Posts

Showing posts from May, 2022

বয়স

Image
বয়স তো অনেক হল, স্বর্গ নরক নিয়ে কিছু ভাবছেন? ভাবছি, আবার ভাবছি না।  এ আবার কেমন কথা? স্বর্গ নরক নিয়ে আমার একেবারেই কোন মাথাব্যথা নেই। তবে কারো কোন উপকার করতে না পারলেও ইচ্ছাকৃত ভাবে কারো ক্ষতি কখনও করিনি। তাই আমাকে ধরে বেঁধে যদি স্বর্গে চালান করা হয় সেক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হতে পারে। কেমনে? প্রচুর লোক আমাকে দুই চোখে দেখতে পারেনা। অনেকে দেখলে অন্য পথে হাঁটে। অনেকে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে বছরের পর বছর। অনেকে শুভেচ্ছা জানালে এমন ভাব দেখায় যেন জীবনে এই প্রথমবারের মত দেখল। এই লোকগুলোও যদি স্বর্গে যায় তবে আমার উপস্থিতি তাদের কাছে নরক যন্ত্রণার চেয়েও বেশি হবে। সেক্ষেত্রে অনিচ্ছা সত্তেও আমাকে অনেকের কষ্টের কারণ হতে হবে। আর সেটা হবে আমার ইচ্ছাকৃত ভাবে কারো ক্ষতি না করার নীতির সাথে সাংঘর্ষিক। আর যেখানেই সমস্যা সেখানেই ভাবনার খোরাক তা আমাকে বরাবরই টানে। তাই স্বর্গ নরক নিয়ে আমার ভাবনা একটু অন্যরকম, আপনাদের মত নয়। দুবনা, ২৭ মে ২০২২

স্কুল হত্যা

Image
আমেরিকার স্কুলে আবার গুলির আওয়াজ। একুশ জন মানুষের অকালে ঝরে পড়া। এ বছর দুই শত বারের অধিক এরকম ঘটনা ঘটেছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও শক্তিশালী এই দেশটায়। বাংলাদেশে অনেক বাবা মা তাদের মেয়েদের বাইরে পাঠিয়ে মানসিক চাপে থাকে। জানিনা আমেরিকার বাবা মা সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে একই রকম টেনশনে থাকে কি না। প্রেসিডেন্ট বাইডেন অস্ত্র ব্যবসায়ীদের এজন্যে দায়ী করলেন। আবার তিনিই কয়েক দিন আগে ৪০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বিল সই করলেন ইউক্রেনের জন্য যার সিংহভাগ যাবে ঐ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের পকেটে। সারা পৃথিবীতে যুদ্ধের আগুন লাগিয়ে নিজের দেশকে কি সে আগুনের বাইরে রাখা যায়? বিভিন্ন দেশের উপর বিভিন্ন রকমের যুদ্ধ চাপিয়ে দেবার জন্য জনগণের উপর যে প্রপাগান্ডার স্টীম রোলার চালানো হয় সেটা যে মানুষকে মানসিক ভারসাম্য হারানোর পথে ঠেলে দেয় সেটা তো নতুন কিছু নয়। আসলে শুধু অস্ত্র সংক্রান্ত আইন বদলালেই হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমেরিকা তার উগ্র ও যুদ্ধংদেহী পররাষ্ট্র নীতি না বদলাবে ততক্ষণ এসব ঘটনা ঘটতেই থাকবে। অন্যের ঘরে আগুন লাগিয়ে নিজে শান্তি ঘুমানোর যুগ আর নেই।  দুবনা, ২৫ মে ২০২২

সাফল্য ও ব্যর্থতা

Image
  ব্যর্থতা নিজে নেগেটিভ হলেও এর সবচেয়ে পজিটিভ দিক হল সে ব্যর্থ মানুষকে নিজেকে বদলানোর মেসেজ দেয়। সেই মেসেজ পেয়ে ব্যর্থ মানুষ যদি নিজেকে বদলাতে পারে আর শুধু সাময়িক ভাবে ব্যর্থতা দূর করা নয়, ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিজেকে যুগোপযোগী করে তুলতে পারে তাহলে তার হাতে সাফল্য ধরা দিতে বাধ্য। পক্ষান্তরে সাফল্য নিজে পজিটিভ হলেও প্রায়ই সে সফল ব্যক্তিকে নেগেটিভ মেসেজ দেয়। ফলে সফল ব্যক্তি নিজের ফেলে আসা পথটাকে সঠিক মনে করে সে পথেই চলতে থাকে নিজেকে না বদলিয়ে, নিজেকে যুগোপযোগী করে না তুলে। ফলে একদিনের সফল পথ ধরে সে ব্যর্থতার দ্বারে হাজির হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বিশেষ করে গত ২০ বছরে রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্বের ইতিহাস একথাই মনে করিয়ে দেয়। দুবনা, ২৪ মে ২০২২

