রিক্সা
সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় চীন দেশে ইঁদুর, মশা, মাছি ও চড়ুই নিধন যজ্ঞ চলে । জনগণকে বোঝানো হয় প্রতি বছর চড়ুই যে পরিমান ফসল নষ্ট করে তা দিয়ে সাড়ে তিন কোটি মানুষ খাওয়ানো সম্ভব । ফলে সাধারণ মানুষ পাখি নিধন যজ্ঞে মেতে ওঠে । ১৯৫৮ সালের মার্চ আর এপ্রিল মাসের তিন দিনে প্রায় নয় লাখ পাখি ধ্বংস করা হয় । সে বছর ফসলের ভাল উৎপাদন হলেও দেখা গেল ফরিং, ছ্যাঙ্গা এসব অসম্ভব রকম বেড়ে গেছে আর তারা ফসলের চারা নষ্ট করে ফেলছে । পাখির ধ্বংসের ফলে পরিবেশ থেকে প্রাকৃতিক নিয়ন্ত্রক বিলোপ পেয়েছে । এ থেকে বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে আসেন যে প্রকৃতির সমস্ত জীবমণ্ডল এক অদৃশ্য সূত্রে গাঁথা । এই চক্রের কোন এক লিংক খোয়া গেলে পুরো চক্রটাই অকেজো হয়ে যায় । সমাজও সেই রকমই একটা চক্র । সমাজের ধনী, গরীব, শিক্ষিত, অশিক্ষিত, কুলি, মজুর, ডাক্তার, ইঞ্জিনীয়ারসহ বিভিন্ন পেশার লোক একই চক্রে গাঁথা, একে অন্যের উপর বিভিন্ন ভাবে নির্ভরশীল । ছোট বলে কাউকে বাদ দিলে পরিণতিতে সমাজটাই অচল হয়ে যেতে পারে, অন্তত যতদিন না বিকল্প ব্যবস্থা বের হচ্ছে । সমাজ গড়ে উঠেছে যুগের পর যুগ ধরে, তাই রাতারাতি সব কিছু বদল করা যাবে সেটা ভাববার কারণ নে...