কয়লা
একটা কথা আছে - কয়লা ধুলে ময়লা যায় না। আমাদের তাই যত পরীক্ষা নিরীক্ষা, যত বিপ্লবের মধ্য দিয়েই নিয়ে যাওয়া হোক নে কেন - দিন শেষে আমরা বাংলাদেশিই থেকে যাই। শুধু নাম বদলায়, গালি বদলায়। আগে সরকারের সমালোচনা করলে বলত রাজাকার, এখন বলে স্বৈরাচারের দোসর। কিন্তু এসব বলে যে আসল সমস্যার সমাধান হয় না সেটা কেউ বোঝে না বা বুঝতে চায় না।
কেউ যদি বলে আগেই ভালো ছিলাম তার অর্থ এই নয় যে সে স্বৈরাচারের সমর্থক। এর অর্থ এখন যারা ক্ষমতায় তারা মানুষের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই মানুষকে ট্যাগ করে নয়, তাদের সমস্যা সমাধান, যে স্বপ্ন নিয়ে তারা অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিল সেই স্বপ্ন পূরণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়েই শুধু জনগণের আস্থা অর্জন করা যায়। মনে রাখা দরকার উপদেষ্টা বা কিছু উচ্চাভিলাষী রাজনৈতিক নেতা কর্মীর ক্ষমতার খায়েস মেটানোর জন্য মানুষ রাস্তায় নামেনি, তারা রাস্তায় নেমেছিল নিজেদের জন্য ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে।
আজকাল উন্নত বিশ্বে বসবাসরত ও নিজেদের উচ্চ শিক্ষিত বলে দাবিদার অনেককেই দেখি দেশে কাউকে জুতার মালা গলায় পরিয়ে ঘোরানো সহ বিভিন্ন বিচার বহির্ভূত কারকলাপের সাফাই গাইতে। কেউ অপরাধ করলে আদালত তার বিচার করবে, শাস্তি দেবে। এ নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। কিন্তু সভ্য দেশের কোন আদালত শাস্তি হিসেবে জুতার মালা পরাবে এটা কি এরা বিশ্বাস করে? মানুষ যদি এত লেখাপড়া করে, এতদিন সভ্য দেশে থেকেও নিজেদের যুগোপযোগী করে তুলতে না পারে, আইনের শাসনের পক্ষে কথা বলতে না পারে তাহলে অন্যেরা কী করবে? একমাত্র আইনের শাসনই পারে স্বৈরাচারকে চিরতরে বিদায় করতে। আইনের অপপ্রয়োগ বা না প্রয়োগ স্বৈরাচারের জন্ম দেয়। তাই যারা স্বৈরাচার স্বৈরাচার বলে গলা শুকিয়ে ফেলছেন তাদের উচিৎ সবার আগে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। এয়ারপোর্টে ম্যাগাজিন সহ ধরা পড়া এবং এই বেআইনি কাজের কৈফিয়ত হিসেবে ভুলে নিয়ে এসেছি বলা - এসবও স্বৈরাচার।
স্বৈরাচার মুক্ত দেশ চান? নিজের স্বৈরাচারী মনোভাব দমন করুন!
দুবনা, ০১ জুলাই ২০২৫
কেউ যদি বলে আগেই ভালো ছিলাম তার অর্থ এই নয় যে সে স্বৈরাচারের সমর্থক। এর অর্থ এখন যারা ক্ষমতায় তারা মানুষের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই মানুষকে ট্যাগ করে নয়, তাদের সমস্যা সমাধান, যে স্বপ্ন নিয়ে তারা অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিল সেই স্বপ্ন পূরণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়েই শুধু জনগণের আস্থা অর্জন করা যায়। মনে রাখা দরকার উপদেষ্টা বা কিছু উচ্চাভিলাষী রাজনৈতিক নেতা কর্মীর ক্ষমতার খায়েস মেটানোর জন্য মানুষ রাস্তায় নামেনি, তারা রাস্তায় নেমেছিল নিজেদের জন্য ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে।
আজকাল উন্নত বিশ্বে বসবাসরত ও নিজেদের উচ্চ শিক্ষিত বলে দাবিদার অনেককেই দেখি দেশে কাউকে জুতার মালা গলায় পরিয়ে ঘোরানো সহ বিভিন্ন বিচার বহির্ভূত কারকলাপের সাফাই গাইতে। কেউ অপরাধ করলে আদালত তার বিচার করবে, শাস্তি দেবে। এ নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। কিন্তু সভ্য দেশের কোন আদালত শাস্তি হিসেবে জুতার মালা পরাবে এটা কি এরা বিশ্বাস করে? মানুষ যদি এত লেখাপড়া করে, এতদিন সভ্য দেশে থেকেও নিজেদের যুগোপযোগী করে তুলতে না পারে, আইনের শাসনের পক্ষে কথা বলতে না পারে তাহলে অন্যেরা কী করবে? একমাত্র আইনের শাসনই পারে স্বৈরাচারকে চিরতরে বিদায় করতে। আইনের অপপ্রয়োগ বা না প্রয়োগ স্বৈরাচারের জন্ম দেয়। তাই যারা স্বৈরাচার স্বৈরাচার বলে গলা শুকিয়ে ফেলছেন তাদের উচিৎ সবার আগে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। এয়ারপোর্টে ম্যাগাজিন সহ ধরা পড়া এবং এই বেআইনি কাজের কৈফিয়ত হিসেবে ভুলে নিয়ে এসেছি বলা - এসবও স্বৈরাচার।
স্বৈরাচার মুক্ত দেশ চান? নিজের স্বৈরাচারী মনোভাব দমন করুন!
দুবনা, ০১ জুলাই ২০২৫
Comments
Post a Comment