার সম্ভাবনা, লজিস্টিক ক্রাইসিস, বিশ্ব অর্থনীতি হল রিসেশনের মুখোমুখি। অবশ্য এসব পশ্চিমা বিশ্বের ভুল। রাশিয়ার কোন ভূমিকা নেই এতে। থাকতে পারে না। রাশিয়ার উপর তো বিশ্বের কিছু নির্ভর করে না যদিও ইন্টারন্যাশনাল স্পেশ স্টেশনে যেতে এদের রকেট লাগে, ফ্রান্স, আমেরিকার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালানির জন্য এদের উপর অনেকটাই নির্ভর করে। মার্ক টোয়েন বলেছিলেন জমি কিনতে কারণ তার প্রোডাকশন বন্ধ হয়ে গেছে। টেকনোলজি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ, তবে প্রাকৃতিক সম্পদ ছাড়া সে অচল, অন্তত এখন পর্যন্ত। জীব জগৎ কোন টেকনোলজি ছাড়

দাসত্বের মূল্য

Image
এক্স সোভিয়েত ইউনিয়নের এক রিপাবলিক সম্পর্কে বলা হত এটা পৃথিবীর সবচেয়ে স্বাধীন দেশ কারণ তার উপর পৃথিবীর কিছু্ই নির্ভর করে না এমনকি তার নিজের ভাগ্যও না। ইউরোপের অধিকাংশ দেশ আজ চাইলেই তেল, গ্যাস কিনতে পারে না, এসব দেশের মানুষ ইচ্ছে মত স্নান করতে পারে না, ঘরের তাপমাত্রা কত হবে সেটাও উপর থেকে বলে দেয় আর এই সব উপরওয়ালারা কথা বলে আরো উপরের নির্দেশে। ইউরোপের এসব উন্নত দেশগুলোর মানুষ আজ তাদের সরকার মার্কিন আনুগত্য আর ইউক্রেনের কাছে জিম্মি। সবচেয়ে বড় কথা বিশ্বের রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে ইউরোপ ধীরে ধীরে উধাও হয়ে যাচ্ছে ইউরোর সাথে সাথে। পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে দিন দিন তারা মুক্ত হচ্ছে অন্যের তো বটেই এমনকি নিজেদের ভালোমন্দের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার থেকে। দাসত্বের মূল্য এমনটাই হয়। অনেক আগে এরা নিজেরাই দাসদের এই মূল্য নির্ধারণ করেছিল। মস্কো, ০২ অক্টোবর ২০২২

হঠকারিতা

Image
কেউ ইনবক্সে কেউবা কোন স্ট্যাটাসের কমেন্টে জানতে চায় পুতিনের শারীরিক অবস্থার কথা। দেশে নাকি তাঁর শারীরিক অসুস্থতার খবরে বাজার গরম। এখানে এ নিয়ে কোন খবর নেই। তার মানে এই নয় যে এখানে সেসব গোপন করে রাখা হয়। কোন কিছু গোপন করে রাখার দিন শেষ।  সত্যিকারের শক্তিশালী দল চায় তার প্রতিপক্ষ যেন পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামে যাতে তারা সেই দলের বিরুদ্ধে খেলে জয়লাভ করে মানসিক তৃপ্তি লাভ করে। দুর্বল দল চায় প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা যেন অসুস্থ হয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে। পুতিনের অসুস্থতা নিয়ে পশ্চিমা মাধ্যমের মাতামাতি সেসব দেশের দুর্বলতা প্রকাশ করে। এটা আসলে ওদের হীনমন্যতা। তাছাড়া আমার বিশ্বাস এখন এদের রাজনীতি আর এক ব্যক্তির উপর নির্ভর করে না। এই ধারণার উপর ভিত্তি করে কৌশল তৈরি করলে তা হবে পশ্চিমাদের আরও একটা রাজনৈতিক হঠকারিতা। দুবনা, ০১ অক্টোবর ২০২২