পর

আশির দশকে আমাদের ছাত্রজীবনে অনেকেই গ্রীষ্মের ছুটিতে লন্ডন যেত ইন্ডিয়ান (সিলেটী) রেস্টুরেন্টে কাজ করে কিছু পয়সা কামানোর জন্য। আমার এক পরিচিত ছুটি নিয়ে প্রায় এক বছর ওখানে কাজ করে আর বেশ ভালো অংকের টাকা (পাউন্ড) নিয়ে মস্কো ফেরে। ফিরে সে তাদের ইনস্টিটিউটের এক বড় ভাইকে সেই টাকা ধার দেয়। শুনেছি সেই বড় ভাই তাকে অল্প অল্প করে টাকা ফেরত দিত আর দিত রুবলে। যেহেতু ইনফ্লাশন তখন সেই বিগ ব্যাং -এর ঠিক পরবর্তী অবস্থার মতই, তাই বলা চলে সে কোন টাকা আর ফেরত পায়নি। এজন্যেই মা বলতেন

পুঁথিগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন
নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন

আমাদের দেশের অবস্থা এখন সেই বন্ধুর মত। আমেরিকা বা পশ্চিমা বিশ্বের কাছে নিজেদের স্বার্থ (দেশ) বন্ধক রেখে গণতন্ত্র লাভের স্বপ্নে বিভোর দেশের নেতারা কিছু দিন পরে যা পাবে তখন তাকে দেশ বা রাষ্ট্র বলা যাবে কি না সেটাই সন্দেহ। অনেকেই আশা করেছিল ট্রাম্পের আগমনে একটা হিল্লে হবে। কিন্তু এখানে তো ট্রাম্প বাইডেনের প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন আমেরিকার স্বার্থের। এতে দেশের কি হল না হল তাতে তাদের কি এসে যায়? বেচারা জেলেনস্কি, এতো ভালো অভিনয় করেও আমাদের দেশের নেতাদের এই সহজ সত্যটা বোঝাতে সক্ষম হল না।

দুবনা, ১৬ জুলাই ২০২৫

Comments

Popular posts from this blog

প্রশ্ন

সিপিবি কংগ্রেস

রিংকু