পরিমল

অফিসে এসে ফেসবুক খুলতেই দেখলাম জয়নালের পোস্ট, পরিমল তুমি কোথায় গেলে? পরিমল ওদেসায় পড়াশুনা করেছে, পরে মস্কো ছিল, তারপর আমেরিকায়। ছাত্রজীবনে তেমন ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে মনে পড়ে না। ২০১০ সালে প্রবাসী পরিষদ গঠন করলে কয়েক বার দেখা হয়েছে, তবে ও আমাদের সংগঠনের প্রতি তেমন আগ্রহ দেখায়নি। ফলে ঠিক বন্ধুত্ব গড়ে ওঠেনি। তবে আগে তেমন যোগাযোগ না থাকলেও ফেসবুকে নিয়মিত যোগাযোগ হত, আমার স্ট্যাটাসে নিয়মিত কমেন্ট করত। অনেক ক্ষেত্রে ভিন্ন মত পোষণ করলেও ফেসবুকের মাধ্যমেই এক ধরণের সখ্যতা গড়ে ওঠে। তারপর - বলা নেই কওয়া নেই - তারার খোঁজে বেরিয়ে পড়ল অন্ধকার আকাশে।

আজ দু একজনের সাথে ওকে নিয়ে কথা হল। ওদের কাছেই শুনলাম ওর শারিরীক সমস্যা এখানে থাকতেই ছিল। যদিও যদি, কিন্তু এসব নিয়ে বাস্তবতা বর্ণনা করা যায় না, তারপরেও মনে হল কী হত যদি ও এখানে থাকত। এটা ঠিক অর্থনৈতিক সমস্যার কারণেই ও আমেরিকায় পাড়ি জমায়। তবে এখানে থাকলে বিনে পয়সায় চিকিৎসা পেত। আমেরিকায় পয়সা উপার্জন করলেও প্রায়ই মানুষ চিকিৎসার পেছনে অতি কষ্টে উপার্জিত অর্থ ব্যয় করতে চায় না। হয়তো পরিমলও করেনি। এটা একান্তই আমার কল্পনাপ্রসূত। হতে পারে যে ওর অসুস্থতা বোধই করেনি।

আমি এখানে নিয়মিত ছবি আপলোড করি। ওর রাশিয়ার ছবি খুব পছন্দ। কী দেব তোমাকে বিদায় বেলায়? বিজয় দিবসে তোলা একটি ছবি।

দুবনা, ১৬ মে ২০২৪

Comments

Popular posts from this blog

নেতা

শুভ নববর্ষ ১৪৩১