সমস্যা

Image
ছোটবেলায় এঁটো কাঁটা ছোঁয়া এসবের বিরুদ্ধে প্রায়ই বিদ্রোহ করতাম। এখন এসব নেই। যেটা ভালো লাগে সেটা খাই কোন বাধা নিষেধের অপেক্ষা না করে। ধর্মীয় গোঁড়ামি না থাকলেও গোঁড়ামি যে নেই তা কিন্তু নয়। কয়েক বছর আগে এক ভারতীয় অধ্যাপকের সাথে আলাপ এক কনফারেন্সে। রাশিয়ায় থাকেন। এক সাথে ব্রেকফাস্ট করার সময় যখন জানালেন বিজেপি করেন আমি সেটা গিলতে পারিনি যদিও গবেষণার ক্ষেত্র এক। আমার মনে হয় আওয়ামী লীগ - বিএনপি, ডেমোক্র্যাট - রিপাবলিক এসব অনেক প্রশ্নে আমরা অনেকেই সেই হিন্দু মুসলমান ছোঁয়া না ছোঁয়ার খুব একটা উপরে উঠতে পারিনি। কে জানে যারা ধর্ম নিয়ে ঝগড়া করে তারা হয়তো রাজনীতি বা রাশিয়া আমেরিকা নিয়ে আমাদের মতবিরোধ দেখে হাসে। আসলে মানুষ মাত্রই তার স্বকীয়তা বজায় রাখতে চায় আর সেটা রাখতে অজুহাত খোঁজে। ধর্মে, রাজনীতিতে, আদর্শে। সমস্যাটা মনে হয় মানুষের ইনহেরেন্ট। দুবনার পথে, ২৩ মে ২০২২

ধন

Image
দোস্ত তুই একেবারে আগের মতই রয়ে গেলি। কি আর করা। ফিজিক্সের ল তো স্থান-কালের উপর নির্ভর করে না। আমি হয়তো ঐ নিয়মেই চলছি। না, আমি তা বলিনি। ছাত্র জীবনেও তোর সঞ্চয় বলতে কিছু ছিল না, চাকরি জীবনেও তেমনি, মানে গরীবই রয়ে গেলি। সেটা অবশ্য নির্ভর করে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা সেটা দেখব। সেভার বয়স তখন পাঁচ। ওকে নিয়ে বাসায় ফিরছি মিউজিক স্কুল থেকে। হঠাৎ ও প্রশ্ন করল - পাপা, আমাদের মধ্যে কে বেশি বুদ্ধিমান? আমি বললাম, দেখ, তুই বেহালা বাজাতে পারিস, আমি পারি না। তাই এখানে তুই বেশি বুদ্ধিমান। আবার আমি অংক তোর চেয়ে ভালো করি। তাই সেক্ষেত্রে আমি বেশি বুদ্ধিমান। এখন তোর প্রশ্নে আসি। তোদের অনেক বাড়ি গাড়ি আছে, আমার নেই। এখানে তোরা ধনী। আবার আমার অনেক কিছু আছে যেটা তোদের নেই। যেমন গাড়ি বাড়ি না থাকার কষ্ট। আসলে জীবন যেমন শুধু টাকা পয়সা নিয়ে নয়, তেমনি শুধু জ্ঞান বুদ্ধি নিয়ে নয়। জীবন অনেক কিছুর সমাহার। কারো কোনটা বেশি আছে কারো কোনটা কম। যদি জীবনকে এভাবে দেখিস, দেখবি আমি তত গরীব না বা তুই নিজেও ততটা ধনী না যতটা তুই ভাবিস। মনে হয় ও গতকাল আমার কালো দিন পড়ে ওর খবর নিতে চেয়েছিল। দুবনা, ২২ মে ২০২২

