যুদ্ধের বাজার খরচ
শোনা যাচ্ছে যে ব্রিটেন ও কানাডার সহায়তায় কিয়েভ তলিয়াতি - ওদেসা পাইপ লাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাশিয়ার উপর দোষ চাপাতে চাইছে। তবে রাশিয়ার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেয়েও বড় এর অর্থনৈতিক দিক। এর ফলে রাশিয়ার এমোনিয়া বাজারজাত হবে না। পশ্চিমা বিশ্ব বলবে এটা রাশিয়ার আয় কমিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধ চালিয়ে যাবার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। তারা যেটা বলবে না তা হল এই সারের বেশির ভাগ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে যেত তুলনামূলক কম দামে। বাজারে সারের অভাব দেখা দেবে। বাড়বে দাম। আর এ থেকে লাভবান হবে আমেরিকা ও ব্রিটেনের কোম্পানিগুলো। নাথিং পার্সোনাল, ওনলি বিজনেস। এবং এটাও গণতন্ত্র। গণতন্ত্রের প্রসার ও রক্ষার জন্য অর্থ দরকার। অনেক অর্থের। কার? তার উপর পৃথিবীর মানুষ এই দায়িত্ব দিয়েছে বা যে নিজে নিজেই নিজেকে এই দায়িত্বে নিয়োজিত করেছে (তেমন করে সামরিক জান্তা) সেই আমেরিকার। তাই আয় যে পথেই হোক না কেন সেটা হক আয়। আচ্ছা আমাদের লোকজন কি ঘুষ নেবার সময়, দুর্নীতি করার সময় এভাবেই ভাবে যে মন্দির মসজিদে কিছু দান করলেই এসব আয় হালাল হয়ে যাবে?
দুবাই, ০৭ ডিসেম্বর ২০২২
Comments
Post a Comment