Posts

Showing posts from March, 2017

একটা মৃত্যু

Image
কয়েকদিন আগে যখন জাহীদের স্ট্যাটাস থেকে জানলাম কালিকাপ্রসাদ আর নেই, গুগলে সার্চ দিয়ে জানতে চেষ্টা করলাম, কে এই কালিকাপ্রসাদ? শুনলাম দোহারের গান, দেখলাম "আমার রবীন্দ্রনাথ" আর ভাবলাম, এত ভালো শিল্পী, জ্ঞানী লোক - অথচ তার জীবদ্দশায় তাকে জানতাম না, চিনতাম না। দেশে থাকতে হেমন্ত, মান্না, চিন্ময়, শ্যামল, কিশোরকুমার, সুবিনয় রায় - কত শিল্পীর গান শুনেছি। কিন্তু গানের বাইরে তাদের সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতাম না। আজকাল যদিও সময় তেমন হয় না, তবুও কখনো সখনো মুন্সিয়ানা, আমার রবীন্দ্রনাথ, আজ সকালের আমন্ত্রনে এসব দেখা হয়। তখন বুঝি আজকের শিল্পীরা শুধু শিল্পীই নয়, গানের বাইরেও তাদের জ্ঞানের গভীরতা অবাক করে, আনন্দ দেয় মনে। কয়েকদিন আগে যখন আমার রবীন্দ্রনাথে কালিকা রবীন্দ্রনাথের বয়েস সম্পর্কে বলল, মনে হোল সে তো আমারও কথা। না না, কবিকে আমি সব সময়ই শ্বেতশুভ্র কেশ দাঁড়িতেই দেখি, তবে তার লেখা সব সময়ই আমাকে মনে করিয়ে দেয়, এ যেন আমার বয়েসেরই কারো লেখা - তা সে শিশুকালে “আমাদের

আপেক্ষিক

Image
আমি সারা জীবনই রেগুলারলি ইরেগুলার। তবে ইরেগুলারিটিরও রেগুলারিটি থাকে। আর তাই সেই ইরেগুলারিটিতে পান থেকে চুন খসলে ভীষন ঝামেলায় পড়ে যাই। হঠাৎ দেখা গেলো কাপটা জায়গা মত নেই - সাথে সাথে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে (ভাগ্যিস আকাশের পুরোটাই প্রায় শুন্য, তাই এখন পর্যন্ত মাথাটা ভেঙ্গে যায়নি)। ঘুমটা আজ সকালেই ভেঙ্গে গেলো। সাধারনত অ্যালার্ম আমার গায়ে ঠাণ্ডা জল ঢেলে ঘুম থেকে তোলে, আজ আমিই অ্যালার্মকে কান ধরে হির হির করে টেনে তুললাম। কি করা, কি করা? একটু নেট করে, টুকটাক একটু বই পড়ে ভাবলাম কালি নিয়ে একটু খেলি। এটা হোলির রেশ মনে হয়। যাই হোক কালিকে খুব করে জলে চুবানো গেলো আর কালির এই দুর্গতির সাক্ষী হিসেবে কিছু ছবিও তোলা হল। এবার কাজে যেতে হবে - বারটা অনেক আগেই বেজে গিয়েছে। হাঁটছি হাঁটছি - দেখি বরফেরা কেঁদেকেটে খুন - কিছুতেই যেতে চাইছে না আমাদের ছেড়ে। “যেতে নাহি চাহি আমি সুন্দর ভুবনে, জলকাদার মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।” - এই কাঁদিস না। এই নে তোর ছবি তুলে দিচ্ছি। ওটা দেখবি আর আমাদের কথা মনে করবি। অফিসে এসে পৌঁছুতে প্রায় ১ টা বেজে গেলো। পথে এক প্রফেসরের সাথে দেখা করলাম। মেইল চেক করে রিভিউ নিয়ে বসলাম

৮ই মার্চের শুভেচ্ছা

Image
আর মাত্র কয়েক দিন পর ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এখন আর মনে পরে না দেশে এ দিনটা আমরা কিভাবে পালন করতাম বা আদৌ পালন করতাম কিনা? যদিও উদয়ন, সোভিয়েত ইউনিয়ন, সোভিয়েত নারী এসবের কল্যানে এ দিনটার নাম জানতাম। তাছাড়া ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাঘর, উদিচী এসবের সাথে জড়িত থাকার কারনেও এ দিনটা একেবারে অপরিচিত ছিল না। তবুও মনে হয় মস্কোতেই জীবনের প্রথম এ দিনটি পালন করেছিলাম।     আমি সোভিয়েত ইউনিয়নে আসি ১৯৮৩ সালের ৬ ই সেপ্টেম্বর। তার কয়েক দিন পরে হোল গনমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ছাত্র সংগঠনের নির্বাচন, আমরা ধীরে ধীরে পরিচিত হলাম সংগঠনের কাজকর্মের সাথে। ওই সময় বিজয় দিবস পালিত হতো গনমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের দনস্কায়ার ক্লাবে, একুশ মিকলুখো মাকলায়ায়, ৮ই মার্চ প্লেখানভের এক হলে আর স্বাধীনতা দিবস মেই এর ক্লাবে। এ ছাড়া মস্কো মেলা হতো মিকলুখো মাকলায়ায় আর বার্ষিক সম্মেলন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শহরে।       এখনও মনে পরে ১৯৮৪ র মার্চের সেই দিনটার কথা। আগে থেকেই জানা ছিল অনুষ্ঠান হবে প্লেখানভে। তখন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ওখানে পড়তেন। আমরা দল বেধে গেলাম। জেসমিন আপা, লায়লা আপা, জলি আপা, পলি আপা, শিখা আপা, শেফালী আ