একুশ - কবিতা ও মানুষ

Image
আব্দুল গাফফার চৌধুরী চলে গেলেন। আমার কাছে ওনার প্রথম ও প্রধান পরিচয় উনি বিখ্যাত "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো" গানের রচয়িতা। সমস্ত পাকিস্তান আমল জুড়েই তিনি বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশ স্বাধীনতার জন্য অবদান রেখে গেছেন। ফেসবুকের কল্যাণে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাঁর কলাম পড়তাম। দ্বিমত পোষণ করতামই বেশি। কারণ - তিনি সব কিছুর সমাধান দেখতেন এক ব্যক্তির মধ্যে। তাই সমাজ বা রাজনৈতিক কাঠামো পরিবর্তনের কথা না বলে সেসব এমন ভাবে সংস্কার করতে বলতেন যেন সমাজটাও বদলায় আবার ক্ষমতারও পরিবর্তন না হয়। এধরনের সমাধান সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, চাপিয়ে দেওয়া, ফলে সুদূরপ্রসারী নয়। তবে এটাও বুঝি তিনি সেটা করতেন নিজের রাজনৈতিক বিশ্বাস থেকে। হয়তো অন্য কোন লোক এভাবে লিখলে আমাদের অনেকেরই এতটা খারাপ লাগত না, তবে তাঁর মাপের একজন লোকের কাছ থেকে আমাদের আশা একটু বেশি থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। একুশের গান হয়েই তিনি বেঁচে থাকবেন। দুবনা, ১৯ মে ২০২২

সরল অংক

Image
  এই যে আপনি ধর্ম টর্ম মানেন না, তাতে যে স্বর্গের পথে কাঁটা ফেলছেন সেটা জানেন? কিন্তু স্বর্গ দিয়ে আমি করব কী? খাব না মাথায় দেব? মানে? দেখেন আপনাদের স্বর্গে অঢেল খাবার আর জনপ্রতি বাহাত্তর না তেহাত্তরটা করে হুরপরী, মানে নারী। আমি ভাল খাদক নই। খুব একটা খেতেও পারি না। এখন আপনিই বলুন, এত খাবার দেখে খেতে না পেরে মনে কষ্ট পাওয়া - এটা কি নরক যন্ত্রণার চেয়ে কোন অংশে কম? তা না হয় বুঝলাম। কিন্তু নারী? দেখুন, শুধু আপনার একার নয় প্রত্যেকেরই এতগুলো করে নারী বা আপনাদের ভাষার হুরপরী থাকবে। একটু কল্পনা করে দেখুন তো বাংলাদেশে একশ আটচল্লিশ মিলিয়ন জনতার মাত্র দুই মিলিয়ন পুরুষ আর ১৪৬ মিলিয়ন নারী। আমি নারী পুরুষের সমান অধিকারে বিশ্বাসী। কিন্তু আপনারা যারা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের প্রবক্তা সেই অবস্থায় আপনাদের কি হাল হবে? আপনি সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি। আপনি ওসব বুঝবেন না। শুধু বলি বাংলাদেশে এখন সংখ্যালঘুদের পরিমাণ ৮% আর স্বর্গে পুরুষের সংখ্যা হবে মাত্র ১.৩৩%। বাংলাদেশে যদি ৮% সংখ্যালঘুদের জীবন সংখ্যাগুরুরা প্রায় নরকে পরিণত করতে পারে তাহলে স্বর্গে নারীরা আপনাদের কী অবস্থা করবে সেটা কল্পনা করতে পারেন? বাংলাদ

জিজ্ঞাসা

Image
খুব জানতে ইচ্ছে করে যে সমস্ত শিক্ষিত মানুষেরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস জানেন, জানেন সেই যুদ্ধে ২৭ মিলিয়ন সোভিয়েত নাগরিকের আত্মদানের কথা, জানেন বার্লিনের রাইখস্টাইগে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতাকা উত্তোলনের কথা - এখন যখন ইউরোপ আমেরিকায় সরকারি ভাবে এই বিজয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের অবদানের কথা অস্বীকার করা হয় বা এড়িয়ে যাওয়া হয়, বলা হয় এই বিজয় আসলে আমেরিকা, ফ্রান্স আর ইংল্যান্ডের - তারা তখন সেই মিথ্যাকে কিভাবে গ্রহণ করেন? নাকি এখন তারা পশ্চিমা বিশ্বের এই ন্যারেশনকেই সত্য বলে মেনে নেন। আচ্ছা মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে কি গণতন্ত্র, মানবিক সমাজ এসব প্রতিষ্ঠা করা যায়? দুবনা, ১১ মে ২০২২

