অসাম্প্রদায়িকতা
কয়েক দিন আগে লিপি একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলো, অসাম্প্রদায়িক হওয়া সহজ না। তখন থেকেই কথাটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো, আর ভাবছিলাম, এটাকি আদৌ সম্ভব? আর সম্ভব হলে কতটুকু? কেননা পৃথিবীতে সবই তো আপেক্ষিক, চূড়ান্ত বলে কিছু তো নেই? তাছাড়া অসাম্প্রদায়িক এটাতো সম্প্রদায়হীনতা নয়, এটা সম্প্রদায় নিরপেক্ষতা। এর পর আলোময়দা ফোন করলো। বিভিন্ন কথা হলো। আমাদরে আলাপ হয় মূলতঃ লেখা নিয়ে, আলোময়দার কবিতা নিয়ে আর সেই কবিতায় মাঝে মধ্যে আমার টিপ্পনি নিয়ে। আমি বরাবরই বন্ধুদের চিমটি কাটতে ভালোবাসি। আলোময়দার ভাষায় কোনো ধর্মের মধ্যে থেকে অসাম্প্রদায়িক হওয়া যায় না, কেননা আমরা যারা নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করি তারা বলি সব ধর্মই সমান, কিন্তু কাজেরবেলায় দেখা যায় নিজের ধর্মটা একটু বেশী সমান। কথাগুলো ঘুরতে লাগলো মাথায়। আমার মাথায় মনে হয় কথার থেকে ফর্মুলা বেশী তাই চেষ্টা করলাম ওদের কোনো ফর্মুলায় ব্যাখ্যা করা যায় কি না।
আসলে সামাজিক জীব হিসেবে মানুষ কখনোই সম্প্রদায়হীন ছিল না, থাকা সম্ভব নয়, যদি না সে রবিনসন ক্রুসোর মতো একা এক নির্জিন দ্বীপে থাকে। আমরা মানুষেরা সবাই কোনো না কোনো গোষ্ঠীভুক্ত, তা সে আমরা চাই আর নাই চাই। ধর্ম বা জাতি বা ভাষা - এসব তো আছেই, এছাড়াও দেখবেন অনেকেই ঘুম থেকে উঠেই রাশিফল দেখছে, আর ওটা দেখেই শুরু করছে নিজের দিন। অন্য কোনো জীব নিজেদের এমনভাবে ভাগ করে বলে জানা নেই, শুধু মানুষই বিভিন্ন উপায়ে নিজেকে ভাগ করে। শৃঙ্খলার নাম শৃঙ্খলিত করে। সেটা ধর্মেই হোক, বর্নেই হোক, রাশিতেই হোক, ফুটবল ফ্যানই হোক বা আলফাবেটিক ক্রমানুসারে হোক। এভাবেই মানুষের বুদ্ধিই তার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মনে হতে পারে, ভালোইতো হতো, যদি সবাই একই রকম হতাম। বাস্তব বলে ভিন্ন কথা। মনো এথনিক, মনো রিলিজিয়াস দেশের তো অভাব নেই পৃথিবীতে। তাতেকি তাদের সমস্যার সমাধান হয়েছে? হয় নি? মতের ভিন্নতা আছে বলেই জীবনে বৈচিত্র আছে, আছে অনেক কিছুর মধ্য থেকে আপেক্ষিকভাবে যা ভালো তা বেছে নেবার সুযোগ। মনোপলি শুধু কিছু লোককে ভালো রাখে, সবাইকে নয়। ধরুন ঢাকা থেকে চিটাগাং যাবার জন্য আমরা বিশাল এক রেলগাড়ী তৈরী করলাম, একেবারে ঢাকা থেকে চিটাগং পর্যন্ত। টেকনিক্যালি সম্ভব একটা বগির সাথে আরেকটা জোড়া দিয়ে। উদ্দেশ্য ভালোই ছিল, যাতে সবাই এক সাথে যেতে পারে। হ্যা এই গাড়িতে সবাইকে উঠানো যাবে, তবে গাড়ি চলবে না। সমাজটাও তাই। সমান সুযোগ মানে সবাই একই কাজ করছে তা নয়, সবাই নিজ নিজ কাজ করছে কিন্তু একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য সামনে রেখে। আসল কথা কে করছে তা নয়, কি করছে, কি লক্ষ্যে করছে।
