উপলব্ধি
দুই বছর আগেও যখন দিদি ফোন করত, প্রথম প্রশ্নই ছিল
ভাই, জল খেয়েছিস?
আসলে এটা এক বিরাট সমস্যা। আমি এমনিতে জল খাই না তবে চা খাই বেশ। তাই সবার ধারণা আমার সব অসুখ জল না খাওয়ার কারণে। আমি বলে বোঝাতে পারি না যে যদি জল না খাওয়ার কারণে আমার সমস্যা হত বা জলের অভাবে শরীরে সমস্যা হত আমি নিজে তো অনেক আগেই মরে ভূত হয়ে যেতাম, এমনকি ভূতও ফসিল হয়ে যেত। যাহোক আমি এ নিয়ে একবার ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করায় বললেন, "আসলে আমরা জল শুধু এমনি খাইনা, বিভিন্ন খাবারের সাথে আমাদের শরীরে জল বা প্রয়োজনীয় তরল প্রবেশ করে আর সেটাই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে।" আমার এমনিতে জল খাবার পরিমাণ সেটুকুই যেটুকু আমার ওষুধ খেতে লাগে, দিনে ১০০ থেকে ২০০ মিলিলিটার।
যদি কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে আমার প্রিয় লেখক কে, সেই স্কুল জীবন থেকেই নির্দ্বিধায় উত্তর দিই দস্তইয়েফস্কি। এরকম আরও অনেক ব্যাপারেই আমি গান, মিউজিক, কবিতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন জনের নাম চলে আসবে। তাহলে প্রশ্ন রবীন্দ্রনাথের স্থান কোথায় আমার জীবনে? সেই জলের মত যা আমি আলাদা করে খাই না তবে সবকিছুর সাথে আমার জীবনে ঢুকে যায়। আমার বাসা থেকে তিন শ মিটার উত্তরে ভোলগা আর তিন শ মিটার দক্ষিণে বন। আমি কখনও নদীর তীরে ঘুরে বেড়াই, কখনও বা বনে আর অবাক হয়ে দেখি কী রকম প্লাটে যায় বাতাস। ভোলগার তীরে বাতাসে নদীর গন্ধ, জলের গন্ধ আর বনের বাতাসে গাছের ঘামের গন্ধ, ফুল আর পাতার গন্ধ। এই গন্ধ হল অন্যান্য ভালবাসা, ভালোলাগা আর বাতাস হল রবীন্দ্রনাথ।
শুভ জন্মদিন কবি!
Comments
Post a Comment