Posts

বৈচিত্র্য

Image
বন্ধুদের অনেকেই সব ধর্মের প্রতীক দিয়ে তৈরি কোন ছবি শেয়ার করে বা নিজেদের প্রো পিক হিসেবে ব্যবহার করে। এটা সাধারণত তারাই করে যারা ধর্মে খুব একটা বিশ্বাস রাখে না। হয়তো একারণেই সব ধর্মকে একই টেবিলে বসানো এদের জন্য কোন সমস্যা নয়। এদের অনেকেই ভাবে সব ধরনের মাংস বা বিভিন্ন ধর্মের হারাম হালাল সব খেলেই সব ধর্মকে সমান চোখে দেখা হয়, সবার প্রতি ন্যায় বিচার করা হয়। এরা ভাবে না যে তাতে সব ধর্মের বিশ্বাসীরা ক্ষুব্ধ হতে পারে বা অন্তত ভাবতে পারে যে তাদের অবজ্ঞা করা হচ্ছে। আমার এই বন্ধুরাই কিন্তু একই টেবিলে সিপিবি ও জামাতের বসাটা ভালো চোখে দেখবে না, অনেকেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অথবা ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান পার্টির দহরমমহরম দেখলে নাক সিঁটকায়।  আসলে গোরু, ঘোড়া, বাঘ, ভালুক, সিংহ, হাতি, নেকড়ে, হরিণ - এদের আমরা পশু হিসেবে একই ক্যাটাগরিতে ফেলে এক ঘরে হয়তো রাখতেই পারি কিন্তু তা যে কারো জন্য পৌষ মাস হবে আর কারো সর্বনাশ ডেকে আনবে সেটা প্রমাণ করার জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা না করাই ভালো। আর যদি পরীক্ষা করতেই হয় তা করতে হবে মানুষের কঠোর নিয়ন্ত্রণে যাতে তারা সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। ঈশ্বরে ব...

পরিবর্তন

Image
আপনি যখন কোন পরিবর্তন চান তার মানে আপনি আর আগের অবস্থায় থাকতে চান না আর একবার পরিবর্তন হয়ে গেলে আগের অবস্থায় থাকতে পারবেন না। যদিও আমরা সবসময়ই আরও ভালো অবস্থানে যাবার জন্য পরিবর্তন চাই, তবে পরিণামে খারাপ অবস্থায় পড়ব যে না এই গ্যারান্টিও কেউ দেয় না। যদিও আমাদের অনেকের ধারণা ছিল বিগত সরকারের আমলে আমরা নৈরাজ্যের তলানিতে অবস্থান করছিলাম, এর চেয়ে খারাপ আর কিছু হতে পারে না, এখন মনে হয় সেটা ছিল ফলস মিনিমাম, মানে দৃষ্টির আড়ালে যে আরও গভীর তলানি ছিল সেটা আমাদের চোখে পড়ে নি। এটা তলানির দোষ নয়, আমাদের দূরদর্শিতার সীমাবদ্ধতা বা অদূরদর্শিতা। এটা অবশ্য আমাদের জাতীয় চরিত্র। সমস্যা হল তলানি যত গভীর হয় সেখান থেকে ভেসে ওঠা তত কষ্টকর ও সময়সাপেক্ষ হয়। তবে এ থেকে বিগত সরকারকে যেমন বুঝতে হবে মানুষ তাদের সেই সময়ের দুঃশাসন আর চায় না, বর্তমান সরকার বা ক্ষমতা প্রত্যাশীদের বুঝতে হবে অবস্থার উন্নতি না ঘটালে তাদের বিতাড়িত হওয়াও সময়ের ব্যাপার। এখন শুধু অপেক্ষার পালা। কী হতে পারে দীর্ঘ অপেক্ষার পর? হয় উজির মরবে, নয় তো গাধা আর ভাগ্য খারাপ হলে হোজা নিজেই মরবে। মানে হয় একাত্তরের পক্ষের শক্তি এদে...

বহু হুর

আলী রিয়াজের প্লুরালিজম বা বহুত্ববাদ আর বেহেশতের বাহাত্তর জন হুর পরীর মধ্যে গুণগত কোন পার্থক্য নেই। দুটোই মিথ্যা আশ্বাস, দুটোই ধরাছোঁয়ার বাইরে। অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত জনগণ বহুত্ববাদ বহুমূত্র রোগের সাথে গুলিয়ে ফেলতে পারে বিধায় তাদের সামনে বাহাত্তর জন হুর পরী নামক মূলা ঝুলাতে হয়। শিক্ষিত ও নিজেদের প্রগতিশীল বলে দাবি করা মানুষ গোপনে এসবে বিশ্বাস করলেও হুরদের নামে ঠকতে তাদের আত্মসম্মানে লাগে। তবে তারা বহুত্ববাদ নামক গাল ভরা বুলির কাছে অনায়াসে নিজেদের বুদ্ধি শুদ্ধি বিকিয়ে দিতে রাজি। আলী রিয়াজরা এটা ভালো করেই জানে। শেখ হাসিনা একাত্তরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে মদিনা সনদে পৌঁছুতে চেয়েছিলেন, আলী রিয়াজ একাত্তর থেকে চীনের সমাজতন্ত্র, মার্কিন গণতন্ত্র ঘুরে মদিনা সনদে যাবার পথ খুঁজে বেড়াচ্ছে। আর সমাজে প্রগতিশীল ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বলে পরিচিত অনেক মানুষ ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত এতে লাফাচ্ছে। অথবা হতে পারে ছাত্র লীগ ও আওয়ামী লীগের মধ্যে লুকিয়ে থাকা জামাত শিবিরের মত এরাও প্রগতিশীলতার পশ্চিমী পোষাকে টুপি দাড়িওয়ালা শিবির, সময়ের অপেক্ষায় আছে আত্মপ্রকাশ করার জন্য। মস্কোর পথে, ...