আলোময়দার কথায় মনে হয়েছিল, ধর্মীয় গন্ডীর মধ্যে থেকে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু নাস্তিক হলেই কি সমস্যার সমাধান হয়ে যায়? নাস্তিকতাও কিন্তু ধর্মের সাথেই জড়িত, ধর্মকে অস্বীকার করে। এটা শুধুই নতুন বিভাজনের সৃষ্টি করে, সমস্যা সমাধান করে না। অন্য প্রাণীদের কথা জানি না, তবে মানুষ বিভাজনটা ভালো বোঝে, মানুষে মানুষে ভেদ ভালো বোঝে, আর যখনই এই বোধটা আসে যে আমি অন্যের মতো নই, তখনই আমি কারো বিরোধিতা না করলেও কেউ না কেউ আমার বিরোধিতা করবেই। না করলে তো আর ভেদ থাকতো না। অভিজ্ঞতা বলে, দুটো লোক একসাথে গোপনে কোনো কথা বললেই উপস্থিত তৃতীয় লোকটা মনে করে এটা নিশ্চয়ই তার বিরুদ্ধে, যদিও হতে পারে তারা গোপনে বলছে কারণ তৃতীয় ব্যক্তি এখানে অপ্রাসঙ্গিক বলে। কাকু (দ্বিজেন শর্মা) বলতেন, পালাবে কোথায়? হ্যা, আমাদের মানুষের মানসিকতাই এমন, যে পালানোর কোনো উপায় নেই। গোছালো গৃহিণীর মত আপনাকে ঠিকই নির্দিষ্ট সেলফের নির্ধারিত কোনায় রেখে দেবে আর হাজারটা কারণ বের করবে আপনাকে কেন ঠিক এই কোনটাতেই ঠিক এই নাম নিয়ে পরে থাকতে হবে।
তাহলে কি কোনোই উপায় নেই? আছে? তবে তা দলত্যাগ করে না, গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় ত্যাগ করে না, সম্প্রদায়ে থেকেই। লিপির ওই স্ট্যাটাসে কে যেন লিখেছিলো, "আপনি কোন দেশে থাকেন? কাশ্মীর নিয়ে বলেন না কেন? কোথায় রেমিটেন্স পাঠান?" সমস্যাটা ওখানেই। আমাদের সব কিছু ঘুরপাক খাচ্ছে হিন্দু-মুসলিম আর ভারত-পাকিস্তান কেন্দ্র করে। ১৯৪৭ এ ভারত থেকে বেরিয়ে এসেও মানসিক ভাবে আমরা বেরুতে পারি নি, অবচেতন সেই ভারত বিরোধিতাও এই সাম্প্রদায়িকতার জন্ম দিচ্ছে। অনেক পোস্টেই দেখি বি এন পি র আমলে এসব হতো, কিন্তু এখন কেন হয়? যেন বা হিন্দুর বাড়ী এন পি র আমলে পুড়ালে ওটা জায়েজ। আর এই কথাটা অনেকে মনে প্রাণে নিয়তি বলে বিশ্বাস করে। আর তা দুই পক্ষ থেকেই। কিন্তু আমরা বি এন পি কে যেমন যমদূত হিসেবে দেখতে চাই না, আওয়ামী লীগকেও তেমনি ত্রাণকর্তা হিসেবে দেখতে চাই না। আমরা চাই আর দশ জন নাগরিকের মতোই কে ক্ষমতায় সেটা না ভেবে দেশের উন্নতির জন্য কাজ করতে, দেশকে ভালোবাসতে। আমাদের কোনো বিশেষ সুবিধার দরকার নেই, যে সুবিধা-অসুবিধা অন্যরা পাচ্ছে, সেটুকু নিশ্চিত করলেই হবে আমাদের।
আর দেশের মানুষের কাছে থেকে, বিশেষ করে প্রগতিশীল মহল থেকে যেটা চাই তা দেশে আইনের শাসন কায়েমের আন্দোলন জোরদার করা। আমাদের কাছে যেন কি কাজ করা হচ্ছে সেটাই মুখ্য হয়, কে করছে তা নয়। তাহলে আমরা অত্যাচারী আর নিপীড়িতের দল, মত, ধর্ম, গোত্র দেখবো না। যেদিন অপরাধী তার দল, মত, ধর্ম, গোত্র নির্বিচারে অপরাধের জন্য শাস্তি পাবে আর উৎপীড়িত তার দল, মত, ধর্ম, গোত্র নির্বিচারে উৎপীড়নের বিচার পাবে তখন আর আমাদের সাম্প্রদায়িক বা অসাম্প্রদায়িক হতে হবে না।
