সখী তুমি কার?

সোভিয়েত আমলে এদেশে প্রাইভেট ব্যবসা নিষিদ্ধ ছিল। বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের কেউ কেউ তারপরেও এসবের সাথে জড়িত ছিল আবার অনেকেই এসব এড়িয়ে চলত। আমাদের মধ্যেও ব্যতিক্রম ছিল না। এ নিয়ে দলাদলি ছিল। যারা ব্যবসা করত না তাদের অনেকেই যারা ব্যাবসা করত তাদের সমালোচনা করত। কিন্তু এই সব সমালোচকদের অনেকেই এসব ব্যসায়ীদের ঘরে গিয়ে ভালোমন্দ খেতে বা পান করতে দ্বিধা করত না। এটা অনেকটা চুরি করে চোর না সেজে চুরির পয়সায় ভালোমন্দ খেতে ভালো মানুষ সাজা।

বাম রাজনীতি করে বলে অনেকেই আমেরিকা ও সাম্রাজ্যবাদের সমালোচনা করে। শুধু তাই নয় এটাকে তারা রাজনৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করে। তাদের কাছে এটা অনেকটা মন্ত্র জপার মত। আবার আমেরিকা থেকেই যখন রাশিয়া, ইরান, চীন ইত্যাদি পশ্চিমা বিশ্বের অপছন্দের দেশ সম্পর্কে কোন প্রোপাগান্ডা মূলক খবর প্রচার করা হয় তার সত্যতা যাচাই না করেই সেটা ফলাও করে এরা প্রচার করে। অবস্থা দেখে মনে হয় বন্ধু বলে যেহেতু আর কেউ নেই তাই সবার সাথে শত্রুতা করাই এখন তাদের ধ্যান জ্ঞান।

এসব দেখে খুব জানতে ইচ্ছে করে সখী তুমি কার? কারণ সত্যের পক্ষে হলে সত্যতা যাচাই করে নিতে হবে আর আদর্শের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে হলে সেটাকে ধরে রাখতে হবে। সবার বিরুদ্ধে বিরোধিতা করা কোন আদর্শ নয়, এটা এক ধরনের সুবিধাবাদ।

দুবনা, ২২ মে ২০২৪

Comments

Popular posts from this blog

পরিমল

নেতা

শুভ নববর্ষ ১৪৩১