Posts

শান্তি

Image
জাতীয় স্টেডিয়াম সরিয়ে নেবার দাবি উঠেছে দেশে। কারণ সেখানে গানবাজনা ইত্যাদি অনৈসলামিক কাজকর্ম হয় যা বায়তুল মোকাররমের বিশুদ্ধতা নষ্ট করে। সেখানে সরকারি অফিস আদালত হতে পারে বলে মতামত জানিয়েছে বক্তা। কিন্তু সেই অফিস আদালতে যে ঘুষ দুর্নীতি হবে সেটা কতটুকু ইসলামিক সে সম্পর্কে বক্তা নীরব।  পৃথিবীতে দুটো মানুষ এক রকম নয়। প্রতিটি মানুষ ইউনিক, কোন না কোন পয়েন্টে একজন অন্যজনের চেয়ে ভিন্ন হবেই। তাই ইচ্ছা অনিচ্ছায় আমাদের সহাবস্থান করতে হয় আর শান্তিকামী মানুষ চেষ্টা করে সেই সহাবস্থান যথাসম্ভব শান্তিপূর্ণ করতে। সেই বিবেচনায় জাতীয় স্টেডিয়াম সরানোর ডাক আসলে অশান্তির পূর্বাভাস। আজ যারা বিভিন্ন অজুহাতে এই আহ্বান সমর্থন করছে কাল তাদের অনেকের অনেক অধিকার খর্ব করার ডাক আসবে।  চব্বিশের একটি স্লোগান ছিল দেশটা কারোও বাপের না (এই কারো কি শুধুই শেখ হাসিনা নাকি তারেক জিয়াও হাসিনার কলিগ সেটা অবশ্য উহ্য থেকে গেছে বারবার), তবে ক্ষমতায় যারাই যায় তাদের হাবভাব দেখে মনে হয় তাদের বেশির ভাগ জমিদার নন্দন/নন্দিনী আর দেশটা তাদের বাপের জমিদারি। ক্ষমতায় গেলে সবার মনে হয় পুনর্জন্ম ঘটে আর সবাই গণতন্ত্...

সংবাদ না হেডলাইন?

Image
ট্রাম্পকে নোবেল না দেয়ায় পুরস্কারের সম্মান কমে গেছে - পুতিন।  এই শিরোনামে ইত্তেফাকে খবর বেরিয়েছে। এসব খবর এরা কোথায় পায়? দুশানবে শহরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ট্রাম্পের পুরস্কার না পাবার ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে চান না। তবে বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ট্রাম্প কাজ করছেন। মধ্যপ্রাচ্য তার উদাহরণ। তিনি আরও বলেন এর আগে অনেককেই নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে যা পুরস্কারের সম্মান হানির কারণ হয়েছে। সরাসরি কারোও নাম উল্লেখ না করলেও সেটা যে বারাক ওবামাকে উদ্দেশ্য করে বলা তাতে সন্দেহ নেই। দুবনা, ১১ অক্টোবর ২০২৫

অবিশ্বাসীর বিশ্বাস

Image
মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। নিলে আঞ্চলিক শান্তি রক্ষায় নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মিয়ানমারের সু চির অবদান প্রত্যক্ষ করার পরে কেউ কি নিজ দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য আরেক নোবেল শান্তি পদক প্রাপ্ত ডঃ ইউনুসকে এই দায়িত্বে নিয়োগ করত? ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে ইতিহাস শিক্ষা দেয়।  অচেনা অজানা বনে মানুষ সবসময় সেই পথেই যায় যে পথে তার আগে কেউ গেছে যদি সে নাও জানে তার আগের পথিকের ভাগ্যে কী ঘটেছিল। কারণ সে নিজেকে সবসময় সৌভাগ্যবান মনে করে আর ভাবে বিপদ তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যাবে। বিশ্বাস অবিশ্বাসের এই লুকোচুরি খেলায় হেরে যায় দুই পক্ষই। জেতে তারা যারা দুই পক্ষকেই ধোঁকা দিতে পারে মানে বিশ্বাসঘাতকরা। মস্কো, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

প্রশ্ন

Image
মালদোভায় নির্বাচন হল। রোমানিয়ায় যেমন মিথ্যা অভিযোগে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করে ইউরোপ তার পছন্দের প্রার্থীকে জিতিয়ে এনেছিল এখানেও শুধু একের পর এক জনপ্রিয় প্রার্থীদের জেলে ঢুকিয়ে ও পার্টিগুলোকে মিথ্যা অজুহাতে নির্বাচন থেকে বিরত রেখেই নয় যে সব জায়গায় বিরোধীদের জনপ্রিয়তা বেশি সেখানে যান্ত্রিক ত্রুটি ইত্যাদি দেখিয়েও যখন সান্দোর দলের বিজয় নিশ্চিত নয় তখন ভোট ফলাফল বাতিল করার পাঁয়তারা চলছে। গণতন্ত্রকে আর কতভাবে ধর্ষণ করলে মানুষের হুঁশ হবে যে ইউরোপ এখন একনায়কতন্ত্রের উর্বর ভূমি। জাতীয় সরকার নয়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আমলারা এখন বিভিন্ন অজুহাতে এখানকার গণতন্ত্রকে লাঞ্ছিত করছে, ইউরোপকে সাজাচ্ছে যুদ্ধের সজ্জায়? মস্কো, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