বিজয় দিবসের অভিনন্দন

Image
  আজ ৯ মে, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিজয়ের দিন - বিজয় দিবস। যখন সোভিয়েত ইউনিয়নে আসি তখন এ দিনটি মে দিবসের ছায়ায় ঢাকা পড়ে ছিল। যে উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তখন মে দিবস আর অক্টোবর বিপ্লব দিবস পালন করা হত - সে তুলনায় বিজয় দিবস ছিল দ্বিতীয় সারির, যদিও জনগণের কাছে এর গুরুত্ব মোটেই কম ছিল না। সোভিয়েত আমলে ১ মে আর ৭ নভেম্বর প্যারেড হত রেড স্কয়ারে। ছাত্র জীবনে অনেক বার গেছি সে সব প্যারেডে। আর বিজয় দিবসে গেছি বলশয় থিয়েটারের ওখানে আর পার্ক কুলতুরিতে যেখানে হাজার হাজার যুদ্ধের ভেটেরান একত্রিত হতেন, পরবর্তী জেনারেশন ফুল দিয়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাত। বাজত মিউজিক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেনারা নাচতেন সেই সঙ্গীতের তালে তালে। এটা ছিল আশির দশকে। ভেটেরানদের বয়স তখন কতই বা, ষাট থেকে সত্তরের মধ্যে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্মৃতি মুছে না গেলেও ম্লান হয়ে যেতে শুরু করে। ৭ নভেম্বর হারায় তার আগেকার ঐতিহাসিক গুরুত্ব। আন্তর্জাতিকতাবাদও আগের মত হালে পানি পায় না। ফলে ১ মেও মলিন হয়ে যায়। এতদিন পর্যন্ত যা ছিল জনতার উৎসব, সেই বিজয় দিবস পায় সরকারি রূপ। ১৯৯৫ সালে বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে পাক

উপলব্ধি

Image
  দুই বছর আগেও যখন দিদি ফোন করত, প্রথম প্রশ্নই ছিল ভাই, জল খেয়েছিস? আসলে এটা এক বিরাট সমস্যা। আমি এমনিতে জল খাই না তবে চা খাই বেশ। তাই সবার ধারণা আমার সব অসুখ জল না খাওয়ার কারণে। আমি বলে বোঝাতে পারি না যে যদি জল না খাওয়ার কারণে আমার সমস্যা হত বা জলের অভাবে শরীরে সমস্যা হত আমি নিজে তো অনেক আগেই মরে ভূত হয়ে যেতাম, এমনকি ভূতও ফসিল হয়ে যেত। যাহোক আমি এ নিয়ে একবার ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করায় বললেন, "আসলে আমরা জল শুধু এমনি খাইনা, বিভিন্ন খাবারের সাথে আমাদের শরীরে জল বা প্রয়োজনীয় তরল প্রবেশ করে আর সেটাই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে।" আমার এমনিতে জল খাবার পরিমাণ সেটুকুই যেটুকু আমার ওষুধ খেতে লাগে, দিনে ১০০ থেকে ২০০ মিলিলিটার। যদি কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে আমার প্রিয় লেখক কে, সেই স্কুল জীবন থেকেই নির্দ্বিধায় উত্তর দিই দস্তইয়েফস্কি। এরকম আরও অনেক ব্যাপারেই আমি গান, মিউজিক, কবিতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন জনের নাম চলে আসবে। তাহলে প্রশ্ন রবীন্দ্রনাথের স্থান কোথায় আমার জীবনে? সেই জলের মত যা আমি আলাদা করে খাই না তবে সবকিছুর সাথে আমার জীবনে ঢুকে যায়। আমার বাসা থেকে তিন শ মিটার উত্তরে ভোলগা আর তিন শ মিটার দক

তেল সমাচার

Image
সোভিয়েত আমলে একটা জোক ছিল। মইসা স্ত্রী সারাকে বলছে - জান আজ ৫ কোপেক ইকনমি করলাম। - কীভাবে? - মুখের সামনে বাসটা ছেড়ে দিল। আমিও ওর পেছনে পেছনে দৌড়ে চলে এলাম। - খুব ভাল করেছ। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তবে আরও ভাল হত যদি তুমি ট্যাক্সির পেছনে দৌড়ুতে। তাতে দুই রুবল বেঁচে যেত। এখন অবশ্য তেলের দাম বাড়ায় ভাড়া বেড়েছে, তাই ইকনমি আরও বেশি হত। কথা হচ্ছে তেল নিয়ে। দেশে সয়াবিনের দাম বেড়ে গেছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়া খারাপ, তবে যেহেতু তেলের দামের উপর আমাদের হাত নেই তাই আমরা চেষ্টা করতে পারি এ থেকে লাভজনক কিছু পেতে। দেশে গেলে আমার বড় সমস্যা হয় তেল ঝালে। টেস্টি তবে মুখের আরামকে পোষাতে হয় পেটের ব্যারাম দিয়ে। এখানে আমি তেল খুবই কম দিই, তারপরও বৌ, ছেলেমেয়েদের নানা অভিযোগ। তাই প্রায়ই মাংস বা অন্য কিছু আগে একটু জলে ভাপিয়ে পরে অল্প তেল, মশলা, পেঁয়াজ, রসুন এসব দিই। আমি ভাল রান্না করি সেটা বলব না, তবে জানি তেল কম খেলে পেটের ভেতরে সেসব যন্ত্রপাতি আমাদের বাঁচিয়ে রাখে ওরা ভাল থাকে। তাই তেলের দাম বাড়ায় ভেঙ্গে না পড়ে সেটার ব্যবহার কমিয়ে দিন। টাকা বাঁচবে, শরীর ভাল থাকবে আর খাবারের নিজস্ব স্বাদ পাবেন। কেননা তেলে ঝালে

