ট্যারিফের তারিফ

ট্রাম্পের ট্যারিফ রাজনীতির তারিফ করতেই হয়। সেই ডিভাইড এন্ড রুল - কারোও উপর বেশি করে শুল্ক আরোপ, কারোও উপর কম। সবাই রিসিভিং এন্ডে। তারপরেও সবার চেষ্টা ক্ষতি কীভাবে কমানো যায়। লাভ নিয়ে কেউ ভাবছে না। অথচ এর সাথে জড়িত বিশ্বের সব দেশ। সবাই আমেরিকার প্রতিপক্ষ। অথচ সবাই মিলে যে ঐক্যবদ্ধভাবে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তার কোন লক্ষণ নেই। ধরা যাক সব দেশ এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য এক সাথে কোথাও বসল। এমনকি তারা যদি কোন সিদ্ধান্ত নাও নেয় এই বসাটাই হবে গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যাল। অথবা বৈদেশিক বাণিজ্যে ডলার ব্যবহার না করা, সাময়িক ভাবে সমস্ত ব্যবসা বাণিজ্য, লেনদেন বন্ধ করা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনাও আমেরিকাকে বাধ্য করত নতুন ভাবে ভাবতে, পরস্পর নির্ভরশীল এই বিশ্বে একা থাকা যায় না। এমনকি বাংলাদেশের কোন গ্রামের দরিদ্র মেয়েটি যে পোশাক শিল্পে কাজ করে সেও বিশ্ব অর্থনীতির একটি অংশ। আসলে বিভিন্ন দেশের সরকার ও ব্যবসায়ীদের নপুংশকতা ট্রাম্প বা বড় বড় কোম্পানিকে বিশ্বের ভাগ্য নিয়ে খেলার সুযোগ করে দেয়। অথচ সম্মিলিত প্রতিরোধ এখন বিশ্বের অর্থনীতির গতিপথ আমূল বদলে দিতে পারত।

দুবনা, ০২ আগস্ট ২০২৫

Comments

Popular posts from this blog

রিসেটের ক্ষুদ্র ঋণ

প্রশ্ন

রিংকু