Posts

Showing posts from August, 2018

ভাব সম্প্রসারণ

Image
কয়েকদিন আগে ঈদ চলে গেল । ফেসবুকে বয়ে গেল শুভেচ্ছার বন্যা । ঈদ, পূজা, বাংলা ও ইংরেজি নববর্ষ, ভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস (৯ মে ও ১৬ ডিসেম্বর) এ দিনগুলোতে আমরা একে অন্যেকে শুভেচ্ছা জানাই । এখন অবশ্য সামাজিক মাধ্যমের কারণে যোগাযোগ রেগুলার হয় । চিঠির যুগে এসব দিন ছিল বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করার এক বাড়তি অ ছিলা । অন্তত আমার জন্য এসব ছিল পরিচিত মানুষদের সাথে দেখা করার বা তাদের খোঁজ খবর জানার এক উত্তম সুযোগ । এ কারণেই মস্কোয় কোন অনুষ্ঠান হলে যাওয়ার চেষ্টা করি । অন্যদের কথা বলতে পারব না, তবে পূজা বা ইদের শুভেচ্ছার সাথে সাথে আমার কাছে বরাবরই চলে আসে ছোটবেলার সেই দিনগুলো । তখন গ্রামে এগুলোই ছিল একমাত্র অনুষ্ঠান যখন মানুষ দল বেঁধে একে অন্যেকে স্বাগত জানাত, প র ত নতুন জামাকাপড় । অনেকের জন্যে পূজা বা ঈদের জামাকাপড়ই ছিল বছরের একমাত্র পোশাক । তার চেয়েও বড় কথা শুধুমাত্র এই সময়েই সবাইকে দেখিয়ে জামাকাপড় প র ত সবাই । অনুষ্ঠানের অনেক আগে থেকেই দর্জির দোকানে দেওয়া জামাকাপড়ের গল্প চলত পাড়ায় পাড়ায় । এখন হয়তো সেরকম নেই, তবে ধর্মীয় আবেদনের বাইরেও একটা সামাজিক আবেদন রয়ে গেছে বলেই আমার বি

দুই বন্ধু

Image
কয়েক দিন আগের কথা। দুই গরু গল্প করছিল ঘাস খেতে খেতে। একটা ছিল নাদুস নুদুস ষাঁড়, আরেকটা চামড়ায় ঢাকা হাড্ডিসার বলদ। দেখলেই বোঝা যায় ষাঁড় ছিল গৃহস্থের বড় আদরের। আর বলদ, যাকে বলে কুলুর বলদ, সারাদিন খাটত, খাবার বলতে ষাঁড়ের উচ্ছিষ্ট আর গৃহস্থের লাঠির বারি। সামনে ঈদ। গৃহস্থ তাই দুজনকে মাঠে নিয়ে গেছে চড়াতে, সুযোগ দিয়েছে মন খুলে কথা বলার।    ঈদ তো সামনে। হ্যাঁ। কী মনে হয়, বসের মতিগতি কিছু বুঝিস? বোঝার কি আছে? সেদিন তো বলল, আমাকে ঢাকায় নিয়ে যাবে। ঢাকা আমাদের দেশের রাজধানী। অনেক মানুষ সেখানে। বড় বড় দালান কোঠা আর বড়লোকদের বাস সেখানে।      ইস, সেখানে নিশ্চয়ই দামী আর সুস্বাদু ঘাস? একবার যদি যেতে পারতাম? তোর মাথা খারাপ? শহরে ঘাস আসবে কোত্থেকে? আর তুই গিয়েই বা কি করবি? ওখানে তো চাষাবাদ হয় না। ঢাকা গেলে তো তুই না খেয়ে মারা যাবি। আর তুই? আমি আবার কি? বস বলল সেখানে এক কোটিপতি আমার জন্য অপেক্ষা করছে বেহেশতের টিকেট নিয়ে। সেখানে নাকি রাজকীয় আয়োজন। বলল আমার আগমন উপলক্ষ্যে তার বাড়িতে নাকি দক্ষযজ্ঞ শুরু হয় হয়। বেহেশতে তো আর ট্রেনিং ছাড়া যাওয়া যায় না। তাই কয়েক দিন আমাকে ওখানে রাখবে জামাই আদরে, হাতে

১৫ আগস্ট নিয়ে কিছু কথা

Image
গতকাল ছিল বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস আর ভারতের স্বাধীনতা দিবস । শোক দিবসের কথা গতকাল বলেছি । আজ ভারতের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে দুটো কথা বলতে চাই । ১৫   আগস্ট ভারতের জন্য আনন্দের দিন হলেও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনা সেই আনন্দ অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছিল । যদিও জিন্নাহ বিশ্বাস করতেন দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হলেই উপমহাদেশের হিন্দু মুসলিম সাম্প্রদায়িকতার অবসান ঘটবে, ভারত ও পাকিস্তান ভ্রাতৃসুলভ দুই রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে একে অন্যের উন্নয়নে সহযোগিতা করবে, বাস্তবে সেটা ঘটেনি । ফলে তিক্ততা বেড়েছে, বেড়েছে অবিশ্বাস । হিন্দু-মুসলিম বিরোধ সাম্প্রদায়িকতায়ই শুধু সীমাবদ্ধ থাকেনি, সেটা দুই দেশের বিরোধের রূপ নিয়ে আন্তর্জাতিক অবয়ব পেয়েছে । সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের দুই অংশের বিরোধে ভারত কোন না কোন ভাবে ভূমিকা রাখবে সেটা ছিল স্বাভাবিক । তবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা ছিল অনন্য । ভারত শুধু সরকারিভাবেই মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেনি, ভারতের জনগণ, বিশেষ করে বাংলাদেশের সীমান্তলগ্ন প্রদেশগুলোর জনগণ, যাদের এক বিশাল অংশ বাঙ্গালি, তারা শত সমস্যার মধ্যেও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে । অনেকের ধারণা বাংলা