Posts

Showing posts from November, 2016

অপ্রত্যাশিত

Image
অফিসে যাচ্ছি হাঁটতে  হাঁটতে, হঠাৎ দেখা আমাদের পাবলিসিং ডিপার্টমেন্টের এক ভদ্রমহিলার সাথে।  আমি অফিস যাই দেরী  করে, ১২ টা  - ১ টার  দিকে, ওই সময় ও লাঞ্চ করতে যায়, দেখা হয় প্রতিদিন, তবে আজ "হঠাৎ" এ অর্থে যে, অন্য দিনের মতো "হাই"  বলে পাশ কাটিয়ে না গিয়ে বললো - দুটো মিনিট সময় আছে আপনার? - হ্যা। আমি উৎসুকের দৃষ্টিতে তাকালাম। - আমার পিটারের বন্ধুরা আপনার  ছবি দেখে অবাক হয়ে গেছে।   আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা দিয়েছে। এবার আমার অবাক হবার পালা।  এসব ক্ষেত্রে যেটা হয়, আমি চোখ ছানাবড়া করে তাকিয়ে থাকি ওর দিকে।  কোনো মতে বলি - পিটার, আমার ছবি  .......... আমি সত্যি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। - পিটার, মানে সেন্ট পিটার্সবার্গ। - তা বুঝলাম, তবে আমার ছবি ওখানে  গেলো কি ভাবে? আমি মাঝে মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ছবি পাঠাই, ওরা  নিজেরা প্রদর্শনী করে বিভিন্ন ফটোগ্রাফারের ছবি দিয়ে। আমাকে জানায়, যেতে বলে।  তবে যাওয়া হয়না কখনো। তবে পিটারে  এমন কিছু হবে বলে তো শুনিনি।  সব যেন গুলিয়ে যাচ্ছিলো। ও আমার অবস্থা দেখে বলে - ওই যে ভোলগায় বাম পাশে তোমাদের যে প্রদর্শনী হলো, আমি আমার বন্ধুদের ওখানে নিয়ে গে

পাগল করা দিন

Image
কিছু দিন আছে, যাকে  বলা যায় পাগল করা দিন। সব কিছুই কেমন যেন উল্টোপাল্টো হয়।  গতকাল ২১ নভেম্বর ২০১৬ ছিল তার একটি। গত সপ্তাহ থেকেই প্ল্যান ছিল কাপুস্তা কভাসিস মানে বাধা কপি নোনতা করার। দোকানেও পাওয়া যায়, তবে আমরা নিজেরাই করি। নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরের প্রথমে, যাতে আগামী বসন্ত পর্যন্ত খাওয়া যায়।  সব মিলিয়ে ৫০ থেকে ৬০ কেজি।  বড় সংসারের সব কিছুই বড় বড়।  দুবনায় আমার একার সংসারে এক কেজি চিনি কিনলে মাসের পর মাস চলে যায়, একই কথা অন্য সব কিছুতে।  কিন্তু গ্রীষ্মে যখন ছেলে-মেয়েরা  বেড়াতে আসে, আমি কেনার আগে সব শেষ হয়ে যায়, মনে হয় সারানচা (এক ধরণের পোকা, যা মুহূর্তে ক্ষেতের ফসল শেষ করে দেয়)  পড়লো। শনিবার জিনিষপত্র, মানে বাধা  কপি, গাজর, বিট, রসুন এসব কিনে রাখলাম।  ওই দিন আমাদের এক আড্ডা থাকায় কাজটা পিছিয়ে নেয়া হলো রোববার।  রোববার আবার আপেল, সেলদেরই (এক ধরণের ধোনে টাইপ সবজি) কিনে আনা  হলো।  বাধা কপি, গাজর, বিট সব পরিষ্কার  করতে করতে বেশ রাত।  এছাড়া ক্রিস্টিনাকেও  খুব ভোরে উঠতে হবে,  সকালে ও একটা চার্চে সঙ্গীত  কন্ডাক্ট করবে, তাই ঠিক হলো, সোমবার সকালে উঠে এসব করবো।  আমার নিজেরই কিছু কাজ ছিল মস্ক

