টুপি কাহিনী

শুক্রবার স্কুলের পর সেভা মস্কো গিয়েছিল এক দিনের জন্য। আমাকে আগে বল্লেও আমি খুব একটা গায়ে মাখিনি। অফিসে বসে আছি, ও ফোন করে বললো যে মস্কো যাবে। এক্সপ্রেস ট্রেন ২০.৪০ এ। বললো তাহলে লোকাল ট্রেনে যাবে ৫.৩০ এ। কি আর করা, বাসার দিকে হাঁটা দিলাম। আবার ফোন, ও বেরিয়েছে, যাচ্ছে বাসস্ট্যান্ডের দিকে। আমিও ওদিকে। কিন্তু আসতে আসতে দেখি বাস চলে এসেছে, ও আমাকে হাত নাড়িয়ে বাসে উঠলো। আমি সারা পথ কখনও ফোনে, কখনও সামাজিক মাধ্যমে ওর খবর নিতে শুরু করলাম।
সেভা ফিরলো শনিবার সন্ধ্যায়। সাথে ব্যাগভর্তি জামাকাপড়। মনিকা কিনেছে। আমি কাজে ব্যস্ত ছিলাম। কিন্তু তার মধ্যেই ও একটার পর একটা ড্রেস পড়ে দেখাতে লাগলো আমাকে, একটু গর্বও করতে লাগলো। এরপর আমার এসব ধোয়ার পালা। টুপিটা দেখে পছন্দ হল। তাই আজ মস্কো আসার আগে মনিকাকে লিখলাম
-   হাই মিউ! কি খবর?
-   হাই পাপা! ভালো। তোমার?
-   তোর ওখানে অল্প দামে টুপি আর হাল্কা জ্যাকেট আছে?
-   অল্প এটা কত?
-   যত কম তত ভালো।
-   ৫০০ রুবলে টুপি হবে। জ্যাকেট হাজার দুই।
-   আমার মাথার দামই তো ৫০০ রুবল নয়, এত দামের টুপি দিয়ে কি ঢাকবো?
-   ঠিক আছে, আমি নিয়ে আসবো, তুমি দেখো যদি পছন্দ হয়।
দামী মাথা না থাকলে এই এক ঝামেলা। যদিও খুব ইচ্ছে করছে নতুন টুপি মাথায় দিয়ে সেভার সামনে ঘুরতে আর বলতে
-   দ্যাখতো কেমন মানিয়েছে টুপিটা?   
মস্কো, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭     


Comments

Popular posts from this blog

রাজনীতি

২৪ জুনের দিনলিপি

স্মৃতি