কয়লা

সেদিন খবরে দেখলাম ১৯৭০ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইচ্ছাকৃত ভাবে এইডস, হেপাটিট ইত্যাদি জীবানু দ্বারা দূষিত রক্ত অনেক রুগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছে। এটা শুধু অল্প পয়সায় আমেরিকা থেকে রক্ত আমদানীতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, এটা ছিল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার একটি অংশ। খবরে প্রকাশ এই কমদামি রক্ত মূলত আমেরিকার জেলে বন্দীদের কাছ থেকে সংগৃহীত। ঋষি সুনক এটাকে লজ্জাজনক বলে বর্ণনা করেছেন।

চেরনোবিলের দুর্ঘটনার সময়ও একই ধরণের ঘটনা ঘটে। প্রশাসনের চাপে বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা বন্ধ করে নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট চালু রাখা যায় কি না সেই পরীক্ষা করছিলেন বিজ্ঞানীরা। উদ্দেশ্য ছিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেন্টেইনিং খরচ কমানো। তারা বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও একজন আমলা সেটা চালিয়ে যেতে বলেন। ফলাফল আমরা জানি। 

এক সময় আমার ধারণা ছিল সত্তরের দশক থেকে শুরু করে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের আগ পর্যন্ত ইউরোপিয়ান দেশগুলোর সরকার অন্তত জনদরদী ছিল। কিন্তু এখন বুঝছি কয়লা ধুলেও ময়লা যায় না।

ধনীরা সব সময়ই কেন জানি না দরিদ্রদের দারিদ্র্য বাড়িয়ে নিজেদের ধন বাড়ায় আর ক্ষমতাসীনরা অক্ষমদের অক্ষমতা বাড়িয়ে নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শূণ্য পাত্রকে শূন্য করে ভরা পাত্র ভরার এ কায়দা প্রকৃতির এক অলৌকিক ঘটনা। 

মস্কো, ২৩ মে ২০২৪

Comments

Popular posts from this blog

পরিমল

নেতা

শুভ নববর্ষ ১৪৩১