রিংকু
হঠাৎ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রশান্তর মেসেজ থেকে রিংকুর মৃত্যু সংবাদ জানলাম। গণ মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ছাড়াও রিংকুর আরেকটি পরিচয় ও রাশেদের ভাই। এছাড়া ও দীর্ঘ দিন আমার আরেক পরিচিতা উড়িষ্যার জুলির সাথে একই কোম্পানিতে কাজ করেছে। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠন তো আছেই। তাই আমার সাথে রিংকুর পরিচয় বহুমুখী যদিও দেখা বা কথা হত কালেভদ্রে।
এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে গণ মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫ বছর পূর্তি উৎসবে দেশ থেকে অনেকেই যোগ দেয়। সেখানে আমাদের এক গেট টুগেদারে রিংকুর সাথে দেখা। তখন ও জানায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কথা। এরপর দেখা হয় ২৬ এপ্রিল মস্কো সফররত সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহুল হোসেন প্রিন্সের সাথে এক আলোচনা সভায়। আমি রিংকুকে বলতে ভুলে গেছিলাম। রাত এগারোটার দিকে সানু ফোন করে জিজ্ঞেস করে রিংকুকে বলেছি কিনা। সাথে সাথে ওকে ফোন করি। পাইনি। ২৬ তারিখ সকালে ও ফোন করলে বিকেলের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাই। ওখানেই আমাদের শেষ দেখা। গত ১৯ তারিখে বাংলাদেশের রাশান গ্র্যাজুয়েটদের পিকনিকে রাশেদের সাথে দেখা। রিংকুর কথা জিজ্ঞেস করলে জানাল ও হাসপাতালে। আজকাল ক্যান্সার আর আগের মত দূরারোগ্য ব্যাধি নয়। তাই এটা মনে হয়েছিল রেগুলার চেক আপের মত। আমাদের জীবনে হাজার হাজার মানুষ আসে। কত জীবিত মানুষের কথা আমরা অবলীলায় ভুলে যাই। কিছু কিছু মানুষ মনে থেকে যায়। তুমিও থাকবে রিংকু সুন্দর স্মৃতি হয়ে।
দুবনা, ১২ আগস্ট ২০২৫
Comments
Post a Comment