গল্প নিয়ে গল্প ২

Image
কিছু দিন আগে আমি "গল্প নিয়ে গল্প" নামে একটা নোট লিখেছিলাম, যেখানে সোভিয়েত দেশে পড়া আমার বন্ধুদের লেখা নিয়ে কথা হচ্ছিলো (http://bijansahawhispers.blogspot.ru/2016/10/blog-post_20.html )। যতটা না লেখা নিয়ে, তার চেয়ে বেশি লেখকের অধিকার নিয়ে। ওখানে কয়েকদিন আগে আমার বন্ধু মাসুদ লিখলো "তবে পলিট-কারেক্টনেস এবং লেখকদের প্রতি তোর প্রফেশনাল সলিডারিটি প্রকাশ পেয়েছে।" কি বলবো, আমি নিজেকে লেখক বলে ভাবি না, কারণ একটাই, পড়তে পারি নাতো, তাই লিখি। শুনিস নি, "চুকচা পাঠক নয়, চুকচা লেখক। (Чукча не читатель, чукча писатель)" শোন, তোকে কানে কানে আরো একটা কথা বলি, "আমি এমনকি নিজের লেখাও পড়ি না। সময় নেই। আমার কাজই তো পড়াশুনা করা। ওই ফিজিক্সের আর ম্যাথের পেপার পড়তে পড়তেই দিন কেটে যায়। তাই যেটুকু সময় পাই, পড়ি ক্ল্যাসিক্যাল লিটারেচার, রাশিয়ান ও ওয়েস্টার্ন। আসলে জানিস কি, ফিজিক্সের আর ম্যাথের উপর লেখা পড়তে পড়তে একটা বদভ্যাস হয়ে গেছে, সব থেকেই কিছু একটা শিখতে চেষ্টা করি, কিছু পেতে চাই নিজের জন্য। তাই পড়ি সাধারণত: সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ন সব লেখা।"

অন্ধকারের গল্প

Image
বন্দুকের গুলীতে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া সবুজ মাঠে রক্তে ভেঁজা যে লাল সূর্য্যটা উঠেছিল সকাল না পেরুতেই গ্রাস করলো তাকে রাহু চারিদিকে নেমে এলো ঘন কালো আঁধার ভয় আর অনিশ্চয়তায় ঘেরা মানুষেরা হারিয়ে গেলো সে আঁধারে দেশ জুড়ে শুধু শকুনের ডাক আর হায়েনার হাসি কাটে দিন, কাটে রাত্তির বছর পেরিয়ে যায়, চলে যায় যুগ রয়ে যাওয়া কিছু মানুষের বুকে যে কান্না ছিল ছিল ব্যথা, ক্রোধ আর ক্ষোভ - সে সব শক্তি হয়ে একদিন ছিঁড়ে  ফেলে আকাশ দেখা দেয় সূর্য্যের আভাস সবাই ভাবে, এ বুঝি নতুন সূর্য্য, নতুন সময়ের ডাক আবার মানুষেরা বেরিয়ে আসে রাস্তায়, মাঠে, ঘাটে কিন্তু .. অন্ধকারে ঘাপটি মেরে থাকা  রাক্ষস ঝাঁপিয়ে পরে ওদের উপর আবার মাটি হয় লাল, বাতাসে মা আর বোনের ক্রন্দন কিই  বা করার আছে? এতদিনে সবাই বুঝে গেছে ওটা সকালের সূর্য্য ছিল না, ছিল সূর্য্যাস্তের আলো সামনে শুধুই অন্তহীন রাত অনিশ্চিত, নির্বিবেক  আর কালো। দুবনা, ১৫ নভেম্বর ২০১৬