গ্রাম

Image
ছোটবেলায় গ্রামে এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটতো। কোন দুর্বল বাচ্চা ছেলে পাড়ায় কারও সাথে যেচে ঝগড়া লাগালো। তারপর সেই ঝগড়া চলে গেল বড়দের মধ্যে। আর যদি দুই ফ্যামিলি দলেবলে ভারী হয় তো কথাই নেই। অনেক সময় এসব ঘটতো জমির আল নিয়ে। হয়তো এর পেছনে কারও ইন্ধন ছিল। বলা তো যায় না। ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে উস্কে দেওয়া, রুশ আক্রমণ আর তারপর আমেরিকা সহ পশ্চিমা বিশ্বের একে একে এই কাইজ্যায় (ঝগড়ায়) জড়িয়ে পড়া আমার সেই গ্রামের কাহিনীই মনে করিয়ে দেয়। রাশিয়া আর পশ্চিমা বিশ্ব ঝগড়া করে। ইউক্রেন এই ঝড়ের সময় সাহায্য রূপী আম কুড়ানোর চেষ্টা করে যদিও ঝড়ের দাপটে প্রাণও হারায় অনেকে। মস্কোয় যখন আসি অনেককেই বলতে শুনেছি মস্কো আসলে একটা বিশাল গ্রাম। এখন মনে হয় পৃথিবীটাই একটা অতি বিশাল গ্রাম। দুবনা, ০৪ মে ২০২২

ঈদ

Image
ধর্ম নিয়ে আপনার কোন মাথাব্যথা নেই জেনেও জানতে ইচ্ছে করছে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান আপনার সবচেয়ে ভালো লাগে? আসলে ভালো লাগা না লাগা অনেকটাই নির্ভর করে আমাদের স্মৃতির উপর, বিশেষ করে ছোটবেলার স্মৃতির উপর। যদিও ঈদের সাথে আমার ছোটবেলার তেমন কোন স্মৃতি জড়িত নেই তবুও ঈদ মনে হয় এখন আমার প্রিয় দেশীয় অনুষ্ঠান আর সেটা ধর্মীয় ও জাতীয় সব অনুষ্ঠান বিবেচনায় নিয়েই।  অপ্রত্যাশিত উত্তর। যদি একটু ব্যাখ্যা করে বলেন। দেখুন অনুষ্ঠান মানেই আনন্দ। বলতে পারেন অনাবিল আনন্দ। আজকাল পূজায় আনন্দের চেয়েই ভয়ই বেশি। সবাই ভয়ে ভয়ে থাকে এই বুঝি আবার কোথাও প্রতিমা ভাঙচুর করা হল। যে নিরাপত্তার মধ্যে পূজা হয় তাতে সেটাকে জেলে মিষ্টি বিতরণের মতই মনে হয়। প্রায় একই ঘটনা দেখি নববর্ষের অনুষ্ঠানে। উৎসবের চেয়ে নিরাপত্তার কথাই বেশি। যদি জাতীয় দিবসগুলোর কথা বলি সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক উস্কানির সম্ভাবনা থেকেই যায়। সেদিক থেকে ঈদ (কোরবানির ঈদ নয়) সবচেয়ে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ উৎসব বলে আমার মনে হয়। এমনকি সামাজিক মাধ্যমেও দেখবেন কোন হিংসা নেই, শুধুই শুভেচ্ছার ছড়াছড়ি। এ সময়েই বলা যায় ধর্ম যার যার উৎসব সবার। দুবনা, ০৩ ম