আজকের সাম্প্রদায়িকতা এক সামাজিক ব্যাধি। সামাজিক অবিচার বা বিচারহীনতা আর সর্বত্র স্বজনপ্রীতির বহিঃপ্রকাশ। বর্তমানের অর্থনৈতিক উন্নতি মানুষকে পুরোপুরি সন্তুষ্ট করছে না, আর এই অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ সংখ্যালঘু বা সমাজের দুর্বল অংশের (যেমন নারী) প্রতি এই আক্রমণ। আর এই আক্রমণকারীরা দুর্বল মানুষ, যারা জীবনে ব্যর্থ, কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে, দলের দোহাই দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ নামক ঘোড়ার কাঁধে সওয়ার হয়ে পদদলিত করছে এই সংখ্যাগরিষ্ঠের তৈরী আইন-কানুন, সংবিধান। ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছে আপনাদের মান-সম্মান। কিন্তু অর্থ আর ক্ষমতার চোখ ধাঁধানো আলোয় অন্ধ এই মানুষগুলো হয়তো এই বোধটুকুও হারিয়ে ফেলেছে।
হ্যা লিপি, অসাম্প্রদায়িক হওয়াটা সত্যিই খুব খ-উ-ব কঠিন।
দুবনা, ০৩ নভেম্বর ২০১৬
আসলে সামাজিক জীব হিসেবে মানুষ কখনোই সম্প্রদায়হীন ছিল না, থাকা সম্ভব নয়, যদি না সে রবিনসন ক্রুসোর মতো একা এক নির্জিন দ্বীপে থাকে। আমরা মানুষেরা সবাই কোনো না কোনো গোষ্ঠীভুক্ত, তা সে আমরা চাই আর নাই চাই। ধর্ম বা জাতি বা ভাষা - এসব তো আছেই, এছাড়াও দেখবেন অনেকেই ঘুম থেকে উঠেই রাশিফল দেখছে, আর ওটা দেখেই শুরু করছে নিজের দিন। অন্য কোনো জীব নিজেদের এমনভাবে ভাগ করে বলে জানা নেই, শুধু মানুষই বিভিন্ন উপায়ে নিজেকে ভাগ করে। শৃঙ্খলার নাম শৃঙ্খলিত করে। সেটা ধর্মেই হোক, বর্নেই হোক, রাশিতেই হোক, ফুটবল ফ্যানই হোক বা আলফাবেটিক ক্রমানুসারে হোক। এভাবেই মানুষের বুদ্ধিই তার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মনে হতে পারে, ভালোইতো হতো, যদি সবাই একই রকম হতাম। বাস্তব বলে ভিন্ন কথা। মনো এথনিক, মনো রিলিজিয়াস দেশের তো অভাব নেই পৃথিবীতে। তাতেকি তাদের সমস্যার সমাধান হয়েছে? হয় নি? মতের ভিন্নতা আছে বলেই জীবনে বৈচিত্র আছে, আছে অনেক কিছুর মধ্য থেকে আপেক্ষিকভাবে যা ভালো তা বেছে নেবার সুযোগ। মনোপলি শুধু কিছু লোককে ভালো রাখে, সবাইকে নয়। ধরুন ঢাকা থেকে চিটাগাং যাবার জন্য আমরা বিশাল এক রেলগাড়ী তৈরী করলাম, একেবারে ঢাকা থেকে চিটাগং পর্যন্ত। টেকনিক্যালি সম্ভব একটা বগির সাথে আরেকটা জোড়া দিয়ে। উদ্দেশ্য ভালোই ছিল, যাতে সবাই এক সাথে যেতে পারে। হ্যা এই গাড়িতে সবাইকে উঠানো যাবে, তবে গাড়ি চলবে না। সমাজটাও তাই। সমান সুযোগ মানে সবাই একই কাজ করছে তা নয়, সবাই নিজ নিজ কাজ করছে কিন্তু একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য সামনে রেখে। আসল কথা কে করছে তা নয়, কি করছে, কি লক্ষ্যে করছে।
আলোময়দার কথায় মনে হয়েছিল, ধর্মীয় গন্ডীর মধ্যে থেকে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু নাস্তিক হলেই কি সমস্যার সমাধান হয়ে যায়? নাস্তিকতাও কিন্তু ধর্মের সাথেই জড়িত, ধর্মকে অস্বীকার করে। এটা শুধুই নতুন বিভাজনের সৃষ্টি করে, সমস্যা সমাধান করে না। অন্য প্রাণীদের কথা জানি না, তবে মানুষ বিভাজনটা ভালো বোঝে, মানুষে মানুষে ভেদ ভালো বোঝে, আর যখনই এই বোধটা আসে যে আমি অন্যের মতো নই, তখনই আমি কারো বিরোধিতা না করলেও কেউ না কেউ আমার বিরোধিতা করবেই। না করলে তো আর ভেদ থাকতো না। অভিজ্ঞতা বলে, দুটো লোক একসাথে গোপনে কোনো কথা বললেই উপস্থিত তৃতীয় লোকটা মনে করে এটা নিশ্চয়ই তার বিরুদ্ধে, যদিও হতে পারে তারা গোপনে বলছে কারণ তৃতীয় ব্যক্তি এখানে অপ্রাসঙ্গিক বলে। কাকু (দ্বিজেন শর্মা) বলতেন, পালাবে কোথায়? হ্যা, আমাদের মানুষের মানসিকতাই এমন, যে পালানোর কোনো উপায় নেই। গোছালো গৃহিণীর মত আপনাকে ঠিকই নির্দিষ্ট সেলফের নির্ধারিত কোনায় রেখে দেবে আর হাজারটা কারণ বের করবে আপনাকে কেন ঠিক এই কোনটাতেই ঠিক এই নাম নিয়ে পরে থাকতে হবে।
