আপেক্ষিক
আমি সারা জীবনই রেগুলারলি ইরেগুলার। তবে ইরেগুলারিটিরও রেগুলারিটি থাকে। আর তাই সেই ইরেগুলারিটিতে পান থেকে চুন খসলে ভীষন ঝামেলায় পড়ে যাই। হঠাৎ দেখা গেলো কাপটা জায়গা মত নেই - সাথে সাথে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে (ভাগ্যিস আকাশের পুরোটাই প্রায় শুন্য, তাই এখন পর্যন্ত মাথাটা ভেঙ্গে যায়নি)।
ঘুমটা আজ সকালেই ভেঙ্গে গেলো। সাধারনত অ্যালার্ম আমার গায়ে ঠাণ্ডা জল ঢেলে ঘুম থেকে তোলে, আজ আমিই অ্যালার্মকে কান ধরে হির হির করে টেনে তুললাম। কি করা, কি করা? একটু নেট করে, টুকটাক একটু বই পড়ে ভাবলাম কালি নিয়ে একটু খেলি। এটা হোলির রেশ মনে হয়। যাই হোক কালিকে খুব করে জলে চুবানো গেলো আর কালির এই দুর্গতির সাক্ষী হিসেবে কিছু ছবিও তোলা হল।
এবার কাজে যেতে হবে - বারটা অনেক আগেই বেজে গিয়েছে। হাঁটছি হাঁটছি - দেখি বরফেরা কেঁদেকেটে খুন - কিছুতেই যেতে চাইছে না আমাদের ছেড়ে। “যেতে নাহি চাহি আমি সুন্দর ভুবনে, জলকাদার মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।”
- এই কাঁদিস না। এই নে তোর ছবি তুলে দিচ্ছি। ওটা দেখবি আর আমাদের কথা মনে করবি।
অফিসে এসে পৌঁছুতে প্রায় ১ টা বেজে গেলো। পথে এক প্রফেসরের সাথে দেখা করলাম। মেইল চেক করে রিভিউ নিয়ে বসলাম। গত কয়েক দিন এর পিছনেই সব সময় চলে যাচ্ছে। আজ আবার আগে বাসায় ফিরতে হবে, বিকালে ক্লাবে যাবো। রাতে ফিরতে বাজবে বারটা, তাই তার আগেই খেেতে হবে। খেয়ে যখন চা করতে যাবো, দেখি কাপে চিনি আর টি পটে চা। তার মানে সকালে অফিসে যাবার আগে চা খেতে ভুলে গেছি। এ রকম আমার হয় না, আর যাই হোক, চা খেতে ভুলি না কখনো। অবাক কাণ্ড। কি ব্যাপার? শেষ পর্যন্ত মনে পড়লো
- আজ তো চোদ্দই মার্চ। আইনস্টাইনের জন্মদিন, তাই সব গোলমেলে হয়ে যাচ্ছে। সবই আপেক্ষিক কিনা।
RELATIVELY HAPPY BIRTHDAY TO YOU DEAR PROFESSOR!
দুবনা, ১৪ মার্চ ২০১৭
Comments
Post a Comment