Posts

Showing posts from September, 2020

প্যাঁচানো প্যাঁচাল

Image
অফিসে এসে মেইল পেলাম। গত দু মাসে এর অস্তিত্ব প্রায় ভুলতে শুরু করেছিলাম। আবার শুরু হল। অফিসে না আসার রিকমেন্ডেশন। আগামীকাল থেকে। অথচ অনেক কাজ বাকী। সাধারণত এ রকম অবস্থায় একটা লিস্ট করে কিছু কিছু লোককে আসার সুযোগ দেয়। এবার লিস্ট চায়নি। কেউ জানে না কারা আসতে পারবে, কারা পারবে না। আগামীকাল ইনস্টিটিউটে ঢুকতে দেবে কিনা সেটাও কেউ জানে না। করোনা যে রকম মানসিক চাপে রাখছে তাতে জীবনের জান বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম। না, বাসা থেকে কাজ করতে খুব যে অসুবিধা হয় তা নয়। তবে সমস্যা সব জার্নাল ওখানে ফ্রি পাওয়া যায় না। আর ক্লাস নিতে সমস্যা। মানে কুকুরগুলো এখনও ছোট। পড়াশুনার মর্যাদা বোঝে না। তাই লেকচারের মধ্যে হৈচৈ শুরু করে। ছাত্ররা অভিযোগ করে না, তবে যেহেতু এসব রেকর্ড করে রাখে তাই ব্যাপারটা একটু লজ্জাকর। আপাতত দু মাসের জন্য পাঠাচ্ছে, ১ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এর পর কী হবে কে জানে। তবে রুশদের যতদূর জানি নববর্ষের আগে আবার একটা জানালা খুলতেই হবে যদি না বিপ্লব চায়। অবশ্য চারিদিকে যে অবস্থা তাতে করোনাকে কেউ খুব একটা কেয়ার করে বলে মনে হয় না। শান্তির মনেও শান্তি নেই। ঘরে বসে থাকতে থাকতে সেও হাঁপিয়ে উঠেছে। তাই

জন্মমৃত্যু

Image
আবার ১৫ সেপ্টেম্বর। এর আগে এ দিনটির গুরুত্ব ছিল শুধু ভাইয়ের জন্মদিন হিসেবে। বাড়িতে আমাদের সব ভাইবোনের জন্মদিন পালন করা হত এমন কি যদি তারা নাও থাকত। যে ভাইয়েরা অনেক অগেই বাইরে চলে গিয়েছিল তাদের জন্মদিনেও বাড়িতে অন্যেরা আনন্দ করত। বিগত কয়েক বছর হল ১৫ সেপ্টেম্বর আমার কাছে কাকুর মৃত্যু দিবস হিসেবেও আসছে। সত্যি বলতে কী এই দিন ফেসবুকে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেখে আমার মনে পড়ে যে কাকু নেই। যদিও মস্কোয় এসেই কাকুর সাথে দেখা আমাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, ঘনিষ্ঠতা হয় অনেক পরে ১৯৯১ সালে। এরপর একসাথে দূতাবাস স্কুলে কাজ করেছি, মস্কোর বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর ঘুরেছি আর তাঁর বাসায় প্রচুর আড্ডা দিয়েছি। লেখালেখির টুকিটাকি অভ্যেস স্কুল থেকেই, মস্কোয় সেটা সীমাবদ্ধ ছিল আমাদের দেয়াল পত্রিকা আর মাঝে মধ্যে একতায় লেখার মাধ্যমে। এর বাইরে যেসব লেখা ছিল সেগুলো একান্তই ব্যক্তিগত। তবে কাকু সেগুলো পড়তেন, উৎসাহ দিতেন। এখন তুলনামুলক ভাবে অনেক বেশি লেখা হয়। কোন লেখা নিজের ভালো লাগলে কাকুর কথা মনে হয়, কথা হয় আগের মতই। আগে মাঝে মধ্যে তাঁকে ফোন করতাম, কাকু ফেসবুকে আমার লেখা সম্পর্কে অনেক সময় সাবধান করতেন। আমি শুনতাম না, তবে ভালো লাগত

শান্তির সন্ধানে

Image
যমালয়। কঠিন যুদ্ধে মৃত্যুকে হারিয়ে জীবন সবে মাত্র এখানে ঢুকেছে। অপেক্ষা করছে যমের সাথে সাক্ষাতের। দারোয়ান বলল এখন তো দেখা হবে না। আপনাকে ১৫ দিনের জন্য কারেন্টেইনে থাকতে হবে। এর মধ্যে কোন উপসর্গ না পেলে তবে দেখা করতে পারবেন। সুতরাং বিশ্রাম নিন। আবার কারেন্টেইন। আসার আগেই তো তিন মাস কারেন্টেইনে ছিলাম। কী আর করা। এটাই নিয়ম। আর এই নিন মোবাইল ফোন। শুধু ইন কামিং মেসেজ এভেইলেবল। শুধু ইন কামিং বলছেন। এ যে ব্ল্যাক হোলের চেয়েও কঠিন। হকিং রেডিয়েশনও নেই? সেটাও আপনি এখন ইভেন্ট হরাইজনে আছেন বলে। এটা বলতে পারেন ট্র্যাঞ্জিশন পেরিওড। আগে ৪০ দিন ছিল। ডিজিটাল যুগে কমিয়ে ১৫ করা হয়েছে। এখানে আসার পরপর সবাই কমবেশি নস্টালজিয়ায় ভোগে কিনা, তাই একটু সময় দেওয়া হয় নতুন জীবনে আডাপ্টেশনের জন্য। বলেন কী? এত ঝামেলা! তাহলে নেমন্তন্ন করে আনা কেন? আমরা আর কী করব বলুন। জন্মের আগেই তো আপনাদের মৃত্যুর পরোয়ানা জারি হয়ে যায়। জন্মের আগেই আমাদের হোটেলে আপনাদের সীট বুক করে রাখেন যমরাজ। আমরা হুকুমের গোলাম। দায়িত্ব পালন করি। এত ইন্টারেস্টিং সব ব্যাপার স্যাপার এখানে? ইস, যদি বন্ধুদের একটু জানাতে পারতাম, অন্তত ফেসবুকে একট