তাহলে কি কোনোই উপায় নেই? আছে? তবে তা দলত্যাগ করে না, গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় ত্যাগ করে না, সম্প্রদায়ে থেকেই। লিপির ওই স্ট্যাটাসে কে যেন লিখেছিলো, "আপনি কোন দেশে থাকেন? কাশ্মীর নিয়ে বলেন না কেন? কোথায় রেমিটেন্স পাঠান?" সমস্যাটা ওখানেই। আমাদের সব কিছু ঘুরপাক খাচ্ছে হিন্দু-মুসলিম আর ভারত-পাকিস্তান কেন্দ্র করে। ১৯৪৭ এ ভারত থেকে বেরিয়ে এসেও মানসিক ভাবে আমরা বেরুতে পারি নি, অবচেতন সেই ভারত বিরোধিতাও এই সাম্প্রদায়িকতার জন্ম দিচ্ছে। অনেক পোস্টেই দেখি বি এন পি র আমলে এসব হতো, কিন্তু এখন কেন হয়? যেন বা হিন্দুর বাড়ী এন পি র আমলে পুড়ালে ওটা জায়েজ। আর এই কথাটা অনেকে মনে প্রাণে নিয়তি বলে বিশ্বাস করে। আর তা দুই পক্ষ থেকেই। কিন্তু আমরা বি এন পি কে যেমন যমদূত হিসেবে দেখতে চাই না, আওয়ামী লীগকেও তেমনি ত্রাণকর্তা হিসেবে দেখতে চাই না। আমরা চাই আর দশ জন নাগরিকের মতোই কে ক্ষমতায় সেটা না ভেবে দেশের উন্নতির জন্য কাজ করতে, দেশকে ভালোবাসতে। আমাদের কোনো বিশেষ সুবিধার দরকার নেই, যে সুবিধা-অসুবিধা অন্যরা পাচ্ছে, সেটুকু নিশ্চিত করলেই হবে আমাদের।
আর দেশের মানুষের কাছে থেকে, বিশেষ করে প্রগতিশীল মহল থেকে যেটা চাই তা দেশে আইনের শাসন কায়েমের আন্দোলন জোরদার করা। আমাদের কাছে যেন কি কাজ করা হচ্ছে সেটাই মুখ্য হয়, কে করছে তা নয়। তাহলে আমরা অত্যাচারী আর নিপীড়িতের দল, মত, ধর্ম, গোত্র দেখবো না। যেদিন অপরাধী তার দল, মত, ধর্ম, গোত্র নির্বিচারে অপরাধের জন্য শাস্তি পাবে আর উৎপীড়িত তার দল, মত, ধর্ম, গোত্র নির্বিচারে উৎপীড়নের বিচার পাবে তখন আর আমাদের সাম্প্রদায়িক বা অসাম্প্রদায়িক হতে হবে না।
আজকের সাম্প্রদায়িকতা এক সামাজিক ব্যাধি। সামাজিক অবিচার বা বিচারহীনতা আর সর্বত্র স্বজনপ্রীতির বহিঃপ্রকাশ। বর্তমানের অর্থনৈতিক উন্নতি মানুষকে পুরোপুরি সন্তুষ্ট করছে না, আর এই অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ সংখ্যালঘু বা সমাজের দুর্বল অংশের (যেমন নারী) প্রতি এই আক্রমণ। আর এই আক্রমণকারীরা দুর্বল মানুষ, যারা জীবনে ব্যর্থ, কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে, দলের দোহাই দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ নামক ঘোড়ার কাঁধে সওয়ার হয়ে পদদলিত করছে এই সংখ্যাগরিষ্ঠের তৈরী আইন-কানুন, সংবিধান। ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছে আপনাদের মান-সম্মান। কিন্তু অর্থ আর ক্ষমতার চোখ ধাঁধানো আলোয় অন্ধ এই মানুষগুলো হয়তো এই বোধটুকুও হারিয়ে ফেলেছে।
হ্যা লিপি, অসাম্প্রদায়িক হওয়াটা সত্যিই খুব খ-উ-ব কঠিন।
দুবনা, ০৩ নভেম্বর ২০১৬
Comments
Post a Comment