আগস্টের দিনগুলি – তিরিশ বছর পর
(১) নারুদা বলে আমাদের এক সিনিয়র বন্ধু গল্প করতেন , “ আমার দাদা কয়েকদিন পরপর দাড়িগোঁফ রাখে আবার ক ’ দিন পরেই ছেঁটে ফেলেন । বলেন এটা গরীবের ফ্যাশন , রাখতেও পয়সা লাগে না , কাটতেও না । “ আমার মত লোকেরা যাদের খুব বেশি পয়সাও নেই আবার বাহারী দাড়িগোঁফও নেই – তারা ফ্যাশন করবে কি করে ? অন্যেরা কি করে জানি না , তবে আমি মাঝেমধ্যে ঘরের টেবিলচেয়ার , বইপত্র এদিক ওদিক করে ফ্যাশন করি । এ যেন লেনিন সুব্বোতনিক , এ বছর এখানকার ময়লা সেখানে ফেল তো পরের বছর সেখানকার ময়লা এখানে । এমন এক সকালে ঘরের আসবাবপত্র এদিক ওদিক করার সময় দরজায় টোকা পড়ল । দরজা খুলে দেখি শাহীন দাঁড়িয়ে । শাহীন, মানে শাহীন আক্তার হামিদ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। এখন পি এইচ ডি করছে দনেপ্রোপেত্রভস্কে। মস্কো এলেই দ্বিজেন কাকুর ওখানে উঠত। ওখানেই পরিচয়। কাকুরা ক’দিন আগে চলে গেছেন গ্রীষ্মের ছুটিতে ইংল্যান্ড বেড়াতে। ও রয়ে গেছে। কিন্তু ওকে চা খাওয়া তো দূরের কথা ঘরে ঢুকতেও বলতে পারলাম না । গতকালের এই অনিচ্ছাকৃ...