ঠিকানা চাই

শুনতে পেলাম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে লোকজন কম খেতে শুরু করেছে। কেউ কেউ বিকেলে টিফিন করা থেকে বিরত থাকছে। হয়তোবা কিছু লোক এর থেকে উপকৃত হবে। শিখবে মিতব্যয়ী হতে। হয়তোবা এই সুযোগে কেউ কেউ দু চার কেজি ওজন হারিয়ে স্বাস্থ্যের যত্ন নেবে। তবে বেশির ভাগ মানুষ আসলে এটা করবে নিরূপায় হয়ে। আমি অবশ্য এ পথে যাব না। উল্টো ক্রেডিটে খাবার খাচ্ছি। এদেশে আম অনেকটা সৌখিন খাবার। সাধারণত কালেভদ্রে একটা মাঝারি সাইজের আম কিনে সবাই মিলে খাই। এবার অনেকগুলো আম কিনলাম, বাচ্চাদেরও কিনতে বললাম। বড় বড় ফজলি আমি। এত মিষ্টি ও সুস্বাদু আম এদেশে আগে কখনও পাইনি। কে জানে এসব রাজশাহীর আম কি না? বৌ জিজ্ঞেস করল এত আম খাচ্ছি কেন? বললাম, খেয়ে নাও। যে যুদ্ধ শুরু হল বলা যায় না এর শেষ কোথায়। সবাই যদি এক সাথে স্বর্গে বা নরকে যাত্রা করি কতদিন যে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে কে জানে। তাই বেশি করে খেয়ে নাও যাতে পরলোকের কাস্টমস পার হতে হতেই অনাহারে না মর। 

কিন্তু এখন আমার অন্য সমস্যা। যেহেতু দাড়ি আর টিকিওয়ালা মানুষের ভীড়ে স্বর্গ গিজগিজ করবে তাই ওমুখো হবার ইচ্ছে আমার কোন দিনই ছিল না। আবার সব দেখে মনে হয় নরক থাকবে বর্তমান রাজনীতিবিদদের বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বের রাজনৈতিক নেতাদের দখলে। ওদের সাহচর্য আমার একেবারেই পছন্দের নয়। আচ্ছা ওখানে কি কোন তৃতীয় পথ নেই, নাকি সেখানেও বাংলাদেশের মত তৃতীয় শক্তির আকাল। সমাজতন্ত্র বলেন আর গণতন্ত্র বলেন - সব জায়গায় হয় একদলীয় অথবা দুই দলীয় শাসন। কেউ কি অন্য কোন ঠিকানা জানেন না স্বর্গ আর নরকের বাইরে? জানা থাকলে জানাবেন। একটা বুকিং আগে থেকেই দিয়ে রাখব।

দুবনা, ২২ অক্টোবর ২০২২

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

ছোট্ট সমস্যা

প্রায়োরিটি