খেলা

বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে কথা হচ্ছিল এক বন্ধুর সাথে। কথায় কথায় জার্মানির পারফরম্যান্স প্রসঙ্গ উঠে এল। বললাম 

আসলে জার্মানি ফুটবলের চেয়ে এলজিবিটি সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে এত বেশি মেতে ছিল যে ভুলেই গেছিল তারা কেন কাতারে এসেছে।

আচ্ছা এই যে পশ্চিমা বিশ্ব এলজিবিটি সহ বিভিন্ন আন্দোলন দেশে দেশে ছড়িয়ে দিতে চাইছে এর শেষ কোথায়?

ন্যাচারাল সিলেকশন বলে একটা ব্যাপার আছে প্রকৃতিতে। এখনও বংশ বিস্তারের প্রধান উপায় নারী পুরুষের স্বাভাবিক মিলন। সেটা না থাকলে এরকম পরিবার খুব বেশি দূর যাবে না। দেখবেন অদূর ভবিষ্যতে এসব দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগন হবে এশিয়া, আফ্রিকা থেকে আগত মানুষ যারা হয় ট্র্যাডিশনাল সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে অথবা খুব কনজারভেটিভ। তাই কয়েক প্রজন্ম পরে এরা যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে গণতান্ত্রিক উপায়েই ক্ষমতা দখল করে আর এসব দেশে ধর্মীয় শাসন শুরু করে অবাক হব না। কয়েক বছর আগে জার্মানিতে যখন ইমিগ্র্যান্টরা কিছু মেয়েকে ধর্ষণ করে আর ছেলেরা অসহায় ভাবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেটা দেখে তখনই বুঝেছি এদের ভবিষ্যত অন্ধকার। এরা নিজ দেশে পরবাসী। যুগ যুগ ধরে পুরুষ তার মহিলাদের রক্ষা করেছে, মহিলাকে কেন্দ্র করে ঘর সংসার গড়ে তুলেছে। সে যখন এই দায়িত্ব পালন করতে পারে না বুঝতে হবে এদের না আছে ঘর, না সংসার, না সমাজ, না দেশ। তাই এ সমাজ হারিয়ে যেতে বাধ্য। আর সময় বা ইতিহাস যেহেতু স্পাইরাল আকারে চলে তাই এখানে নতুন করে ধর্মীয় গোঁড়ামি এলে কিছুই করার থাকবে না। ইউরোপের মধ্য যুগ খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। এটা অন্তত প্রাকৃতিক নিয়মের পরিপন্থী নয়। প্রকৃতি তার সন্তানদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করার সুযোগ দেয় তবে সেটা মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে সে ঘুরে দাঁড়াতে জানে। অতীত ইতিহাস তাই বলে।

মস্কো, ০৫ ডিসেম্বর ২০২২

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

ছোট্ট সমস্যা

প্রায়োরিটি