নতজানু দেশ

ছোট হোক আর বড় হোক রাষ্ট্র রাষ্ট্রই। কিছু কিছু বিচারে গ্রামের রাস্তার মোড়ের মুদি দোকানের মালিক গুগলের সিওর চেয়ে স্বাধীন। স্বাধীনতা মানেই দায়িত্ব। সেটা কখনোই সহজ নয়। তবে আত্মসম্মান বোধ সম্পন্ন যেকোনো রাষ্ট্র শত বাধা বিপত্তি এড়িয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করে।

আচ্ছা একাত্তরে বিনা উস্কানিতে, বিনা ঘোষণায় বাংলাদেশের নিরীহ জনগণের উপর আক্রমণের দায়িত্ব কি পাকিস্তান এড়াতে পারবে? আজ আমরা গতবছরের ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পুলিশ বাহিনীর গুলি চালিয়ে হাজার খানেক মানুষের হত্যার বিচার করতে চাই, শুধু সরকার নয়, সরকারী দল, দলের যেকোনো কর্মীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাই। সেই বিচার যে করতে হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আবার এই আমরাই ত্রিশ লাখ মানুষ হত্যা ও তিন লাখ মা বোনকে ধর্ষণকারী পাকসেনা ও তার দেশীয় দোসরদের কাছে তাদের অপকর্মের হিস্যা চাইতে আজ দ্বিধা করি। উল্টা তারা আমাদের যখন মন পরিষ্কার করার উপদেশ দেয় বিনা প্রতিবাদে তা মেনে নেই। আর কত নতজানু হবে আমাদের সরকার। আর কত দাসত্ব বরণ করবে এরা? আমাদের শিক্ষা কি এতটাই মেরুদণ্ডহীন যে একজন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক এর প্রতিবাদ করতে সাহস পান না? বাংলাদেশের মানুষ বারবার সরকারের নপুংশকতা রুখে দাঁড়িয়েছে। আশা করি এবার তাদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙবে এবং ভাঙবে শীঘ্রই।

দুবনা, ২৫ আগস্ট ২০২৫

Comments

Popular posts from this blog

রিসেটের ক্ষুদ্র ঋণ

প্রশ্ন

রিংকু