পোষাক

Image
আমার কোনো দিনই পোষাক -আষাকের প্রতি তেমন কোনো কোনো আগ্রহ ছিল না, একটা পড়লেই হলো। কয়েকদিন আগে গিন্নি বলছিলো, - জামা-কাপড়গুলোর তো বয়স কম হলো না, এবার বদলানো দরকার। (У тебя одежда уже старая, надо поменять) - আমারতো মনে হয়, আমার যা কিছু আছে তার মধ্যে ৫২ বছরের এই শরীরটাই সব চেয়ে বেশি পুরানো। (Из всего что у меня есть, самое старое, это мое тело) - মানে? (Что ты хочешь говорить?) - মানে আর কি, পুরানো জিনিষ যদি বদলাতেই হয়, শরীর বদলিয়েই শুরু করতে হয়। (Если менять надо старое, то начинать надо с телом) - বাজে বোকো নাতো। (Не говори глупости) - বকছি না, শুধু আরেকটা অপশন দিচ্ছি। সবচেয়ে সস্তা অপশন। জীবনের দাম যেভাবে কমছে, কিছু দিন পরে ঘুষ দিতে হবে জীবন ত্যাগের জন্য। (Я не говорю глупости, просто предлагаю еще один вариант, самый дешевый вариант. Так быстро жизнь дешевеет, что скоро надо будет взятки давать, чтобы избавиться от нее) - যত্ত সব বোকামী। (Глупость какая-то) ভাগ্যিস ও বাংলাদেশের খবর রাখে না, তাহলে বুঝতে পারতো ওখানে সংখ্যালঘুরা বাড়ীঘর ঘুষ হি

বোকা

Image
৪ তারিখে মানে, ৪ নভেম্বর বাসায় যেতে যেতে ৪ টা বেজে গেলো। বাসায় গিয়ে দেখি গিন্নি (আচ্ছা গিন্নি যদি গিনি হতো, ব্যাপারটা কেমন হতো) ঘর পরিষ্কারে ব্যস্ত।  আমাকে দেখেই বললো - আমার কেক কোথায়? (Где мой торт?) - তোমারতো কেক বা মিষ্টি খাওয়া নিষেধ। (Тебе же нельзя) - কে বললো? (Кто сказал? - এই বললে না, আমি দিন দিন দেখতে দিয়াশলাইয়ের কাঠির মতো হয়ে যাচ্ছি। (Ты же говоришь, я выгляжу как спичка) না না , আমি ঠিকই আছি।  তবে আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্বের দৌলতে এই  বাড়ীর  মানুষ বড়লোক হলে পাশের বাড়ীর  মানুষ যেমনি গরীব  হয়ে যায়, ঠিক তেমনি পাশের মানুষের স্বাস্হ্য ভালো হলে নিজেকে দিয়াশলাইয়ের কাঠির মতোই মনে হয়। - আজকেই শেষ বারের মতো, তার পর বাদ দিয়ে দেবো। (Сегодня последний раз. Больше не буду) সাধারণতঃ  মানুষ আগামীকাল শেষ বারের মতো কিছু করতে বা না করতে চায়, কেননা না আগামী কাল ওই অর্থে কখনোই আসে না। কিন্তু গুলিয়া  সব সময়ই বলে আজই  শেষ।  ওর আজটাও  মনে হয় বেলুনের মতো, ফুলছে তো ফুলছেই। বাসার কাজ শেষ করে দোকানে যেতে যেতে রাত  ৯ টা  বাজলো।  ফিরে  দেখি তখনও  মনিকা বাসায় ফেরে নি।  আন্তন এলো রাত  সাড়ে ১১ ট

পরীক্ষা

Image
২১ বছর আগে এই দিনে মানে ৪ নভেম্বর ১৯৯৫ তে বি এ (B A ) আমরা  পরীক্ষায় বসি।  অন্তহীন এ পরীক্ষা চলছে তো চলছেই। গত কয়েক বছর হলো এ দিনটি রাশিয়ায় সরকারী  ছুটি। সবাই বলে জাতীয় ঐক্য দিবস, আমরা ভাবি আমাদের মিলন দিবস। আমরা এমন অনেক কিছুই ভাবি।  কয়েক মাস আগে পর্যন্তও মস্কোতে আমাদের গেট কোড ছিল m১Kn২। m১ ছিল  আমাদের ফ্ল্যাট নাম্বার। আমরা সযত্নে নাম্বারটা গোপন রাখতাম প্রতিবেশীদের কাছ থেকে,  কেননা ধারণা ছিল এটা  শুধু আমাদেরই জন্য। কিছুদিন আগে কোড বদলালো, এখন আর m১ আমাদের ফ্ল্যাট নাম্বার নয়। পরে জানলাম, আগের কোডটাও সবার জন্য ছিল, আর আমাদের  ফ্ল্যাটের সাথে মিলটা ছিল কাকতালীয়। ফ্ল্যাট কাহিনীতে মনে পরে গেলো সেই বিখ্যাত গল্প। বৃদ্ধা সারাহ গেছে ডাক্তারের কাছে। বাইরে বসে আছে বুড়ো মইসেই।  বসে আছে আর ভাবছে হাজারো কথা।  শেষ পর্যন্ত যখন সারাহ বেরুলো, দৌড়ে গেলো মইসেই। উৎকণ্ঠিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো, - কি হয়েছে? কি বললো ডাক্তার? - আর বোলো না, আমরা যাকে এতো বছর অর্গাজম  বলে ভাবতাম, আসলে ওটা নাকি আমার হাঁপানি। যাক। মস্কো যাই।  সরকারী  ছুটির উপলক্ষয় যাই  হোক, সবাই বসে কেক কাটতে তো মানা  নেই। দুবনা, ০৪ নভে

অসাম্প্রদায়িকতা

Image
কয়েক দিন আগে লিপি একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলো, অসাম্প্রদায়িক হওয়া সহজ না।  তখন থেকেই কথাটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো, আর ভাবছিলাম, এটাকি আদৌ সম্ভব? আর সম্ভব হলে কতটুকু? কেননা পৃথিবীতে সবই তো আপেক্ষিক, চূড়ান্ত বলে কিছু তো নেই? তাছাড়া অসাম্প্রদায়িক এটাতো সম্প্রদায়হীনতা নয়, এটা  সম্প্রদায় নিরপেক্ষতা।  এর পর আলোময়দা ফোন করলো।  বিভিন্ন কথা হলো।  আমাদরে আলাপ হয় মূলতঃ  লেখা নিয়ে, আলোময়দার কবিতা নিয়ে আর সেই কবিতায় মাঝে মধ্যে আমার টিপ্পনি নিয়ে।  আমি বরাবরই বন্ধুদের চিমটি কাটতে ভালোবাসি। আলোময়দার ভাষায় কোনো ধর্মের মধ্যে থেকে অসাম্প্রদায়িক হওয়া যায় না, কেননা আমরা যারা নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করি তারা বলি সব ধর্মই সমান, কিন্তু কাজেরবেলায় দেখা যায় নিজের ধর্মটা একটু বেশী  সমান। কথাগুলো ঘুরতে লাগলো মাথায়।  আমার মাথায় মনে হয় কথার থেকে ফর্মুলা বেশী তাই চেষ্টা করলাম ওদের কোনো ফর্মুলায় ব্যাখ্যা করা যায় কি না। আসলে সামাজিক জীব হিসেবে মানুষ কখনোই সম্প্রদায়হীন ছিল না, থাকা সম্ভব নয়, যদি না সে রবিনসন ক্রুসোর মতো একা  এক নির্জিন দ্বীপে থাকে।  আমরা মানুষেরা সবাই কোনো না কোনো গোষ্ঠীভুক্ত, তা সে আমরা চাই আর নাই চাই।  ধর

রসিক প্রকৃতি

Image
প্রকৃতি আজকাল বেজায় রসিক।  যদিও মানুষ তার রসিকতাকে বেরসিক বলেই মনে করে। ধরুন বাইরে যাচ্ছেন, নতুন জামা-কাপড় পরে বেরুতে না বেরুতেই প্রকৃতি মেঘরূপে উড়ে এসে আপনার গায়ে হিসি করে দিলো। অথবা, বলা নেই কওয়া নেই, আপনার বাগানবাড়ী  বা পাকা ধানের ক্ষেতে  তান্ডব ডিস্কো  নাচ নেচে গেলো।  প্রকৃতির আর দোষ  কি বলুন? আমাদের দেখেই তো শেখে।  ট্রাম্প আর ক্লিনটন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ  যে কমেডির জন্ম দিয়ে যাচ্ছে, তা দেখে না শেখাটাই গাধামী। প্রকৃতি শুধু আমাদের সাথেই  রসিকতা করে না,  করে গাছপালার সাথেও।  এইতো অফিসে আসার পথে দেখলাম সদ্য  গজানো শিশু সবুজ পাতাগুলো শীতে থর থর করে কাঁপছে।  কেন? কয়েকদিন আগে বেশ ঠান্ডা পড়েছিল।  গাছেরা  মনে করেছিল শীত এসে গেছে। এরপর যখন একটু গরম পড়লো, ঘুম ভাঙলো গাছেদের, আড়মোড়া ভেঙে ঘুম থেকে  উঠলো  সবাই। ভাবলো বসন্ত এসে গেছে। গজালো নতুন পাতা।  হেসে উঠলো প্রকৃতি, অট্টহাসি হেসে আবার বরফে ঢেকে দিলো সব। ওরই  বা দোষ  কি? আমরা মানুষেরাই তো গণতন্ত্র নিয়ে আসি দেশে দেশে, মানুষকে লোভ দেখাই, স্বপ্ন দেখাই, আর মানুষ যখন মেতে উঠে বিপ্লবের  আনন্দে, পরিবর্তনের আনন্দে, কোন আল-কায়েদা, তালেবান বা

শুভঙ্করের ফাঁকি

Image
রবি বার।   আবহাওয়া তেমন ভালো নয়, বাইরে যাওয়ার তেমন কোনো ইচ্ছে নেই। গুলিয়া  বললো বাজারে যেতে, কিমা কিনতে হবে কাটলেটের জন্য। - "ছেলে আমার" (сын мой) ডাকলাম সেবাকে।  আমি ওকে কখনো কখনো চার্চের পাদ্রীদের মত  এভাবে ডাকি।  "তুই কি আমার সাথে বাজারে যেতে চাস  না ?" (не хочешь ли ты со мной на рынок пойти?) - "ভেবে দেখছি।"  (подумаю) এর অর্থ হলো কিছু শর্ত  আরোপ করবে।  শেষমেষ  বললো ওর তুপি আর গ্লাভস দরকার। - চল, রিও যাই।  যদি কিছু পাওয়া যায়। রিও, এটা  বাসার পাশের সুপার মার্কেট। পথে যেতে যেতে বললো, আমার টুপি আর গ্লাভস দেখতে খুব একটা খারাপ নয়।  তারপর এলো জুতার কথা।  বললো ওর বন্ধুরা যাবে শীতের জুতা কিনতে, মামা  ৫ হাজার রুবলে  যে জুতাটা নিতে বলছে সেটা একেবারে সেকেলে।  আমি যদি হাজার ৪ রুবল দেই,  ও বন্ধুদের সাথে গিয়ে পছন্দ মতো জুতা কিনতে পারে।  আমারও দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না, আর মাঝখান থেকে এক হাজার রুবেল বেঁচে যাবে। - তা আমাকে বলিস কেন? মামাকে বল। - না, মামা আমাকে টাকা দেবে না। এলাম রিও।  টুপি আর গ্লাভসের দাম দেখে চোখ চড়কগাছ।  সপ্তাহ তিনেক আগে যখন বললাম এসব কিনতে, তখ