২১ আগস্টের লিগেসি

আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল মুসলিম লীগ থেকে, জাসদের আওয়ামী লীগ থেকে। যেহেতু মূল দলের রাজনীতির সাথে বিদ্রোহ করেই জন্ম তাই তাদের পারস্পরিক শত্রুতা ছিল শুরু থেকেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় কোন রাজনৈতিক দল পাকিস্তানের পক্ষে থাকতেই পারত। তবে যখনই সে গণহত্যার সামিল হয়েছে তখনই সে গণশত্রু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাই বাংলাদেশে জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া অনৈতিক ছিল না। বিএনপির জন্ম জিয়ার হাতে যিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন বলে অনেকের বিশ্বাস। ফলে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সম্পর্ক শুরু থেকেই সাপ বেজির। অন্যদিকে এরশাদ জিয়া হত্যার ফসল তোলায় জাতীয় পার্টি ও বিএনপি একে অন্যকে কখনও গ্রহণ করেনি। কিন্তু এসব সমীকরণের মধ্যেও রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে ছিল, এক সাথে আন্দোলন করেছে, নির্বাচন করেছে, হেরেছে, জিতেছে, একে অন্যের বিরুদ্ধে মিটিং মিছিল করেছে। তবে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার পরে বাংলাদেশের রাজনীতি নতুন মোড় নেয়। তখন থেকে দুই প্রধান রাজনৈতিক দল পরস্পরের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে জাতশত্রুতে পরিণত হয়। দেশের উন্নয়নের চেয়েও বিপক্ষ ধ্বংস এদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক মেরুকরণ আরো প্রকট হয়। সেই বিবেচনায় বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতিতে ২১ আগস্টের প্রভাব ১৫ আগস্টের চেয়ে কম নয়।

দুবনা, ২১ আগস্ট ২০২৫

Comments

Popular posts from this blog

প্রশ্ন

সিপিবি কংগ্রেস

রিংকু