কামসূত্র

 

আমাকে কামসূত্রের হিন্দি ভার্সনটা নামিয়ে দিতে পারবে? অনেক খুঁজেও পেলাম না।
হোয়াটস্যাপে মেসেজ এল।
ঝামেলা। আমার বৌ প্রায়ই ছেলেমেয়েদের ফোন করে যখন পায় না বা ওদের ফোন অফ থাকে, আমাকে বলে ফোন করতে।
দেখনা একটু ফোন করে।
বা রে, ওরা অফ লাইনে থাকলে আমি পাব কি করে?
ওরা ঠিক তোমার ফোন ধরবে বা কল ব্যাক করবে।
তা হঠাৎ তোর কামসূত্রের দরকার পড়ল, তাও আবার হিন্দী ভার্সন?
খাজুরহ যাব ভাবছি।
কি আর করা। সার্চ দিলাম। পেলাম ইংরেজি ভার্সন। পাঠিয়ে দিলাম।
ইংরেজি ভার্সনটা তেমন ভাল না। ওরা ঠিক নুয়ান্সটা ধরতে পারে না।
তা ঠিক। তবে আমাদের অনেক ধর্মশাস্ত্র, ইতিহাস এসব ইংরেজদের কল্যাণেই আমাদের কাছে এসেছে। ওরাই আগ বাড়িয়ে অনুবাদ করেছে এদেশটা বুঝতে, যাতে শোষণ করতে সুবিধা হয়।
তা যা বলেছ। তারপরেও দেখ হিন্দিটা পাও কি না।
একটু পরে হিন্দি ভার্সন নামালাম। নিজে তো পড়তে পারি না, তাই হিন্দি ভার্সন সার্চ দিয়ে যা আসে তাই পাঠাই।
দেখ, এটায় কাজ হয় কি না?
দাড়াও।
শোন এটা তো সাত খন্ডের একটা মাত্র।
মহা মুস্কিল। ঐ ব্যাটা নিশ্চয়ই অনুবাদ করতে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতাগুলো ঢুকিয়ে দিয়েছে। ভাবলাম মনে মনে। আবার শুরু করলাম খোঁজা।
দেখ, এটায় চলবে কিনা?
হুম। এটা ঠিক আছে, তবে সংস্কৃতে।
পড়তে পারিস না সংস্কৃত?
না।
শিখে ফেল।
এরপর মনে হল কত লোকই তো প্রিয় কোন বই পড়ার জন্য আস্ত একটা বিদেশি ভাষা শিখে ফেলে। কামসূত্র কালজয়ী একটা গ্রন্থ যার চাহিদা ছিল, আছে, থাকবে। অন্তত এর জন্যে হলেও মানুষ সংস্কৃত শিখতে পারে। উদ্যোগটা একজন নিলেই হল সময় মত।

দুবনা, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
 
 

 

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা