তেল সমাচার
সোভিয়েত আমলে একটা জোক ছিল।
মইসা স্ত্রী সারাকে বলছে
- জান আজ ৫ কোপেক ইকনমি করলাম।
- কীভাবে?
- মুখের সামনে বাসটা ছেড়ে দিল। আমিও ওর পেছনে পেছনে দৌড়ে চলে এলাম।
- খুব ভাল করেছ। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তবে আরও ভাল হত যদি তুমি ট্যাক্সির পেছনে দৌড়ুতে। তাতে দুই রুবল বেঁচে যেত।
এখন অবশ্য তেলের দাম বাড়ায় ভাড়া বেড়েছে, তাই ইকনমি আরও বেশি হত।
কথা হচ্ছে তেল নিয়ে। দেশে সয়াবিনের দাম বেড়ে গেছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়া খারাপ, তবে যেহেতু তেলের দামের উপর আমাদের হাত নেই তাই আমরা চেষ্টা করতে পারি এ থেকে লাভজনক কিছু পেতে।
দেশে গেলে আমার বড় সমস্যা হয় তেল ঝালে। টেস্টি তবে মুখের আরামকে পোষাতে হয় পেটের ব্যারাম দিয়ে। এখানে আমি তেল খুবই কম দিই, তারপরও বৌ, ছেলেমেয়েদের নানা অভিযোগ। তাই প্রায়ই মাংস বা অন্য কিছু আগে একটু জলে ভাপিয়ে পরে অল্প তেল, মশলা, পেঁয়াজ, রসুন এসব দিই। আমি ভাল রান্না করি সেটা বলব না, তবে জানি তেল কম খেলে পেটের ভেতরে সেসব যন্ত্রপাতি আমাদের বাঁচিয়ে রাখে ওরা ভাল থাকে। তাই তেলের দাম বাড়ায় ভেঙ্গে না পড়ে সেটার ব্যবহার কমিয়ে দিন। টাকা বাঁচবে, শরীর ভাল থাকবে আর খাবারের নিজস্ব স্বাদ পাবেন। কেননা তেলে ঝালে রান্না জিনিসে আমরা তেল আর ঝালের স্বাদই পাই, আর পাই রাঁধুনির রান্নার গুণ। কিন্তু যা খাচ্ছি তার আসল স্বাদ কিন্তু ঢাকা পড়ে যায়। এটা অনেকটা বিউটি পার্লারে সাজানো মানুষ। তার আসল রূপ দেখতে যেমন মেক আপ ধুয়ে ফেলতে হয়, খাদ্যের আসল স্বাদ পেতে হলেও তেল ঝাল কম দিতে হয়।
তেলকে আর কত তেল দেবেন। আসুন তেলের ব্যবহার কমাই।
তেলের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই একমাত্র ওর তেল ভেঙে দিতে হবে। সুস্থ্য জীবন যাপন করি।
Comments
Post a Comment