Posts

Showing posts from March, 2019

হোলি

Image
আমার ছোট বেলায় হোলি ছিল দোল। অনেক সময় আমরা বলতাম দোল যাত্রা। বড়দার ওখানে বেশ বড় দোলের ভিটি বা ভিটা করত , আমাদের একটু ছোট। তিন ধাপের এই ভিটি দেখতে ছিল অনেকটা পেরুর পিরামিডের মত। এসব ভিটি সাধারণত সারা বছর ধরেই থাকতো বাড়ির দুয়ারে । বছরের অন্য সময় ওখানে শসা , লাউ এসব বোনা হত। সেই ভিটি থেকে ওঠা গাছে র উপর দেওয়া হত বাঁশের জাংলা , তার উপর থাকতো কঞ্চি। অনেক পরে যখন সেই জাংলা থেকে লাউ বা শসা ঝুলে থাকতো আর বৃষ্টির দিনে তেল কাঁচামরিচ মুড়ি খেতাম শসা দিতে দোলের কথা কার ো ই মনে থাকতো না। গ্রামে সবচেয়ে বড় দোল হত রমন গোঁসাইয়ের আখড়ায়। সেখানে এমন কি রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহ পাল্কিতে করে ঘোরানো হত। যদি ভুল না করি আখড়া সংলগ্ন খালে মেলা বসত। ঠিক বলতে পারব না , তবে যতদূর মনে পড়ে বেতিয়াল রাসমেলা বসত খুব সম্ভবত এই দোলকে ঘিরেই। চলত অনেক দিন। রাসমেলার নামেই বেতিলা পরিচিত ছিল। একবার গিয়েছিলামও , তবে যাত্রা দেখতে , রাতের বেলায় , তাই মেলাটা আর দেখা হয়নি। সেই দোল যাত্রার পরের দিন ছিল হোলি খেলা র রেওয়াজ । সবাই বিভিন্ন রকম রঙ আর পিচকিরি নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম রঙ খেলায়। যদিও তখন হাল্কা রঙ মানে যা খুব সহজেই ধুয়ে ফেল

ক্রাইস্টচার্চে আক্রমণ

Image
“কালো স্কার্ফ মাথায় দিয়ে শোকাহত মুসলিমদের দেখতে যান নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী“; “মৃত্যুদন্ডই তার প্রাপ্যঃ নিউ জিল্যান্ডে হামলাকারীর বোন”; “নিজের জন্য জমা হওয়া পুরো অর্থ মসজিদে নিহত মুসল্লিদের পরিবারকে দান করবেন সেই ‘ডিম-বালক’”; “এই পৃথিবীতে ইসলাম বিদ্বেষ ও ঘৃণার কোন স্থান নেইঃ কানাডার প্রধানমন্ত্রী”; “কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে নিউ জিল্যান্ডের পার্লামেন্টে আধিবেশন শুরু”; “এবার সংসদের ভেতরেই নামাযের ব্যবস্থা করে দিলেন নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী”; “মসজিদে হামলার পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ট্রেন্ড সৃষ্টি হয়েছে, ৩৫০ জনের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ”; “নিউ জিল্যান্ডের টিভি ও বেতার থেকে আগামী শুক্রবার একযোগে জুম’আর আযান প্রচার করা হবে”, “নিউ জিল্যান্ডে এবার সব নারীর হিজাব পরার ঘোষণা”; “যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদ পাহারা দিচ্ছে অমুসলিমরা”; এ সবই বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রিকার খবরের শিরোনাম। এর আগেও দু একবার দেখেছি “হিন্দু যুবকদের ঈদগাহ মাঠ পাহারা” বা “মসজিদে জায়গা না হওয়ায় মুসুল্লিদের হিন্দু মন্দিরে নামায আদায়” এ জাতীয় শিরোনাম। হিংসা, দ্বেষ আর সন্ত্রাসে পরিপূর্ণ এই পৃথিবীতে এ রকম খবর নিঃসন্দেহে আশ

স্বাধীনতা ও মুক্তি

Image
“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণার পর লাখ লাখ মানুষের “জয় বাংলা” ধ্বনিতে কেঁপে উঠল স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল । বাংলার ইতিহাসে সূচনা হল এক নতুন অধ্যায়ের । দিনটি ছিল ৭ই মার্চ, ১৯৭০ । এরপর দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত, দু লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত আর কোটি কোটি   মানুষের অবর্ণনীয় দুঃখ দুর্দশার বিনিময়ে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের হল । কিন্তু প্রশ্ন হল আমরা কি মুক্তি পেয়েছি? মুক্তি বলতে কী বোঝাতে চেয়েছিলেন নেতা!    স্বাধীনতা পরবর্তী যে তিন বছর তিনি জীবিত ছিলেন, তাঁর সমস্ত কাজকর্ম এটাই প্রমাণ করে যে তিনি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি চেয়েছিলেন । তিনি চেয়েছিলেন শ্রমিক তার কাজের ন্যায্য মজুরি পাক, কৃষক তার ফসলের ন্যায্য দাম পাক । তাই তো তিনি সমাজতন্ত্রকে সংবিধানের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন । সেই সাথে গণতন্ত্রের কথাও ভ ো লেননি । পাকিস্তান সরকার বারবার তাঁর কণ্ঠ রোধ করতে চেয়েছে । তিনি জানতেন দেশ গঠনে বিরোধী দলের ভূমিকার মূল্য , তিনি জানতেন বাক স্বাধীনতার মূল্য । গণতন্ত্র তাই ছিল দেশের মূল নীতির আরেক স্তম