প্রশ্ন

Image
গতকাল সিপিবির কংগ্রেস শেষ হল। সেই আশির দশকের শুরুতে যখন রাজনীতির সাথে জড়িত হই তখন থেকেই সিপিবির কংগ্রেস নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠি। তবে সবসময়ই যতটা না কমিটি তারচেয়ে বেশি করে আগ্রহের কেন্দ্রে থাকত পার্টির রণনীতি রণকৌশল। এই প্রথমবারের মত সামনে চলে আসে অন্য ভয় - পার্টি ভাঙবে না তো? পার্টি ঐক্যবদ্ধ থাকবে তো? ফেসবুকে ও বিভিন্ন গ্রূপ পোস্টে দেখলাম নতুন কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, চলছে ভোট গণনা। এরপর একসময় বিজয়ী প্রার্থীদের নাম এল। কোথাও কোথাও কোন গ্রূপের কতজন নির্বাচিত হয়েছে সেটাও জানলাম। দেখলাম কারোও কারোও বিজয় মিছিলের খবর। মনে পড়ল ছাত্রজীবনের কথা। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সম্মেলন। নির্বাচন শেষে সবাই মিলে প্রসেশন করে শহরের রাস্তায় ঘুরি। কোন বিজয় মিছিল নয়। কেউ বিজয়ী নয়, কেউ পরাজিত নয়। একমাত্র বিজয়ী ছাত্র ইউনিয়ন। তাই গতকালের বিজয় মিছিল মানে একদল লোক পরাজিত হয়েছে। সিপিবির কিছু সদস্য যখন পরাজিত হয় তখন সিপিবি কি জয়ী হয়? নাক, কান, আঙ্গুল দেহের তুলনায় যত নগণ্যই হোক না কেন কোন অঙ্গ অসুস্থ হলে শরীর কি সুস্থ থাকে? দুবনা, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কারণ

Image
দেশে দেখলাম স্কুলের পাঠ্যসূচি থেকে নাচ-গান তুলে দেবার দাবি জানানো হচ্ছে। কারণ? এসব ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ। মানুষের সংস্কৃতি তার জন্মস্থানের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে। তৈরি হয়েছে ধ্বনি, ভাষা, পোশাক পরিচ্ছদ। নাম যাই হোক না কেন এই উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশ এক অদৃশ্য সূতায় গাথা। আচ্ছা যদি আরবের সংস্কৃতিকে ইসলামিক সংস্কৃতি (যা আসলে নয়, কারণ আরবের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে ইসলাম প্রতিষ্ঠার অনেক অনেক আগে) ধরেই নেই তাহলে তো সেখানে কখনোই ভাত মাছের সংস্কৃতি ছিল না, ছিল না নদী কেন্দ্রিক জীবন, ছিল না চাষাবাদ। আমাদের অঞ্চলের এসব কিছু ভারতীয় (উপমহাদেশের) জীবনযাত্রার অংশ। তাহলে কি আমরা ভাষা (সংস্কৃত বা পালি বা প্রাকৃত যেটাই হোক সবই ভারতীয় বা ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষা, সেমিটিক নয়), খাদ্যাভ্যাস, পোশাক পরিচ্ছদ সবই ত্যাগ করব ভারতীয় বলে? পারব কি? আর যদি নাই পারি তাহলে তাহলে নিজেদের হাস্যকর করার কারণ কি? অজ্ঞতা? দুবনার পথে, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিপিবি কংগ্রেস

Image
সিপিবির কংগ্রেসে মঞ্জুরুল আহসান খান মঞ্জু ভাইকে দেখলাম। মস্কোয় পড়াশুনা করার সুবাদে সেই সময়ের সিপিবির অনেক কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে পরিচয় হয়, অনেকের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাই এখনও সেই সময়ের নেতাদের রাজনৈতিক গতিবিধি সম্পর্কে খবর রাখার চেষ্টা করি। মঞ্জু ভাইয়ের বিগত কয়েক বছরের অনেক কাজ খুব ভালো ভাবে নিতে পারিনি। একজন ব্যক্তি হিসেবে তাঁর স্বাধীনতা আছে বিভিন্ন বিষয়ে নিজস্ব মত পোষণ করার। তবে যেহেতু তিনি ছিলেন অনেকের কাছেই পথপ্রদর্শক স্বরূপ, যেহেতু তাঁকে দেখে অনেকেই সিপিবির রাজনীতিতে যোগ দিয়েছে, তাই কিছু কিছু প্রশ্নে তাঁর ইউ-টার্ন অনেককে ব্যথিত করেছে। অনেক দিন পরে তাঁকে দেখে মনে হল সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসার মত শারীরিক অবস্থা ওনার নেই। যতদূর জানি তিনি পার্টি থেকে বহিষ্কৃত এবং সেটা সঙ্গত কারণেই। তবে তাঁর বয়স, অতীতে পার্টি ও জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর অবদান এসব বিবেচনা করে পার্টি যদি এই কংগ্রেসে তাঁর সদস্য পদ পুনর্বহাল করে সেটা শুধু পার্টির জন্যই নয়, এর আগে বিভিন্ন কারণে পার্টি থেকে বহিষ্কৃত বা স্বেচ্ছায় বেরিয়ে যাওয়া অনেকের জন্যই হবে সবুজ সংকেত‌। এটা পার্টির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল ক...