গণতন্ত্র

গত পরশু রুশ গোয়েন্দা সংস্থা ক্রাস্নাদার এলাকায় একটি গাড়ি আটক করে। ইউক্রেন থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ঘুরে জর্জিয়া হয়ে গাড়িটি রাশিয়ায় ঢোকে। গাড়ির ভেতরে ৩০০ কেজি বিস্ফোরক লুকানো ছিল। এর গন্তব্য ছিল ক্রিমিয়া। পথে ক্রিমিয়া ব্রিজে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল। বিভিন্ন হাত ঘুরে গাড়িটি ক্রিমিয়ার দিকে এগুচ্ছিল। শেষ যে চালক সে ইউক্রেনের সমর্থক হলেও জানত না যে তাকে আত্মঘাতী হিসেবে ব্যবহার করা হবে। গত বছর এভাবেই এই সেতুর উপর আক্রমণ করা হয়। রুশ গোয়েন্দা সংস্থা গাড়িটি রাশিয়ায় ঢোকার পর থেকেই একে অনুসরণ করছিল ও এরসাথে জড়িত চক্র আবিস্কারের উদ্দেশ্যে দেশের ভেতরে ঢুকতে দেয়।

গতকাল ধরা পড়েছে ছয় জনের এক দল। তিন জন সম্মুখ সমরে নিহত হয়, কমান্ডার সহ তিন জন আত্মসমর্পণ করে। এরা নরোওয়ে ও বাল্টিকের বিভিন্ন দেশে কানাডা ও ইংল্যান্ডের গোয়েন্দাদের দ্বারা প্রশিক্ষণ পেয়েছে রাশিয়ার ভেতরে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর। 

এক দিক ট্রাম্প যখন যুদ্ধ থামাতে চাইছে, ইউক্রেনের মানুষ শান্তির পক্ষে বলছে এসব শান্তির পায়রারা উঠেপড়ে লেগেছে শান্তির জীবন অশান্তিতে ভরিয়ে দিতে। কি চায় এরা? এই এক নতুন ফেনোমেনন যখন জনসমর্থনহীন সরকার দেশ ও জনগণের সাথে যা খুশি তাই করে। এবং এটা বিশ্ব জুড়েই। যেসব দেশের সরকারের পেছনে জনসমর্থন আছে তারা এখন আউটকাস্ট। হায়রে গণতন্ত্র!

দুবনা, ২১ আগস্ট ২০২৫

Comments

Popular posts from this blog

রিসেটের ক্ষুদ্র ঋণ

প্রশ্ন

রিংকু