মনস্তত্ত্ব
পাশের বাড়ির বাচ্চাকে কাঁদতে দেখে একটা লজেন্স হাতে ধরিয়ে দিলে হাজারটা কথা শুনতে হবে যদি না প্রতিবেশী কেউকেটা কেউ হয়। একই ঘটনা ঘটবে কাউকে কিছু না ভেবেই সাহায্য করলে। মানে একজনের ছোটখাটো কোন সমস্যা হল, কেউ সাতপাঁচ না ভেবে সাহায্য করল। আর যাবে কোথায়? এটাকে বলা হবে অন্যের ব্যাপারে নাক গলানো। যাদের সাহায্য করা হল তাদের প্রেস্টিজ হ্যাম্পার। অবশ্য সাহায্যকারী যদি যদু মধু না হয়ে এলাকার কোন ধনাঢ্য ব্যক্তি বা রাজনৈতিক নেতা হয় তাহলে অন্য কথা। এটা ফলাও করে প্রচার করা হবে সমাজে নিজেদের অবস্থান দেখাতে। অবশ্য হতেই পারে যে সাধারণ মানুষটি কোন দূরাভিসন্ধি ছাড়া একটু সাহায্য করেছিল আর কেউকেটা লোকজন ভাবছিল তার ভোট অথবা ভিটা বাগিয়ে নেবার কথা। এটা সবক্ষেত্রেই। তাই বিশ্বনন্দিত শান্তির ফেরিওয়ালা বা মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক যখন সাহায্যের নামে দেশের খোলনলচে বদলে দেয় সেটা আমরা সহজেই হজম করি। মেইড ইন ইউএসএ বলে কথা!
দুবনা, ২১ জুলাই ২০২৫
Comments
Post a Comment