ঘন্টা
ফেসবুকে আবার কেউ কেউ ইনবক্সে মঞ্জুরুল আহসান খানের হজ্বের ছবি পাঠিয়েছেন। অনেক আগে প্রথম বার (জানি না এই ছবি তখনকার না নতুন) তিনি হজ্ব করতে গেলে বড় একটা নোট লিখেছিলাম। উনি হজ্বে গেছেন সেজন্য নয়, উনি কমিউনিস্টদের পক্ষ থেকে মাফ চেয়েছিলেন বলে। এবারকার ছবি দেখে আমার হেমিংওয়ের সেই কথা মনে পড়ে গেল - কার জন্য ঘন্টা বাজছে সেটা জিজ্ঞেস কর না, এটা হয়তো তোমার জন্যই বাজছে। এখন যারা এ নিয়ে লিখেছেন তারাই যে একদিন হজ্ব করবেন না বা নামাবলী গায়ে কীর্তন করবেন না সেটাই বা কি করে বলব? আপনি যদি কাউকে দেখে রাজনীতি করেন এটা আপনাকে কষ্ট দেবে কিন্তু আদর্শের জন্য রাজনীতি করলে এসব ছবি অনায়াসে পাশে সরিয়ে সামনে এগিয়ে যাবেন। তাছাড়া এটা তো পার্টির সিদ্ধান্ত নয়, তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সেটাকে শ্রদ্ধা না করতে পারলেও মনে হয় এড়িয়ে যেতে পারি। জানি এটা সোজা নয়। একদিন যাকে নেতা মেনেছিলাম তিনি পথভ্রুষ্ট হলে আমাদের দিকেও আঙ্গুল তোলা হয়। কিন্তু আমাদের শক্তি তো আমাদের আদর্শ। তাই এসব থেকে শিক্ষা নেয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এনিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করার চেয়ে। অন্যের ভুল খোঁজার চেয়ে নিজে যাতে ভুল না করি সে জন্য সচেষ্ট হওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
মস্কো, ২৪ অক্টোবর ২০২২
Comments
Post a Comment