পুজো
দেখতে দেখতে বছরটা পার হয়ে গেল আর বছর ঘুরতেই বেড়াতে এলো দেবী দুর্গা । ছোটবেলায়, যখন নববর্ষ ছিল শুধুই হালখাতা, ইংরেজি নববর্ষ পশ্চিমের হাঙ্গর সংস্কৃতি – তখন এই দুর্গা পুজোই ছিল বছর গড়ানোর সবচেয়ে শক্তিশালী ইনডিকেটর । তবে সে অনেক আগের কথা, যখন বাঙ্গালী এক ধর্মনিরপেক্ষ দেশের স্বপ্ন দেখতো, যখন সৃষ্টির আগেই মূর্তি ধ্বংসের প্রতিযোগিতা শুরু হতো না আমাদের দেশে । বড় খাল জলে টইটুম্বুর, কাজের লোকেরা ব্যস্ত খালের উপর কাঠের সাঁকো মেরামতে । রামার ভিটায় ফিরে এসেছে প্রান । বাঁশ ঝাড়ের সব চেয়ে বড় বাঁশটা কাটা হয়েছে কাঠামো বানানোর জন্যে । এসেছে পাট, শন আর এঁটেল মাটি । কুমুরের দক্ষ হাতে তিল তিল করে গড়ে উঠছে দুর্গা তার বিশাল সংসার নিয়ে । আমরা বাচ্চারা ঘুর ঘুর করছি প্রতিমার চারিদিকে আর একে অন্যের সাথে তর্ক করছি লক্ষ্মী বড় না স্বরস্বতী বড়, কার্ত্তিক ভালো না গনেশ ভালো এসব নিয়ে । এই দেবতারা কি ভাবছে তাতে আমাদের ভ্রুক্ষেপ নেই – আমরাই কাউকে বড় করছি তো কাউকে করছি ছোট । দেখতে দেখতে চলে আসে মহালয়া । বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র সেই ভোর সকালে মাকে ডাকছেন ”যা দেবী সর্ব ভুতেশু মাতৃ রুপেন সংস্থিতা ...”, মানবে...